somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খাদ্য পাত্র, ফুড গ্রেড প্লাস্টিক এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি - কতটুকু সচেতন আমরা?

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আদিকাল থেকে মানুষ খাদ্য অন্বেষণে ছুটেছে এবং সেই খাদ্য সংগ্রহ করে রাখতে উদ্যোগী হয়েছে। আর এই খাদ্য সংরক্ষনে যুগে যুগে মানুষ ধাতব পাত্র ব্যবহার করে এসেছে। পাথরের জামবাটি থেকে শুরু করে অধুনা লুপ্তপ্রায় মাটির মালসা। অনেক দীর্ঘকাল ব্যাপী এইসব প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি পাত্রে খাদ্য সংরক্ষিত এবং পরিবেশিত হয়ে এসেছে। কিন্তু শিল্প বিপ্লবের পর হতে ধীরে ধীরে এইসব প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি পাত্র দৃশ্যপট হতে প্রস্থান করা শুরু করেছিল। আজকের এই বিশ্বায়নের যুগে খাদ্য পরিবহন, সংরক্ষন থেকে শুরু করে পরিবেশনের পুরোটাই জুড়ে আধিপত্য প্লাস্টিকের। আমাদের ঘরের চারিপাশে একটু লক্ষ্য করি অথবা কোন খাদ্য বিক্রেতার দোকানে, যেখানে খাবার, সেখানেই থাকবে প্লাস্টিকের ব্যবহার। এইতো কিছুদিন আগেও যেসব খাদ্যদ্রব্য কাঁচের বোয়ামে পাওয়া যেত, আজ সে সকলের স্থানও প্লাস্টিকের কৌটা দখল করে নিয়েছে। আর শুধু এখানেই নয়, আগে যেসব তৈজসপত্র ব্যবহৃত হত পিতল, কাসা, এলুমিনিয়াম বা মাটির, সেসকলের জায়গা দখল করেছে প্লাস্টিকের বিকল্প পাত্র। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় এই প্লাস্টিকের পাত্র কতটা স্বাস্থ্যসম্মত? আর কতটা স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়ে যায় এই প্লাস্টিক পাত্র ব্যবহারে?


প্লাস্টিক কি?
“প্লাস্টিক” শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ “প্লাস্টিকস” থেকে যার অর্থ স্বচ্ছন্দে যে কোন আঁকার দেয়া যায় এমন কিছু। ১৮৪৫ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার পার্কস নাইট্রো-সেলুলোজ, প্লাস্টিসাইজার ও অন্য দ্রাবক পদার্থের মিশ্রণে তৈরি করেন আজকের এই প্লাস্টিক। প্লাস্টিক মূলত কার্বন যৌগের একটি চলমান শিকলের জটিল গঠন যার মূল উপাদানে রয়েছে কার্বনের সাথে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন এবং সালফারের জটিল রাসায়নিক বন্ধন। এই প্লাস্টিক তার প্রতুলতা, সহজলভ্যতা, তুলনামূলক ব্যয়সাশ্রয়ী এবং পরিবহন, ভঙ্গুরতা সহনশীল সহ আরও অনেক কারণে প্রচলিত অন্যান্য সকল উপাদান টপকে আজকের বহুল ব্যবহৃত উপাদানের স্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছে।

প্লাস্টিকের প্রকারভেদ
আমাদের চারপাশে আমরা নানান রকম প্লাস্টিক দেখতে পাই। এগুলোর মধ্যে রয়েছে এক্রেলিক্স, পলিসটার, সিলিকন, পলিউইরেথিন, হ্যালোজেনেটেড প্লাস্টিক ইত্যাদি। মূলত প্লাস্টিকের মূল প্রকারভেদ হয় দুটি বিভাগেঃ থার্মোপ্লাস্টিক (যে প্লাস্টিক একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় তার আকৃতি পরিবর্তন করে এবং শীতল হয়ে সেই আকারের কঠিন আকৃতি ধারন করে) এবং থার্মোসেটিং প্লাস্টিক (এটা মূলত পেট্রো ক্যামিক্যাল যা ২০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বা তার উপরে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় নির্দিষ্ট রূপে প্লাস্টিক যৌগ গঠন করে)।

