
সম্রাট জাহাঙ্গীরের মালিক আম্বর বধ
এই প্রবন্ধটি মনিমুগ্ধ এস শর্মা লিখিত,পার্থিয়ান শট ব্লগ ও টাইমস অফ ইন্ডিয়ায়(২০১৬) প্রকাশিত ‘আকবর ওয়াজ ট্রু লি গ্রেট প্রতাপ অনলি আ ওয়ারিয়র’শীর্ষক প্রবন্ধের আংশিক অনুবাদ।অনুবাদক আমি নিজেই।
মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের একটা পৃথিবী বিখ্যাত ‘ড্রিম পেইন্টিং’ আছে,যেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি তার প্রবল শত্রু মালিক আম্বরের বর্শায় বিদ্ধ মাথায় তীর নিক্ষেপে উদ্দত হয়েছেন।যদিও বাস্তবে প্রচন্ড রকমের ব্যায়বহুল,ক্লান্তিকর দীর্ঘ অভিযান চালিয়েও সম্রাট নিজের জীবদ্দশায় মালিক অম্বরকে হারাতে পারেন নি,পুরন হয় নি সম্রাটের আহমেদ নগর দখলের স্বপ্ন।তাই নিজের ফ্যান্টাসিতে মালিক আম্বরকে অপমান করেই তাকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।সম্রাট জাহাঙ্গীরের মতই বিজেপির স্বরাষ্ট্রমত্রী ও সঙ্ঘপরিবারের কিছু নেতাও তাদের অতীতের কিছু শত্রুকে পদদলিত করার ফ্যান্টাসিতে ভুগছে।
গত বছর(২০১৫)সম্রাট জাহাঙ্গীরের নাতি আওরংজেবের নামের দিল্লির একটি সড়কের নাম মুছে ফেলা হয়েছে এই বছরের(২০১৬) টার্গেট জাহাঙ্গীরের পিতা বাদশা আকবর,আর দাবিটা জানিয়েছেন স্টেট এন্ড এক্সটারনাল এফেয়ার মন্ত্রী ভি কে সিং স্বয়ং।তার মতে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে নয় বরং একজন রাজপুত যোদ্ধাকে সন্মান জানাতেই তার এই দাবি,সিং নিজেই একজন রাজপুত এবং রাজপুত রেজিমেন্ট থেকেই ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান হয়েছিলেন তাই একজন রাজপুত যোদ্ধাকে সন্মান জানানোর তার ইচ্ছা কে আপাত দৃষ্টিতে নির্দোষ মনে হলেও এটাও মাথায় রাখতে হবে যে তিনি ইতিহাসের অন্যতম সবচেয়ে অসাম্প্রদায়িক সেনাবাহিনীটির নেতৃত্ব দিয়েছেন তাই এটা হজম করতে অসুবিধা হয় যে তিনি একজন নিচুমনের সাম্রদায়িক ও জাতিভেদ প্রথায় বিশ্বাসী রাজার গুন গাইছেন এমন একজন সম্রাটের বিপক্ষে যিনি জাতিভেদ আর সাম্প্রদায়িকতার উর্ধে উঠে একটা অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
সিং হয়তো ভুলে গেছেন আকবর রাজপুতদের মুঘল সম্রাজ্যের প্রাশাসনিক ও সামরিক বাহিনীর অংশ করে নেওয়ার আগ পর্্যকন্ত সর্বভারতীয় রাজনিতীতে তাদের খুব বেশি প্রভাব কখনোই ছিলো না।রাজনীতির এই অবস্থাকে কোন সিনেমার সাথে তুলনা করলে রাজপুতদের ভুমিকা অতিথী শীল্পীর ভুমিকাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে।যদিও ইতিহাসজুড়েই রাজপুতানা অসাধারন সব যোদ্ধারাজা তৈরী করে গেছে যেমন মহারানা কুম্ভা,রানা সাঙ্গা,নিজের নামের মতই যিনি সারা জীবন সংগ্রাম করেছে।

খানুয়ার যুদ্ধ
