পৃথিবীর ইতিহাসে প্রত্যেকটা জাতিই কিছু না কিছু ভারে আক্রান্ত। ঐ জাতির প্রতিনিধিরা বা সরকার প্রধানরা ইচ্ছাকৃত ভাবেই জাতিকে ভারমুক্ত করছে না। সম্পূর্ণ ভারমুক্ত হয়ে গেলে মধ্যাকর্ষনের প্রভাবে জাতিকে আর মাটিতে ধরে রাখা যাবে না। কারণ তখন আর ভূকেন্দ্রে কোন আকর্ষন জাতির উপর থাকবে না। রাষ্ট্রের জাতিশূন্য হওয়ার আশংকা দেখা দিবে।
যেমন ধরেন পাকি জাতি, পাকিস্থান সরকার ৭১-রে গণহত্যার জন্য বাংলাদেশের কাছে দু:খ প্রকাশ করে সহজেই জাতিকে ভারমুক্ত করতে পারে কিন্তু তারা তা করছে না। সরকার চাইছে না পাকিজাতি ভারমুক্ত হোক, কারণ সেই একটাই।
ইণ্ডিয়ানদের কথা কি আর বলব, সীমান্তে হত্যা, পানি আটকানো বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন ব্যাপারে নাক গলানো
বিশ্বের বিভিন্ন জাতির ক্ষেত্রে এ রকম আরো অনেক উদাহারণ দেওয়া যাবে, এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশ। এ সরকার এসেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের ফাঁসি দিয়ে ১ম দফার জাতিকে হালকা করে দিলেন। জাতির ৩৫ বছরের পাথর এক ধাক্কায় নামিয়ে দিলেন। জাতি প্রায় ভারমুক্ত হয়েই গিয়েছিল কিন্তু কিছু কিছু ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ মুক্ত হতে পারছিল না। সরকার এবার উদ্যোগ নিল আরো একটা ধাক্কা দিয়ে জাতিকে আরো ভারমুক্ত করবে। ফলশ্রুতিতে গত ২৭ মার্চ বিদেশী বন্ধুদের সন্মাননা দিয়ে ৪০ বছরের পুরাণো আরো একটা বোঝা জাতির কাঁধ থেকে সরিয়ে দিলেন।
জাতি এইবার ভারমুক্ত হয়ে বেশ ফুরফুরা মেজাজে আছে কিন্তু আরো একটা পাথর যে গত ৪০ বছর যাবৎ জাতিকে প্রায় কুঁজে করে রেখেছে তা জাতি গত ৩ বছরে আস্তে আস্তে টের পাচ্ছে। সরকার বুঝাতে চাইছে এই পাথরটা এতই ভারী যে এটাকে মুক্ত করতে না পারলে ভূকেন্দ্রের আকর্ষন বাড়তে বাড়তে জাতিকে তলিয়ে যেতে হতে পারে যে কোন সময়। নতুন অথচ অনেক পূরাতন এই ভারটা হলো যুদ্ধাপরাধীরা। তাদের বিচার করা হয়ে গেলে আশা করা যায় জাতি সম্পূর্ণ রূপে ভারমুক্ত হয়ে যাবে। জাতি নিজেদের ওজনহীন ভাবতে শুরু করবে। যে জাতি এত বছর যাবৎ এত বিশাল বিশাল পাথরের চাপের মধ্যে ছিল তাকে সম্পূর্ণ ভারমুক্ত করা হলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
আমি নিজেও ভারমুক্ত হতে চাইছিলাম
তাই আমি যে এত সহজেই ভারমুক্ত হচ্ছিনা তা মুটিমুটি নিশ্চিত.....
ধন্যবাদ সবাইকে.

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




