বাসায় গেলে তোর সাথে ঝগড়া না করলে ভালো লাগে না । সারাক্ষন তোকে খুছাই। তোরে না জ্বালাইলে ভালো লাগে না যে । তুইও আমার জ্বালা গুলো সহ্য করিছ আর বলিস ভাইয়া তুই যখন ভার্সিটিতে থাকিস তখন কাকে জ্বালাস ।
আর ঘুম থেকে একটু দেরি করে উঠলেইতো শুরু হয়ে যেত ঝর । তখন মনে হয় আমি ওর ছোট ভাই। সে আমার বড় আপু।
ওকে এতো জ্বালানোর পরেও মাঝে মাঝে আমার কাছে টাকা না থাকলে নিজের জমানো টাকা থেকে টাকা দিয়ে বলে ভাইয়া এই টাকাটা নিয়ে যা ।এটা দিয়ে তুই একটা শার্ট কিনিছ । ওর এই সব কর্মকাণ্ড দেখে মাঝে মাঝে আমি নিজেই অবাক হই আর ভাবি এতো পিচ্ছি একটা মেয়ে কি করে এতো কিছু চিন্তা করে । ও মাত্র ক্লাশ সেবেনে পড়ে । কিন্তু ওর কাজ গুলো দেখলে মনে হয় অনেক বড় হয়ে গেছে আমার থেকেও বড় ।
আর প্রতিবার ভার্সিটিতে চলে আসার আগে বলতি ভাইয়া আম্মাকে তোর সাথে নিয়ে যা । ঐখানে গেলে তো কাউকে জ্বালাতে পারবি না । তোর তো আবার আমাকে না জ্বালাইলে খাবার হযম হবে না ।
বাসায় গেলে আমার ছোট বোন আমার কলিজার টুকরার সাথে সারাটা দিন এসব নিয়াই চলতে তাকে । তোকে খুব মিস করি যখন তোদের থেকে দূরে থাকি ।
আজ কলিজার টুকরাটার জন্ম দিন । আমি প্রতিবারি ওর জন্ম দিনের কথা ভূলে যাই । আর সেটার জন্য তো আমাকে ঝারি খেতেই হয় । তুই আমার ভাইয়া না ভাই হলে কি ছোট বোনের জন্ম দিনের কথা ভূলে যেতি । এটা সেটা আরো কত কথা যে শুনতে হত । আর বলত আমিও তোর জন্ম দিনের কথা ভুলে যাব । তোকে জন্ম দিনের শুভেচ্ছা জানাবো না আর । কিন্তু ঠিকি সবার আগে আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাটা ওই জানাতো । আসলে ওকে রাগানোর জন্য এগুলো করতাম ।
আজ তোর জন্ম দিন ছিল । অথচ আমি তোর থেকে অনেক দূরে । তোকে খুব মিস করতেছি । আজ বাসায় থাকলে অনেক মজা হতো । কিন্তু থাকা হলো না । চিন্তা করিছ না কিছুদিন পর আসতেছি তখন জন্ম দিন পালন করব আবার ।
#শুভ জন্মদিন তোমার
happy birthday.many many happy returns of the day.