ফুড গ্রেডেড প্লাস্টিক
আমাদের চারিপাশের দৃশ্যমান প্লাস্টিক পণ্যের সবগুলোই কিন্তু পেট্রোলিয়াম বা প্রাকৃতিক গ্যাস হতে সৃষ্ট। তাই বলে সকল প্লাস্টিক সমগোত্রীয়? আপনার পানীয় বোতল আর গাড়ির টায়ার? আসলে না, মূল গঠন উপাদান কার্বন যৌগ হলেও বিস্তর ফারাক রয়েছে উপরোক্ত দুটি পণ্যে। আজকের দিনে “ফুড গ্রেড প্লাস্টিক” শব্দটির সাথে আমরা সবাই কমবেশী পরিচিত, তাই না? আসলে ফুড গ্রেড প্লাস্টিক কি? ফুড গ্রেড প্লাস্টিক মূলত এইচডিপিই (উচ্চ ঘনত্বের পলি ইথিলিন) যা দীর্ঘ সময়ব্যাপী ১১০ ডিগ্রী তাপমাত্রা পর্যন্ত রাসায়নিক বিক্রিয়া প্রতিরোধ করতে সক্ষম। আরেক ধরণের ফুড গ্রেড প্লাস্টিক আছে যার নামের সাথে আমরা অধিক পরিচিত, তা হল পেট (পিইটি), পলি ইথিলিন টেরিফেলেট, সাধারন পানীয় যে বোতলে থাকে। এই পেট প্লাস্টিক হল বহুল ব্যবহৃত প্লাস্টিক যা খাদ্য সংরক্ষন এবং পরিবেশনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের প্রকারভেদ
ফুড গ্রেড প্লাস্টিক তিন ধরণের হয়ে থাকে। এগুলো একটু দেখে নেয়া যাকঃ


১) HDPE (হাই ডেনসিটি পলিইথিলিন) :
- তাপমাত্রা সহনশীলতা সীমা ২৩০ ডিগ্রী ফারেনহাইট
- রিসাইক্লিং নাম্বার ২
- পাঁচ লিটারের তরলের কৌটা বা গ্যালনগুলো এই শ্রেনীভুক্ত। (আমাদের দেশেরগুলো কতটুকু এই আওতায় পড়ে তা জানিনা। কিন্তু আন্তর্জাতিক ষ্ট্যাণ্ডার্ড তাই বলে)


২) LDPE (লো ডেনসিটি পলিইথিলিন):
- তাপমাত্রা সহনশীলতা সীমা ১৭৬ ডিগ্রী ফারেনহাইট
- রিসাইক্লিং নাম্বার ৪
- ১৮ লিটারের জার (আমাদের দেশে কোনগুলো এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে আমার জানা নেই)


৩) Polyporpelene (পলি প্রোপেলিন):
- তাপমাত্রা সহনশীলতা সীমা ২৭৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট
- রিসাইক্লিং নাম্বার ৫
- দইয়ের কৌটা, আইস্ক্রিমের লিটারবক্স এগুলো এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত।


ফুড গ্রেড প্লাস্টিক ষ্ট্যাণ্ডার্ড
উন্নত বিশ্বে ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের জন্য নির্দিষ্ট নিয়মনীতি রয়েছে। কোন ধরণের খাদ্যপণ্য কোন ধরণের প্লাস্টিক পাত্রে বাজারজাত করা যাবে তার একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। আমাদের দেশে এই ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট আইনের সল্পতা প্রকটভাবে লক্ষণীয়।

