somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।
বাবার চাকুরির সুবাদে ছোট বেলার কয়েকটা বছর নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপে কাটিয়ে ছিলাম । সাল মনে নেই তবে ১৯৮৭ হতে পারে । বাবার অফিসের পিছনে আমার স্কুল ছিল । ক্লাস ওয়ান এ পড়ি । মাঝে মাঝে স্কুল ছুটির পর বাবার অফিসে যেতাম তখন বাবা ১০ টাকা হাতে দিয়ে বলতেন বাসায় যাবার পথে যেন কিছু মাছ-তরকারি নিয়ে যাই । খুব ছোট হলেও কমন কিছু বাজার আমি তখনই করতে পারতাম । তাই বাসায় যাবার পথে বাজারে গিয়ে ৫ টাকা দিয়ে ইয়া বড় একটা ইলিশ মাছ ও ৩-৪ টাকার তরকারি কিনে বাসায় ফিরতাম ! তারপর ও ১-২ টাকা আমার লাভ থাকত ! আহা আমার নিজেরই তো বিশ্বাস হচ্ছেনা !
প্রতি বছর বার্ষিক পরীক্ষা শেষে নানাবাড়ি যেতাম । নানাদের কয়েকটা ইলিশ মাছের নৌকা ছিল । সন্ধ্যার পর ওড়ায় ওড়ায় মাছ আসা শুরু হত।দেখতে দেখতে পুরো উঠোন ইলিশ মাছে ভরে উঠত । আস-পাশের মহিলারা সারা রাত ভর মাছ কুটে লবন দিয়ে মাটির ভাড়ে রাখত ।পরে চালান দেওয়া হতো ।
একবার নানাদের মাঝিদের সাথে ইলিশ মাছ ধরা দেখতে মেঘনা নদীতে গেলাম । সারাদিন মাছ ধরা দেখলাম, কত্তো ইলিশ ! কিন্তু একটাও জ্যান্ত ইলিশ দেখলামনা, বড়ই আফসোস ! ভাবলাম দুপুরে ইলিশ রান্না হবে মজা করে ইলিশ খাব কিন্তু মাঝিরা রান্না করল শুটকি মাছ । তারা নাকি ইলিশ খেতে পারেনা !
তবে জ্যান্ত ইলিশ দেখার শখ আল্লাহ ঠিকই পুরন করেছেন ,সেটা মেঘনায় নয় সিলেটে কুশিয়ারা নদীতে ! বড়ই আজব ! খুব ভোরে নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছি, জেলেরা লম্বা সুতার জাল টানছে । দেখা গেল ২টা ইলিশ মাছ ইঠে এসেছে ! মাছ দুটা নড়া-চড়া করছে ! চারদিকে প্রচুর মানুষ জমে গেল ! সাথে সাথে বেশি দামে বিক্রি হয়ে গেল ।
এমন ও সময় গেছে বাজারে যাওয়ার সময় মা বারবার নিষেধ করে দিতেন ভুলেও যেন ইলিশ মাছ না আনি ! আর বাজারে গেলে ইলিশ মাছের গন্ধ খুব খারাপ লাগত !তখন হত দরিদ্র মানুষেরা সারা মাস জুড়ে ইলিশ মাছ খেত !
হা হা হা সবই আষাঢ়ে গল্প মনে হচ্ছে ! একেকটা ইলিশ ২০০০-২৫০০ টাকাও হয় ভাবা যায় ।তবে জেলেরা এখনও বড় বড় ইলিশ খায়, আমার দেখা অনেক জেলে শুধু ইলিশ মাছ বেচে আজ অবস্হাপন্ন ।

