ফেনীতে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে নারীদের সম্পৃক্ততা বাড়ছে। এসব নারী দিন দিন আত্মনির্ভরশীল হচ্ছেন। কমছে তাদের পরনির্ভরশীলতা। বিপণনের পাশাপাশি ওইসব নারী দর্জি শ্রমিক, বিভিন্ন বীমা কোম্পানি, পার্লার, এনজিও, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনছেন। ফেনী শহরের নাছিমা টেইলার্স, তৈয়ব টেইলার্স, কাজী লেদার হাউস, বিনিময় টেইলার্স, রোজ বিউটি পার্লার, নিহা, চাঁদনী, পপি, আনন্দ, সৌদিয়া, আবরণ, কারু, পূর্ণিমা, কেয়া, মনেরেখো ও বাঁধন লেডিস টেইলার্সসহ প্রায় ১০০ প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন নারীরা। এসব প্রতিষ্ঠানে একদিন যারা কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন তারা এখন অনেকে নিজেই প্রতিষ্ঠানের মালিক। এ রকম এক নারী নাসিমা আক্তার (২৮)। বর্তমানে তিনি ফেনী সুপার মার্কেটের নাছিমা লেডিস কর্নারের মালিক। তার প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩০ জন শ্রমিক কাজ করেন। এর মধ্যে ৮ জন বেতনভুক্ত ও প্রোডাকশনে কাজ করেন। অন্যরা শিফটে কাজ করেন, কেউ আবার কাজ শিখছেন, অনেকে আবার শিক্ষানবিশ হিসেবে বেতন পান।
নাছিমা লেডিস টেইলার্সে চাকরি করেন রাজাপুর গ্রামের হাসিনা আক্তার। বেতন পান ৫ হাজার টাকা। তার স্বামীর নাম আলাউদ্দিন। দুজনই একই পেশায় নিয়োজিত। তারা দুজনেই সংসারের হাল ধরেছেন। এক সময় তাদের সংসারে দুঃখ-কষ্ট ও টানাহেঁচড়া চলতো। বর্তমানে তারা সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন। নাছিমা আক্তার জানান, তারা ভাইবোন ৫ জন। এক সময় অন্যের প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন নাছিমা, টাকাও ইনকাম করতেন অনেক, কিন্তু স্বাধীনতা ছিল না। ছিল না আস্থা ও পারস্পরিক বিশ্বাস। তাই একটু কষ্ট করে নিজেই গড়ে তোলেন নাছিমা লেডিস টেইলার্স নামে এ প্রতিষ্ঠান। প্রতি মাসে এখানে আয় হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এ টাকা দিয়ে সংসার চলছে। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানটি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তিনি আরো জানান, এ প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় বেকাররা যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন তেমনি তারা আত্মনির্ভরশীল হচ্ছেন।
নেওয়া হয়েছ নোয়াখালী ওয়েব থেকে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