মানব স্বাস্থ্যের ঝুঁকি এবং প্লাস্টিক
ফুড গ্রেড প্লাস্টিক মানেই কি স্বাস্থ্য নিরাপদ? আমরা সচরাচর যে প্লাস্টিক পণ্য খাদ্য পরিবহন, সংরক্ষণ এবং বাজারজাতকরণের জন্য ব্যবহার করে থাকি তার একটি ব্যবহার মেয়াদ এবং রিসাইক্লিং মেয়াদ থাকে, যা সম্পর্কে আমরা বেশীরভাগ মানুষই অজ্ঞ। সাধারণ কোমল পানীয় এবং মিনারেল ওয়াটারের বোতল আজকেরি দিনে বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত পানির পাত্র। এর সাথে রয়েছে নানান প্লাস্টিকের পাত্র যেগুলোর উৎপাদন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় রিসাইক্লিং প্লাস্টিক হতে এগুলো তৈরি।

কিন্তু কোন কোন পণ্য রিসাইক্লিং হচ্ছে? ঔষধের সিরিঞ্জ থেকে শুরু করে ক্যামিকেলের পাত্র, সব রিসাইক্লিং হচ্ছে। কিন্তু তাও কোন বৈজ্ঞানিক উপায়ে নয়। পুরাতন ঢাকার ইসলামবাগ, কামরাঙ্গিচর, চকবাজার এলাকার আশেপাশের প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানা ঘুরে দেখা যায়, সাধারণভাবে পানি দিয়ে দৃশ্যমান ময়লা অপসারন করে প্লাস্টিক পণ্যগুলো মেশিন্যে ভেঙ্গে দানা বা পাউডার করে সেগুলো মল্ডিং মেশিনে গলিয়ে নানান পণ্য তৈরি হচ্ছে যা ব্যবহৃত হচ্ছে খাদ্য সংরক্ষণ এবং পরিবেশনে। এতে করে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে আমাদের জনগণ। কিন্তু কারো কোন খেয়াল কি আছে? মাসের পর মাস আমরা পানীয়ের প্লাস্টিক বোতলে পানির সাথে ক্যামিকাল কম্পাউন্ড নামক বিষ শরীরে প্রবেশ করাচ্ছি।


কি করনীয়
প্রথমত প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার কম করে ধাতব তৈজসপত্র ব্যবহারে মনোযোগী হন। এলুমিনিয়াম, স্টিল, কাসা, পিতলের সাথে আমাদের ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈজসপত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। প্লাস্টিকের পাত্রের ক্ষেত্রে দেখে নিন এটা ফুড গ্রেড কি না? পানির বোতল প্লাস্টিকের না হয়ে কাঁচের হতে পারে। প্লাস্টিকের তৈজসপত্র কিনতে হলে ভালো ব্র্যান্ডের এবং ফুড গ্রেড নিশ্চয়তা পেলে তবেই কিনুন।


কিভাবে জানবেন প্লাস্টিকটি ফুড গ্রেড কি না?
সত্যিকার অর্থে আজকের দিনে প্লাস্টিক পাত্রকে উপেক্ষা করা এতো সহজ নয়। আর তাই খাদ্য কৌটা বা পাত্রের ফুড গ্রেড নিশ্চিত হওয়া খুবই জরুরী। আসুন দেখি কীভাবে নিশ্চিত হবেন পাত্রটি ফুড গ্রেড কি নাঃ

* সবচেয়ে সহজ উপায় হল পণ্যের রিসাইক্লিং নাম্বার দেখা। এই নাম্বার ১ থেকে ৭ পর্যন্ত হয়ে থাকে। সবচেয়ে ভালো প্লাস্টিক পাত্র যা খাদ্যের জন্য উপযুক্ত তা হল HDPE, যার রিসাইক্লিং নাম্বার হল ২। এছাড়া রয়েছে PETE, LDPE এবং PP এদের রিসাইক্লিং নাম্বার যথাক্রমে ১, ৪ এবং ৫।