Translation : Suddenly, I felt like eating hilsa fish. My mouth started watering immediately. It takes a bit of time to prepare, so in the meantime, let me share some memories of hilsa fish from my life with you. Due to my father's job, I spent a few years of my childhood on Hatiya Island in Noakhali. I don't remember the exact year, but it could be 1987. My school was behind my father's office. I was in class one. Sometimes after school, I would go to my father's office, and he would give me 10 taka and ask me to buy some fish and vegetables on my way home. Even though I was very young, I could do some common shopping. So, on my way home, I would go to the market, buy a big hilsa fish for 5 taka and vegetables for 3-4 taka, and return home! I would still have 1-2 taka left! Ah, I can hardly believe it myself! Every year after the annual exams, I would go to my grandparents' house. They had a few hilsa fishing boats. In the evening, the fish would start coming in. The whole yard would be filled with hilsa fish. The women from the neighborhood would spend the whole night cutting the fish and salting them in earthen pots. Later, they would be sent off. Once, I went to the Meghna River with my grandparents' fishermen to watch them catch hilsa fish. I watched them fish all day, so many hilsa! But I didn't see a single live hilsa, which was very disappointing! I thought we would have hilsa for lunch, but the fishermen cooked dried fish instead. They said they couldn't eat hilsa! However, Allah fulfilled my wish to see live hilsa, not in the Meghna but in the Kushiyara River in Sylhet! It was very strange! Early in the morning, I was standing by the river, and the fishermen were pulling a long thread net. Two hilsa fish came up! The fish were moving! A lot of people gathered around! They were sold at a high price immediately. There were times when my mother would repeatedly tell me not to bring hilsa fish when I went to the market! And when I went to the market, the smell of hilsa fish was very unpleasant! At that time, poor people would eat hilsa fish all month long! Haha, it all seems like a fairy tale now! Each hilsa fish costs 2000-2500 taka, can you imagine? However, fishermen still eat big hilsa fish, and many fishermen I know have become well-off just by selling hilsa fish।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জয় বাংলা - জাতীয় শ্লোগান হিশেবে বাতিল: ঐতিহ্যবিরোধী এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত

লিখেছেন কিরকুট, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৪০



বাংলাদেশের ইতিহাসে "জয় বাংলা" শ্লোগান শুধুমাত্র একটি বাক্য নয়; এটি একটি জাতির আবেগ, চেতনা এবং ঐতিহ্যের প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই শ্লোগান ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির প্রেরণা। এটি ছিল বঙ্গবন্ধু... ...বাকিটুকু পড়ুন

পিরোজপুরে মুক্তিযুদ্ধ.......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৪০

পিরোজপুরে মুক্তিযুদ্ধ.......

জীবনে কিছু সময়, কিছু দিনের কথা আমৃত্যু মনে থাকে তেমন বেশ কয়েকটি দিন তারিখ আমার জীবনেও খোদাই হয়ে আছে....মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরের ১ম সাব-সেক্টর হেড কোয়ার্টারে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়েছিল... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি পেষ্ট এবং একটা গুরুত্বপূর্ণ আলাপ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪১

আমি সাধারণত ব্লগে ফেবু পোষ্ট আনিনা, কপি পেষ্টও করিনা, আজকে করলাম কারণ এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ আলাপ। নিচের বিষয়টা কপি পেষ্ট করলাম ফেবু থেকে। আপনাদের কী মত জানাতে পারেন

.
.

Aman Abdullah
5 hours... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও অতিজাতীয়তাবাদ উন্নয়নের মূল অন্তরায়

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩১


উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রকে কিছু স্বাধীনতা ত্যাগ করতে হবে কথাটি বলেছিলেন অত্যাধুনিক সিংগাপুরের উন্নয়নের কারিগর লি কুয়ান। ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হওয়ার পর ১৯৫৯ সালে স্বায়ত্তশাসিত সিঙ্গাপুরের প্রধান মন্ত্রি হন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাবির ভাই বেরাদার (অন্তর্বর্তীকালীন) সরকার কি বালটা ফালাচ্ছে বলতে পারবেন?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০

১) সরকারী কোন অফিসে নূন্যতম কোন লুটপাট বন্ধ হয়েছে?
২) জায়গায় চাঁদাবাজী বন্ধ হয়েছে?
৩) আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নুন্যতম কোন বিচার তারা করতে পেরেছে? বা তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করতে পেরেছে?
৪। আইন শৃঙ্খলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×