somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

হ তে হাসান
শুধুমাত্র তোমার জন্যই লেখা।জানি এটা কোন দিন তুমি পাবে না।আমার প্রতিটা দিন প্রতিটা মুহূর্ত কেমন ভাবে যাচ্ছে তোমাকে নিয়া সব এখানেই লিখব।কারন এটা সবাই জানবে শুধু তুমিই জানতে পারবে না কোন দিন।অতচ সব লেখাতেই থাকবে তোমার স্পর্শ।আজব না বিষয়টা।আমি এমনি।

জীবনের ডায়েরি থেকে কিছু কথা (০৬-০৩-১৫)-০৩

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একা একা আপন মনে বসে আছি পুকুর পাড়ে । হঠাৎ করে কে যেন পিছন থেকে ডাক দিল এই যে শুনতে পাচ্ছেন ।একটু এই দিকে আসবেন । আমি ভাবলাম হয়তো অন্য কাউকে ডাকতেছে । তাই আমি আমার মত বসে আছি । একটু পর দেখলাম আর কেউ ডাকে না । তখন আরো নিশ্চিত হলাম যে আমাকে ডাকে নাই । আমি আমার ভাবনায় ফিরে আসলাম । কি ভাবতেছিলাম কিছুই মনে হইতেছে না । হঠাৎ করে একটা মেয়ে আমার সামনে এসে বলতে লাগল “কি ব্যাপার আপনি কি কানে শুনতে পান না সেই কখন থেকে ডাকতেছি কোন সাড়া দিতেছেন না । কি সমস্যা আপনার । ভাব ধরেন । এতো ভাব কেন আপনার । “
কথা গুলো বলে মেয়েটা একটু জিরিয়ে নিল । আর এই সময়ের মাঝে মেয়েটাকে এক পলক দেখে আমি লাফ দিয়া বসা থেকে উঠে দাড়িয়ে পরি । কি বলব বুঝতে পারতেছিলাম না । মেয়েটার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম । কিছু একটা বলতে যাব কিন্তু আমার মূখ দিয়া কোন কথা বের হইতেছে না । নিজের হাতে একটা চিমটি কাটলাম আমি স্বপ্ন দেখতেছি না তো । নাহ স্বপ্ন না মেয়েটা সত্যি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে ।
আর ঐদিকে আমার এই অবস্থা দেখে মেয়েটা হাসতে লাগল । আমি কিছুই বলতে পারছি না । মেয়েটা আমাকে আমার নাম কি আমি কোন ডিপার্টমেন্টে পড়ি সব জিজ্ঞাস করল আর আমি রোবটের মত শুধু ওর প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিয়ে যাচ্ছি আর একদৃষ্টিতে ওরে দেখতেছি ।
একপর্যায়ে মেয়েটা আমাকে বল্লো “আমার যা জানার ছিল আমি জেনে নিলাম । ভালো থাকবেন আর আপনাকে ডিস্টার্ব করার জন্য দুঃখিত । “ বলেই মেয়েটা উঠে চলে যেতে লাগল । আমি তখনো নির্বাক হয়ে বসে মেয়েটার চলে যাওয়ার পথের দিকে থাকিয়ে ছিলাম । হঠাৎ করে মনে হল আরে মেয়েটা তো আমার সব কিছু জেনে গেল কিন্তু আমি তো কিছুই জিজ্ঞাস করলাম না । সাথে সাথে মেয়েটিকে ডাক দিলাম । মেয়েটি ফিরে তাকিয়ে বল্লো কিছু বলবেন ।
আমি কিছু একটা বলতে যাব ঠিক ওই মুহূর্তে আমার মূখে পানি ঢেলে দিল কে যেন । আমি লাফ দিয়া উঠে দেখি আমার রোম মেট গ্লাশে পানি নিয়া দাঁড়িয়ে আছে আর বলতেছে কি সব বকবক করতেছিস ঘূমের মাঝে । কয়টা বাঝে একবার ঘড়িটার দিকে তাকা । ক্লাশে যাবি না ।
