কোরআন শরীফ-ই প্রমাণ : তারাবীহ ৮ নয় ২০ রাকাআত!!!
বিরোধীদের প্রতি চ্যালেঞ্জ রইলো দেখে নিন।
---------------------------------------------
-----------------------------------
---------------------------------------------
----------------------------------------
পবিত্র কোরআন শরীফে সূরা, আয়াত ও রুকু রয়েছে। কোরআন শরীফের যে সব বিষয় বস্তুর নাম রয়েছে, সে গুলোকে সূরা বলে, আর যে সব বাক্যের ভিন্ন ভিন্ন নাম নেই, সে গুলোকে আয়াত বলা হয়। কিন্তু রূকু কে রূকু কেন বলা হয় তা জানা দরকার। কেননা সূরার অর্থ হলো কোন বিষয়কে পরিবেষ্টন করা, আর আয়াত অর্থ হলো চিহ্ন, যেহেতু সূরা একটি বিষয় বস্তুকে অন্তর্ভুক্ত করে, যেমন সূরা বাক্বারা, সূরা বালাদ ইত্যাদি। আর আয়াত আল্লাহ’র কুদরতের চিহ্ন হিসেবে বিবেচ্য, তাই এ নাম করণ যথার্থ হয়েছে। কিন্তু কোরআনের রূকুকে রূকু কেন বলা হয় তা বিশ্লেষণ করে দেখা দরকার। রূকু অর্থ নত হওয়া। তাজবীদের কিতাব সমূহ দ্বারা জানা যায় যে, হযরত ওমর ও উছমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা তারাবীহ’র নামাজ যে পরিমান কোরআন পাঠ করে রূকু তে যেতেন, সে অংশের নাম ‘রূকু’ রাখা হয়েছে। জেনে রাখা ভালো আল কোরআনে ৫৪০ রূকু আছে।
তারাবীহ’র নামাজ ২০ রাকাআত এবং রামাদানের ২৭ তারিখে কোরআনের খতম হিসেব ধরলে, কোরআন পাকে মোট ২৭*২০=৫৪০ টি রূকু হওয়ার কথা।আর কোরআন শরীফে ৫৪০ টি রূকু রয়েছে। যদি ৮ রাকাআত তারাবীহ’র নামাজ হতো, তাইলে রূকুর সংখ্যা হতো ৮*২৭=২১৬, ৮*৩০=২৪০ ইত্যাদি হত।
সুতরাং কোরআনের রূকুর সংখ্যাই প্রমাণ করে তারাবীহ’র নামাজ ২০ রাকাত। কোন আহলে হাদীছ বা সালাফী-নজদী ৮ রাকাআত তারাবীহ’র সমর্থনে কোরআন শরীফের রূকুর কোন ব্যাখ্যা কিয়ামত পর্যন্ত দিতে পারবেন?????
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