* পণ্যের গায়ে কিছু চিহ্ন থাকে, যেমনঃ “কাঁটা-চামচ এবং কাপ” যা দ্বারা বুঝায় পণ্যটি খাদ্য সংরক্ষণের উপযুক্ত; বিকিরণ চিহ্নযুক্ত ঢেউ যা বুঝায় পণ্যটি মাইক্রোওয়েভে নিরাপদ, এছাড়া রয়েছে ফ্রিজার সেইফ, ডিশওয়াশার সেইফ ইত্যাদি চিহ্ন। এইসব চিহ্ন অনেকটাই পণ্যের ফুড গ্রেড নিশ্চয়তা প্রদান করে। কিন্তু একটা কথা, যদি এগুলো যথাযথ নিয়ম মেনে ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশে যে কেউ ইচ্ছা করলেই যে কোন চিহ্ন ব্যবহার করতে পারে, ফলে? সাধু সাবধান।

* পণ্যের গায়ে যদি সিল করা সটীকার বা লেবেল থাকে, তবে তা চেক করুন। কারণ, কৌটা যদি ফুড গ্রেড হয়ে থাকে তাহলে লেবেলে এসব চিহ্ন দেয়া থাকবে অথবা লিখিত আকারে উল্লেখ করা থাকবে।


* কোন পাত্রে খাবার সংরক্ষণের পূর্বে যাচাই করে নিন এটা খাবার বা পানীয় সংরক্ষণের জন্য প্রস্তুত করা কি না? যদি নিশ্চিত না হন, তবে তা পরিহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

* সকল ধরণের খাদ্যর একটি নিজস্ব ধরন আছে, সেই জন্য ভিন্ন ভিন্ন খাবারের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পাত্র প্রয়োজন। যেমন, উচ্চ অম্লজাতীয় পণ্যগুলো প্লাস্টিক পাত্রে না রাখাই ভালো, কারণ এখানে রাসায়নিক বিক্রিয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। যেমনঃ টমেটো, লেবুর রস ইত্যাদি।

* জেনে রাখুন রিসাইক্লিং নাম্বার ১ হল একবার ব্যবহারের জন্য তৈরি প্লাস্টিক পণ্য। রিসাইক্লিং নাম্বার ২, ৪, ৫ হল ফুড গ্রেড নাম্বার। আর ৩, ৬, ৭ মোটেও খাদ্যের জন্য উপযুক্ত প্লাস্টিক নয়।

* দীর্ঘ সময় ধরে একই প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার না করা ভাল। প্রতিটি প্লাস্টিক পণ্যের একটি নির্দিষ্ট ব্যবহার মেয়াদ থাকে, এরপর তা ব্যবহার না করাই ভালো। এতে করে প্লাস্টিক কেমিক্যাল রিএকশন এড়ানো সম্ভব।

* নিয়মিত প্লাস্টিকের কৌটো ভালোভাবে পরিস্কার করুন এবং ধোয়া শেষে ভালোভাবে বাতাসে শুকিয়ে নিন।

এইতো, আর কি? আমি নিজে ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের অভাব বোধ করি প্রতিনিয়ত। প্লাস্টিকের বোতলে পানি পান করি, নিজেই নিজের শরীরে বিষ ঢুকিয়ে দিচ্ছি। আসুন প্লাস্টিক পণ্য যতটা পারা যায় উপেক্ষা করি, প্রাকৃতিক মৌলের তৈরি পণ্য ব্যবহার করি। সবচেয়ে ভালো হয় মাটির পাত্র ব্যবহার করতে পারলে।

সবশেষে একটাই কামনা, আসুন সচেতন হই, নিজের স্বাস্থ্যের জন্য, নিজের ভবিষ্যতের জন্য। সামান্য অবহেলা ডেকে আনে মারাত্মক ক্ষতি। দোয়া করি, সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

তথ্য কৃতজ্ঞতাঃ
http://en.wikipedia.org/wiki/Plastic
http://www.wikihow.com/Identify-Food-Grade-Buckets
http://gwcontainers.com/food-grade-plastic-what-is-it/
http://fivegallonideas.com/plastic-types-old/
http://modernsurvivalblog.com/preps/food-and-water-survival-storage/
http://ec.europa.eu/food/food/chemicalsafety/foodcontact/legisl_list_en.htm
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×