অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে জব্দকৃত ব্যাংক হিসাবগুলো আগামী সাতদিনের মধ্যে খুলে দেয়া হবে।
একই সঙ্গে বিদেশ থেকে ফেরত আনা টাকা কাউকেই ফেরত দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সফররত ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়াও ঝাও এর সঙ্গে মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে এক 'বৈঠকের' পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে জব্দ করা ২৯৮টি ব্যাংক হিসাব এই সরকার খুলে দেবে কিনা জানতে চাওয়া হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, "সাতদিনের মধ্যেই হিসাবগুলো খুলে দেয়া হবে। কারণ যখন এই হিসাবগুলো জব্দ করা হয়েছিল, তখন দেশে জরুরি অবস্থা ছিল। এখন দেশে স্বাভাবিক আইন রয়েছে। এই অবস্থায় এই হিসাবগুলো খুলে দেয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।"
বিদেশে পাচার হওয়া যে বারোশত কোটি টাকা ফেরেেত এসছে, তা কাউকেই ফেরত দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
এই টাকা কোন খাতে ব্যবহার করা হবে, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, "এসব টাকা ব্যবহারের ব্যাপারে খুব দ্রুতই সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। এটা সরকারের টাকা। এই টাকা সরকারের নির্দিষ্ট তহবিলে চলে গেছে। যদি সংশ্লিষ্টরা এ ব্যাপারে আদালতের আশ্রয় নেয়, তাহলে সরকার তা মোকাবেলা করবে।"
এডিবির কাছে পদ্মা সেতু নিমার্ণের জন্যে বাড়তি সাহায্য চাওয়া হবে কিনা , এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর নকশা প্রনয়নে এডিবি অর্থায়ন করছে। প্রাথমিক পর্যায়ের এই কাজ শেষ হলে প্রয়োজনে তাদের কাছে আরো আর্থিক সাহায্য চাওয়া হবে।
এডিবির কর্মকর্তার সাথে কি কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা হলো সৌজন্য সাক্ষাৎ। এ সময় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের বিরাজমান সহযোগিতার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় এডিবির অর্থায়নে চলমান প্রকল্পগুলো নিয়েও আলোচনা হয়।
এ বিষয়ে জিয়াও ঝাও বলেন, "এটি ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। অর্থমন্ত্রী একসময় আমার সহকর্মী ছিলেন। তাই তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। বাংলাদেশের সঙ্গে এডিবির চমৎকার সম্পর্ক আছে। এ সম্পর্ক যদি ভবিষ্যতেও অটুট থাকে, তাতে বাংলাদেশ লাভবান হবে।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম থেকে নেওয়া হয়েছে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




