কিছু প্রশ্ন বেশ আসে, মুলত নতুনরাই বেশি করে।
অনেকে প্রশ্ন করেন, "আমার SSC তে - X.XX, HSC তে - X.XX, আমার জন্য ইউরোপের কোন দেশ ভালো হবে?" আপনার SSC / HSC দ্বারা আপনার ইউরোপের ভাগ্য নির্ধারিত হবে না। এমনকি ব্যাচেলর/মাষ্টার্সের রেজাল্টেও খুব বেশি কিছু যায় আসে না। ব্যাপারখানা এমন নয় যে, রেজাল্ট ভালো হলে, কোনো দেশে যাওয়া যাবে বা খারাপ হলে যাবে না। তাই আপনার SSC / HSC এর সাথে কোনো দেশে যাওয়া না যাওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। অনেকে জানতে চান," কোন্ দেশে গেলে সহজে PR/Citizenship পাওয়া যায়?" উত্তর হলো, কোনো দেশেই এখন আর সহজে PR/Citizenship পাওয়া যায় না। সোজা বাংলায় স্টুডেন্ট হিসাবে স্থায়ী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যারা স্থায়ী হয়, তারা কেউ ছাত্র হিসাবে হয় না, বরঞ্চ বিয়ে/এসাইলাম ইত্যাদি নানা ফ্যাসাদে গিয়ে হয়ে থাকে। তাও বর্তমানে খুবই কঠিন, ৮-১০ বছরও লেগে যায়। কিছু দেশ পিএইচডি ধারীদের জন্য সুযোগ রেখেছে, কিন্তু কজনই বা আর পিএইচডি করছে। তাই এসব প্রশ্ন এখন অবান্তর। আর তাছাড়া কোনো দেশে গেলে সহজে PR/Citizenship পাওয়া যায়, জেনেই বা লাভ কী? সহজ দেশ দেখে ইউরোপে ঢোকার পরদিন দেখবেন, আসলে সবাই যত সহজ বলে, তত সহজ না। আরেকটা কমন প্রশ্ন, "পার্টটাইম কাজ করে খরচ চালানো যাবে?" আরে ভাই, ইউরোপে ঢোকাটাই মুশকিল হয়ে গেছে, আপনি আছেন পার্টটাইমের টেনশানে। ব্যাপারখানা এমন যেন খরচ চালানো না গেলে আপনি আসবেন না। কিংবা খরচ চালানো গেলে আপনি চাইলেই চলে আসতে পারবেন। আবার এমনও না যে, কোন বাংলাদেশি কোটি টাকা নিয়ে আসে, তারপর বসে বসে খায় কিংবা কেউ পার্টটাইম কাজের অভাবে না খেয়ে মরে গেছে। এসব প্রশ্ন আসলে নেহায়েত দায়সারা প্রশ্ন। কারণ, কাজের ব্যাপারটা সম্পুর্ণ আপেক্ষিক, অনেকে আপনাকে এই প্রশ্নের উত্তরে হ্যাঁ বলবে এবং অনেকেই না বলবে, উভয়েই সঠিক। "সহজে ভিসা কোন দেশে পাওয়া যায়?"- এটা সবচেয়ে মজার এবং অদ্ভুদ প্রশ্ন। প্রথম কথা হলো, সহজ এবং কঠিনের সঙ্গা কি সবার কাছে একই? আপনার কাছে যেটা কঠিন, একজন উদ্যমী রিয়েল স্টুডেন্টের কাছে হয়তো খুবই সহজ। দ্বিতীয়ত, প্রসিডিউর মেনে এপ্লাই করলে সব দেশেই তো সহজ। ব্যাপারখানা আসলে সহজ/কঠিন না, আপনি কতটুকু সতর্কতার সাথে আগাচ্ছেন সেটাই ফ্যাক্ট। এগুলা আমার অবজারভেশান, সত্যতা নয়। অনেকের অবজারভেশনে তাই ভিন্নতা থাকতে পারে, থাকাটাই স্বাভাবিক। ফ্যাক্ট ইজ, এসব প্রশ্নগুলো সাব্জেক্টিভ। কোন সুনির্দিষ্ট উত্তর নেই। কোন সত্য-মিথ্যা নেই। একটা দেশে ছাত্র ভিসায় পড়তে আসার পিছনে অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে। মজার বিষয় হচ্ছে, এই ফ্যাক্টরগুলো যতটা না দেশ/বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা আইনকানুনের উপর নির্ভর করে, তারচেয়ে বেশি ছাত্রের উপর নির্ভর করে। তাই ইউরোপের কোন্ দেশের কি অবস্থা জেনে কান্ট্রি নির্বাচন করার পাশাপাশি; ক্যান্ডিডেট হিসাবে আপনার কি অবস্থা তাও জেনে রাখা ভালো। আসলে কখন কিভাবে কম্বিনেশান হয়ে যাবে, কেউ বলতে পারে না। তাই যতবেশি চেষ্টা, ততবেশি কম্বিনেশান, ততই সম্ভাবনা।
বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আসতে হলে বিশাল মেধাবী কিংবা ড্যাম স্মার্ট হওয়ার দরকার নাই। তবে যে দুইটা জিনিষ আসলেই দরকার সেটা হলো কেয়ারফুল অবজারভেশান আর ডিসিশান মেকিং এবিলিটি। কারন এটা একটা লং প্রসেস, এখানে গতি হারানো এবং হতাশ হওয়া খুবই কমন দুটি সমস্যা। তাই প্রথমে নিজে কিছু স্টাডি করেন, তারপর পরেরটা শুনেন, এরপরে কমপেয়ার করেন-ডিসিশান নেন। সবশেষে, একশান, এসপার নয় ওসপার। আপনাকে তখন ঠেকাবে কে, সফলতা পিছনে ঘুরঘুর করবে। একশ পার্সেন্ট গ্যারান্টি- বিফলে মূল্য ফেরত।
বি:দ্র: শিরোনামে ফাক বলতে FAQ বা Frequently Asked Questions বুঝানো হয়েছে!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:০৯