আমি নিজেকে আমার বিছানায় আবিষ্কার করলাম আর বুঝতে পারলাম যে এতোক্ষন আমি স্বপ্ন দেখতেছিলাম । মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল । রোম মেট আর স্যারকে যে কি করতে ইচ্ছা করতেছিল বলে বুঝাতে পারব না। আরে বেটা ক্লাশে যাবি যা না আমার স্বপ্নটা কেন ভাঙ্গলি । মেয়েটার নামটাই জানতে পারলাম না ।
আর মেয়েটা আর কেউ ছিল না সে ছিল আমার পরীটা । মেজাজ চরম পর্যায়ে খারাপ হইতেছে। শালা ক্লাশে যাইতেই ইচ্ছা করতেছিল না । কি হল এটা । আমি আমার পরীকে এতো কাছে পেয়েও ওর নামটা জানতে পারলাম না । নাম না হয় বাদ দিলাম কোন ডিপার্টমেন্টে পরে সেটাও জানা হল । আমার থেকে বড় না ছোট নাকি আমার সাথেই পড়ে সেটাও না ।
একদিকে যেমন মেজাজ খারাপ হইতেছিল ঠিক তেমনি ভালোও লাগতেছিল । পরীটাকে মন বরে দেখতে পারছি বলে । হোক না সেটা স্বপ্নে সমস্যা নাই । সামনা সামনি হয়তো আর দেখা হবে না ।
তো আর কি করা একরাশ হতাশা নিয়া ক্লাশ করতে গেলাম । সারা দিন ক্লাশ করে রুমে আইসা ঘুম দিলাম । একটু পর হঠাৎ করে ফোনটা বেজে উঠল । ঘুম ঘুম চোখে দেখলাম কে ফোন দিছে । দেখলাম যে আমার এক জুনিয়র ফোন দিছিল । আমি আর ফোন না দিয়া ঘূমানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু ঘূম আর আসলো না ।
উঠে ছাদে গেলাম একটু হাওয়া খাইতে । এমন সময় আবার ফোনটা বেজে উঠল।এইবার আর কল আসে নাই।একটা SMS আসলো,আমার জুনিয়রটাই পাঠাইছে । ওর SMS পড়ে বুঝতে পারলাম ও অসুস্থ । কিন্তু কোথায় কি করবে বুঝতেছে না । তাই আরকি বড় ভাইয়ের দায়িত্ব পালন করতে চলে গেলাম । ওরে ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ পত্র কিনে পাঠিয়ে দিলাম মেছে । কিন্তু ওর সাথে যে মেয়েটা আসছিল কেমন যেন চিনা চিনা লাগতেছিল । আর তখন চার দিকে কিছুটা অন্ধকার ছিল আর আমিও হয়তো শুরুর দিকে খেয়াল করি নাই । কিন্তু যখন চলে যাচ্ছিল মেয়েটাকে তখন চিনতে পারছি সে আর কেউ না আমার পরী। আমি ওরে দেখে আর কিছু বলতে পারলাম না । এমন কি ওর নামটাও জানতে পারলাম না । জানবোই বা কি করে ওরে দেখলেই আমার হৃদয়ের স্পন্দন বেড়ে যায় ।
মানে আর কি বলব নিজের উপরেই মেজাজ খারাপ হইলো । এতো কাছে পেয়েও ওর নাম কোন ডিপার্টমেন্টে পড়ে সেটাও জানা হল না ।
তবে আজ এটা বুঝতে পারছি, মানুষ মন থেকে যা চায় তা কোন না কোন দিক দিয়ে পূর্ণতা পায় । আবারো হইতো দেখা হবে তার জন্যই হয়তো বিধাতা চায়নাই আজ আমি সব জেনে যাই ।
আবারো দেখার অপেক্ষায় থাকলাম ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×