
এলাকাবাসী হারিয়েছেন, সরকার নজর দিলে এটি হবে দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্রে। মনোমুগ্ধ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর প্রকল্পটিতে ঝরনার পানি আছড়ে পড়ছে। চিকচিক বালিতে যেন সকালের মিষ্টিরোদ আলো ছড়ায় আর অস্তগামী সূর্যের লালিমা মাখা অনন্ত ছায়া যেন ঢলে পড়ে। এখানে এলেই বাওয়াছড়ায় মনমোহনীরূপ আপনাকে আকৃষ্ট করবেই। চট্টগ্রাম এম ই এস কলেজ থেকে ঘুরতে আসা শিক্ষার্থী রনি ভৌমিক বলল, এখানে আমি প্রথম এসেছি। এত চমৎকার দৃশ্য সবারই মন জুড়াবে। জানা গেছে, গত সরকারের আমলে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলাভিত্তিক প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিলে উপজেলার ১৫নং ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সালাহ্উদ্দিন সেলিম এ প্রকল্পের প্রস্তাব দেন। পরে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা প্রকল্পটি পরিদর্শন করেন এবং এলাকার লোকজনের মতামত নিয়ে এটি বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। নেদারল্যান্ড সরকার আর্থিকভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সহযোগিতা করে।
শুধু তাই নয়, এ প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারলে প্রকল্পের লেকে সংরক্ষণ করা পানি দিয়ে এলাকার প্রায় ১৪০০ একর জমিতে বিভিন্ন মৌসুমে ফসলাদি চাষ করা যাবে। এতে প্রায় ১৮ হাজার দরিদ্র কৃষক সাবলম্বী হবে। বিশেষ করে ইরি, বোরো, আউশ, আমন, বিভিন্ন জাতের শাক, টমাটো, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, আলু, কপি, শিম, বরবটি, ঢেঁড়স, ধুন্দুলসহ সব ধরনের রবিশস্য উৎপাদিত হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৩৪-৩৫ সালে প্রকল্পটি চালু ছিল। কিন্তু পাকিস্তান আমলে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে ১৯৭২ সালে প্রকল্পটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আর বাস্তবায়ন হয়নি। সম্প্রতি প্রকল্পটিকে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঢাকা থেকে এলজিইডির প্ল্যানিং কমিটির প্রধানসহ একটি প্রতিনিধিদল প্রকল্পটি পরিদর্শন করে গেছেন।
মিরসরাইয়ের বর্তমান সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন প্রকল্প এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন শেষে জানান, বাওয়াছড়া প্রকল্পটিকে চট্টগ্রামের ফ'য়স লেকের আদলে গড়ে তোলা গেলে এটিই হবে চট্টগ্রামের অন্যতম পর্যটন স্পট। বাওয়াছড়া প্রকল্পটি রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে পর্যটকদের তীর্থস্থান হওয়ার পাশাপাশি ওই এলাকায় কাজের সৃষ্টি হবে এবং এতে বেকারত্ব হ্রাস পাবে।
প্রকৃত লেখক: রিগান উদ্দিন, মিরসরাই
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




