আমাদের সবার জীবনে কিছু গভীর দুঃখ এবং ভয় থাকে যেগুলো আমরা আমাদের মনের অনেক গভীরে চাপা দিয়ে রাখি।কিন্তু কি হবে যদি এই ভয় আর দুঃখ গুলোই জীবন্ত হয়ে আমাদের সামনে উঠে আসে বা হঠাত দেখা যায় মানুষিক ভাবে অসুস্থরাই একটা শহরের সবইচেয়ে সুস্থ মানুষ।চোখ থাকাই যেখানে সবচেয়ে বপড় বিপদ অন্ধ হওয়াই যেখানে বেচে থাকার সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।মার্কিন ঐপন্যাসিক জশ মালের্ম্যান বার্ড বক্স উপন্যাসের কাহিনী অনেকটা এরকমই।আর এই উপন্যাসের গল্প নিয়ে একই নামে মুভি তৈরী করেছেন ড্যানিশ পরিচালক সুজান্নে বিয়ের,প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে গোল্ডেন গ্লোব জয়ের রেকর্ডটি যার দখলে।এই মুভিটা আমার দেখা শ্রেষ্ঠ মুভির তালিকায় প্রথম তিনটার ভেতর থাকবে।
২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া এই মুভির আই এম বি ডি রেটিং ৬.৬।শিরোনামে নিশ্চই দেখেছেন মুভিটাকে আমি “করোনা স্পেশাল” উপাধি দিয়েছি,এর যথেষ্ঠ যৌক্তিক কারনও আছে।এই মুভিতে যে অস্থির সময় আর অজানার আতঙ্ক সার্থক ভাবে স্ক্রীনে নিয়ে আসা হয়েছে তা যেন বর্তমানের এই করোনা মহামারীর অস্থীর সময়ের সঙ্গেই মিলে যায়।এই মুভির ক্লস্টোফোবিক পরিবেশ,আজানার আতঙ্ক মানুষের টিকে থাকার,ভালোবাসা পাবার আদিম আকুলতা যে কোন মুভি প্রেমিককে ভাবাবে।প্রীয় অভিনেত্রী সান্ড্রা বুলক,অত্যন্ত সম্ভবনাময় আফ্রিকান আমেরিকান অভিনেতা ট্রেভান্তে রোডস আর জন মালকোভিচের মত ভেটেরান এবং বয় আর গার্ল নামে দুই কিঊট পিচ্চি এই মুভিতে আছে।সত্যিকার ভয় পাবার মজা যারা পেতে চান তাদের জন্য এটা একটা মাস্ট ওয়াচ।
এবারে কিছু হতাশার গল্প বলি।এই মুভির রেটিং ৬.৬,রটেন টমাটোস রেটিং ও ৬৩%,একই বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া প্রায় একই রকম গল্পের আরেকটি মুভি “আ কোয়াইট প্লেস”এর আই এম বিডি রেটিং ৭.৫ আর রটেন টমাটোস এর মতে ৯৫% ফ্রেশ।দুটি মুভিই আমার দেখা হয়েছে আর দুটো মুভি দেখার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি বার্ড বক্স,কোয়াইট প্লেস এর চেয়ে বহুগুনে ভালো মুভি।তারপরেও এই রেতিং এর কারন আমার বোধগম্য না।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