জনৈক বাবুরের হাতে রানা সাঙ্গার ভারত দখলের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায় যখন খানুয়ার যুদ্ধে সাঙ্গার নেতৃত্বাধীন ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কোয়ালিশন সেনাবাহিনীকে বাবুরের ছোট্ট মুঘল বাহিনী ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দেয়,এই যুদ্ধে সাঙ্গার হাতে ছিলো রাজপুত আফগান মিলিয়ে প্রায় ৫৭০০০ সৈন্য অন্যদিকে বাবুরের সঙ্গে ছিলো মাত্র ৮০০০ সৈন্য এদের সবাইকেই বাবুর সেই মধ্য এশিয়া থেকে নিয়ে এসেছিলেন।শুধু যুদ্ধ নয় বাবুর এবং বাবুরের সন্তান হুমায়ুন উভয়েই বহু রাজপুতের হৃদয় ও জিতে নেন যেমন গোয়ালিওরের রাজপুত রাজা তার পরিবারের সন্মান তার অধীনস্ত সৈন্যদের জীবন রক্ষা করায় তরুন শাহজাদা হুমায়ুন কে কোহ-ই-নুর হীরা উপহার দেন।হুমায়ুনের রাজপুত সম্পর্কের এটা ছিলো কেবল শুরু।
কয়েকবছর পরই হুমায়ুন এর প্রথম রাজত্বকালে মন্দ্রায়ালের যুদ্ধে আমের এর রাজপুত রাজা পুর্নমল মুঘল সেনাবাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করার সময় প্রান দেন,একবছর পরেই রানা সাঙ্গার রাজধানী চিতোর বাহাদুর শাহ কর্তিক আক্রান্ত হলে সাঙ্গার বিধবা স্ত্রী হুমায়ুন কে ভাই ডেকে পত্র লিখে সাহায্য চান,হুমায়ুন সসৈন্য ছুটে এলেও রানী কে বাচাতে পারেননি।তবে বাহাদুর শাহ কে হারিয়ে এর প্রতিশোধ ঠিকই নিয়েছিলেন শুধু তাই নয় সাঙ্গার শিশুপুত্র রানা বিক্রম সিংকেও সিংহাসনে বসান স্বয়ং হুমায়ুন।রাজপুতরাও হুমায়ুনের বদান্যতার প্রতিদান ভালোভাবেই দিয়েছে।রাজ্য হারিয়ে সম্রাট হুমায়ুন যখন সিন্ধের মরুভুমিতে আসহায় হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন উমারকোটের রাজপুত রাজা,এবং এই রাজার আশ্রয়েই হুমায়ুনের ইরানী স্ত্রী হামিদা বানুর গর্ভে জন্ম হয় ভুবন বিখ্যাত আকবর-ই-আজম এর।

আকবর দি গ্রেট
যদিও কুসংস্কার মনে হতে পারে তবে আকবরের জন্মস্থানই হয়তো তার মনে অসাম্প্রদায়িকতার বীজ বুনে দিয়েছিলো তবে আকবরের রাজত্ব কালে চলমান হিন্দু ভক্তি আন্দোলন ও প্রেম মার্গী সুফি আন্দোলনও যে তাকে বিপুলভাবে প্রাভাবিত করেছিলো তা বোঝাই যায়।আর আকবরের এই অসাম্প্রদাইয়িক চেতনার চুড়ান্ত প্রকাশ আমরা দেখি ১৫৬৩ সালে তীর্থ যাত্রা কর এবং এর এক বছর পর জিজিয়া কর সম্পুর্ন্রুপে বিলোপ করার মাদ্ধমে।যা হিন্দুদের সম্রাজ্যের প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে সুফলভোগীতে পরিনত করে।
জেনারেল সিং এবং তার রাজনৈতিক দল সবসময়ই বিশ্বাস করে রানা প্রতাপ আকবরের সমতুল্য এমনকি আকবরের চেয়েও বড় বীরপুরুষ,এবং তাদের এই বিশ্বাস এর একমাত্র মাপকাঠি রানা প্রতাপ এর দশকব্যপী চালানো গেরিলা যুদ্ধ।যদিও মুঘল বিরুদ্ধে এত দীর্ঘদীন ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া আসলেই অনেক বীরত্বের নিদর্শন তবে ব্রিটীশদের বিরুদ্ধে একই রকম ঐতিহাসিক যুদ্ধ চালিয়েও টিপু সুলতান বিজেপি বা জেনারেল সিং দের কাছে নায়ক হতে পারেন নি।
কিন্তু যুদ্ধজয়ই কি শ্রেষ্ঠত্ব পরিমাপের একমাত্র মাপকাঠি? এর উত্তর হলো না। কারন যুদ্ধজয় কোন শাসকের সাফল্যের মাপকাঠি হতে পারে না। বরং যুদ্ধ নয় বরং যুদ্ধের বাইরে একজন শাসক কি করেছেন সেটাই তার সাফল্যের মাপকাঠি। আর এজন্যেই সম্রাট অশোক কে গ্রেট বলে ডাকা হয় যদিও তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে আকবর এবং আওরংজেব এর সন্মিলিত সংখ্যার চেয়েও বেশী মানুষ মেরেছেন।
