দোকানের বাইরে এসে দাড়ায় হামিদ,বিকাল পাচটা বাজে এর মদ্ধেই মেঘ জমে আকাশ প্রায় অন্ধকার হয়ে এসেছে কিছুক্ষনের মদ্ধেই ঝুম বৃষ্টি নামবে,আজ আর বেচা বিক্রির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে অবশ্য হামিদ নিজেই আজ একটু তারাতারি দোকান বন্ধ করতে চাইছিলো কারন তার দুই সহকারীর কেউই আজ আসেনি,যদীও অনেক দূর দুরান্ত থেকে মানুষ তার দোকানে জিলিপি খেতে আসে কিন্তু তারা আবার সন্ধ্যার মদ্ধেই ফিরতি পথ ধরে,মফস্বলের এই বাজার আর এর আশে পাশের মানুষ এখনো প্রকৃতির আইনের কাছেই বাধা।
কিছুক্ষনের মদ্ধেই বৃষ্টি নামে,হামিদের বিশ বছর আগের সেই সন্ধ্যার কথা মনে পড়ে যায় খুব জোড় করেও মন থেকে ঐ রাতের কথা মন থেকে সরাতে পারে না।এমনটা অবসশ্য গত কয়েকদিন ধরেই হচ্ছে, সে ঘুমের ঘোরে কামালের গলার স্বর শুনতে পাচ্ছে,সেই স্বর যা একসময় রাতের পর রাত মাতিয়ে রাখতো গ্রামের গানের আসরগুলো।হামিদের খুব ভয় হয়,অন্তরে অনেক গভীরে কিলবিল করে ওঠে পুরনো পাপ,খুব কষ্ট করেও হামিদ নিজের মনযোগ বর্তমানে আনতে পারে না।তার কেবলই মনে হয় সে ফিরে গেছে বিশ বছর আগে,সেই একই রকম বৃষ্টি একই রকম সন্ধ্যা। হামিদ স্থানুর মত বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে। হঠাৎ তার মনে হয় কামাল যেন তাকে ডাকছে, আওয়াজটা এগিয়ে আসছে।অজানা ভয়ে সে জ্ঞান হারায়।
হামিদের জ্ঞান ফেরে প্রায় দুদিন পর।সরকারি হাসপাতালের বেডে।চোখ খুলেই সে তার বড় ছেলেকে দেখতে পায় নার্সের সঙ্গে কথা বলছে।প্রথম বারের মত হামিদ উপলব্দি করে তার বড় ছেলের গলার স্বর অনেকটা কামালের মত।কপালে হাতের স্পর্শ পেয়ে বামদিকে ফিরে মালতি কে দেখতে পায় হামিদ।চোখের পানি তখনো শুকায় নি তার। হামিদ মনে মনে ভাবে মালতি কখনোই জানবে না, বিশ বছর আগে সেই খুন করেছিলো কামালকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:২৬