কিন্তু আমদের আলোচ্য মহারানা প্রতাপ আসলে কেমন ছিলেন? লেখক জেমস টোড এর এ্যন্টিকুইটিস অফ রাজপুতানা ভলিউম ওয়ান আমাদের বলছে রাজা মান সিং এবং মহারানা প্রতাপ এর মদ্ধে অনুষ্ঠিত একটা কুটনৈতিক আলোচনার কাহিনী যেখানে আমরা দেখতে পাই মহারানা প্রতাপ এর জন্য দস্তরখান বিছানো হলেও তিনি তার অতিথীর সাথে একসাথে খাবার গ্রহনে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন কারন তার অতিথী রাজপুত টি একজন তুর্কির কাছে তার বোনের বিয়ে দিয়েছে(রাজা মান সিং এর ফুপু সম্রাট আকবরের স্ত্রী যোধাবাই যার সন্তান পরবর্তী সম্রাট জাহাঙ্গীর,আবার মান সিং এর বোন শাহ বেগম এর বিয়ে হয় জাহাঙ্গীর এর সঙ্গে) এই নিয়ে বচসা শুরু হয় এবং এবং মান সিং রানা প্রতাপ এর গর্ব চুরমার করে দেয়ার প্রতিজ্ঞা করেন।এর জবাবে রানা প্রতাপ যুদ্ধের সময় তার ফুপা(সম্রাট আকবর) কেও নিয়ে আসতে বলেন। এর পরে আমরা জানতে পারি প্রচন্ড অপমানিত হয়ে মান সিং ঐ স্থান ত্যাগ করলে মান সিং এর এর বসার জায়গার মাটি কুপিয়ে উঠিয়ে ফেলা হয় তার স্পর্শ করা সমস্ত বাসন কোশন ভেঙ্গে ফেলা হয় এবং গঙ্গাজল ছিটিয়ে ঐ স্থান পবিত্র করা হয় এবং মান সিং এর উপস্থিতির সময়ে মহারানা প্রতাপ ও তার সঙ্গীদের শরীরে যে পোশাক ছিলো তাও আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয় কারন ওগুলো মানসিং এর উপস্থিতির কারনে অপবিত্র হয়ে গেছিলো।

রানা প্রতাপ
এই ঘটনা রানা প্রতাপ এর নিচু মন এবং সংকীর্ন চিন্তা ভাবনার পরিচয় যা তাকে সম্রাট আকবর এর সম্পুর্ন বিপরীতে দাড় করিয়ে দেয়।আকবর যে কোন সংকীর্নতার বিরুদ্ধে ছিলেন জাতি ধর্ম বর্নের উর্ধে উঠে তিনি সবসময় মানুষের মেরিট বা গুন এর দিকটিই দেখেছেন তাই মান সিং এর মত হিন্দু রাজপুতকেও তিনি মির্জা(যা শুধুমাত্র তৈমুর এর বংশধরদের উপাধি)উপাধি দিয়েছেন। মান সিং কে তিনি ফারজান্দ(পুত্র) বলে ডাকতেন।পরবর্তীতে মান সিং হলদিঘাটির যুদ্ধে রানা প্রতাপকে পরাজিত করেন এবং এই বিজয় এতটাই ফলপ্রসু ছিলো যে মুঘলদের হাতে ধরা না পড়লেও রানা প্রতাপকে বহুবছর পাহাড়ে পাহাড়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে।
আকবর যেখানে চরম বিদ্রোহীদের ও ক্ষমা করে দিতেন(বৈরাম খান, এবং সৎ ভাই মির্জা হাকিম এমনকি পুত্র জাহাঙ্গীরের বিদ্রোহের অপরাধও তিনি ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এমনকি লেখক বাদাউনি এবং নকশবন্দি পীর খাজা বাকি বিল্লাহ তার উদার ধর্মমতের কারনে তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আন্দোলন শুরু করলেও তাদের কোনরকন অত্যাচার বা নির্্যা তনের শিকার হতে হয় নি ) রানা প্রতাপ সেখানে ত্রাস কেই ক্ষমতা জাহির করার একমাত্র উপায় ভাবতেন, হলদিঘাটির যুদ্ধে পরাজয়ের পর রানা প্রতাপ যখন পাহাড়ে পালিয়ে বেরাচ্ছিলেন তখন তার সঙ্গী সাথী এবং চাকরদের প্রতি চরম নির্দেশনা ছিলো যে তারা পাহাড় থেকে নিচে নামতে পারবে না। রানা প্রতাপ এর নিজ ছাগলের পাল এর রাখাল এই নির্দেশনা কিছু সময়ের জন্য অমান্য করে কারন পাহাড়ে ছাগলের খাবার জন্য পর্্যাএপ্ত ঘাস হয় না এবং খাবারের অভাবে প্রানীগুলো ধুকে ধুকে মারা যাচ্ছিলো। তাই ওই রাখাল পাহাড়ের ঠিক নিচেই গজিয়ে ওঠা ঘাস খাওয়ানোর জন্য প্রানী গুলোকে কিছু সময়ের জন্য পাহাড়ের নিচে নিয়ে যায় এবং রানা প্রতাপ এর সেন্ট্রিদের হাতে ধরা পরে এবং পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় অত্যাচার করে তাকে হত্যা করা হয়।শুধু তাই নয় তার মৃতদেহ একটা গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয় অন্য সবাইকে ভয় দেখানোর জন্য।
বিজেপির ঘার ওয়াপসি সারা বিশ্বে ভারতকে অসহিষনু রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। তবে বিজেপির কর্তা ব্যাক্তিরা হয়তো এটা জেনে চমকে ঊঠবে যে এই ঘার ওয়াপসি সুচনা করেছিলেন সম্রাট আকবর। সম্রাট এক ফরমানের মাদ্ধমে জোরপুর্বক ধর্মান্তরিত সকল হিন্দু কে তাদের নিজের ধর্মে ফেরত যাবার সুযোগ করে দেন এবং এর জন্য যেন কাউকে হেনস্থার শিকার হতে না হয় সেটাও তিনি নিশ্চিত করেছিলেন।জিজিয়া কর এর বিলোপ এবং পরধর্ম সহিষ্ণুতা সম্রাট আকবর কে তার হিন্দু প্রজাদের কাছে আপন করে তোলে এমনকি অনেক হিন্দু তো তাকে বিষ্ণুর অবতার ভেবে নেয়। তার স্তুতি করে রচিত গান গুলো রাজপুতানার গ্রাম্য কবিদের মুখে মুখে ফিরতে থাকে।
যদিও হোয়াটস এ্যপ ইউনিভার্সিটির গ্রাজুয়েটরা আকবরের নেয়া সমস্ত পদক্ষেপকেই রাজনৈতিক চাল বলে বাতিল করে দিতে চান,হয়তো আকবরের অনেক পদক্ষেপই হয়তো তাকে রাজনৈতিক সুবিধা এনে দিয়েছে কিন্তু তিনি তার প্রচার করা মতবাদ ব্যাক্তিজীবনেও পালন করে গেছেন। যেখানে বর্তমান রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকারা নির্বাচনের সময় নাগাল্যান্ডের ঐতিহ্য বাহী ধনেশ পাখির পালক দিয়ে তৈরী মুকুট এবং পাঞ্জাবী শিখদের দাস্তার মাথায় পড়ে মুখে ধর্ম নিরপেক্ষতা কথা বললেও মুসলিমদের টুপি পড়তে বেমালুম ভুলে যান,
আকবরের বৈপ্লবিক চিন্তাধারার মুল উৎস সুলহ-ই-কুল নামক এক ধারনা যা চিশতি তরিকার সুফি সাধক রা প্রচার করতেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মদ্ধে শান্তিপুর্ন সহাবস্থান ছিলো এই মতবাদের মুল উদ্দ্যেশ্য। আমাদের সময়ের সমাজবিজ্ঞানীরা ও এই ব্যাপারে একমত হবেন যে এমনকি এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও আমরা আকবরের রাজত্ব কালের সামাজিকসহাবস্থান উদাহরন কে পার হয়ে যেতে পারি নি।
যদিও বিজেপি মুখপাত্র শাইনা এনসি সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় দাবি করেছেন আকবরের সুলহ-ই-কুল এবং হিটলারের ফাইনাল সলিউশন আসলে একই। যদিও নেটিজেনদের হাস্যরস সৃষ্টি এবং ডানপন্থিদের বুদ্ধিবৃত্তিক দেউলিয়াপনা প্রকাশ করা ছাড়া এই টূইট কোন কাজে আসে নি।
স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে বিজেপির রাজপুত সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার মুঘলদের ইতিহাস থেকেই মুছে ফেলতে চাইছে, এটা খুবই কৌতুক কর যে এরা সেই রাজপুত যাদের প্রত্যক্ষ সাহায্যেই মুঘল শাসন ভারতে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিনিময়ে রাজপুতরা ভারতের রাজনিতীর কেন্দ্রে ঊঠে আসে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




