বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রাক্তণ প্রধান প্রকৌশলী। রহমতুল্লাহ নামটা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জড়িয়ে আছে একজন আত্নসাৎকারী, দুর্নীতিবাজ ও চরম দলীয়করনের উজ্জল আইকন হিসাবে।
৩৭ বছর আগে বাকৃবিতে নিয়োগের পর থেকেই বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে উঠেছে বিভিন্ন আভিযোগ কিন্তু উপর মহলের সাথে উঠাবসার কারনেই প্রমাণ সত্ত্বেও বার বার পার পেয়ে গেছে। বছর দশেক আগে তার আত্নসাৎ নিউজ নিয়ে বাকৃবিতে অনেক পোষ্টারিং হয়েছে লেখালেখি হয়েছে তখনই আমি তাকে চিনতে পারি। সেবারও উপর মহলের আশির্বাদে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এভাবে চাকরীর শেষ দিন পর্যন্ত বাকৃবিকে চোষে চেষে সে হয়েছে কোটি কোটি টাকার মালিক। অথচ প্রতিবারই প্রশাসন থেকেছে নিরব। অনেকেই তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হলেও হালে পানি পায়নি। প্রচণ্ড আওয়ামী ঘরনার এই দুর্ণীতিবাজ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে উঠাবসার কারণে কেউই তাকে নিয়ে ঘাটাঘাটি করার সাহস পায়নি।
আজ আবারো শুনলাম নতুন একটা নিউজ। তাকে ঢাকা ওয়াসার নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অনেককেই বলতে শুনেছি সে রিটায়ারম্যান্টের পর ব্যস্থ ছিল এরকম বড় কিছু পাওয়ার ধান্ধায়। শেষ পর্যন্ত সফলও হয়েছে। সরকার যোগ্য ব্যক্তিকেই ওয়াসার চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ দিয়ে দলীয়করনের উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
আমার প্রশ্ন ওয়াসার চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য অন্য কোন যোগ্য ব্যক্তি কি ছিল না? সরকার সমর্থণকারী তুলনামূলক ভাবে কম দুর্নীতিবাজ যোগ্য কাউকে এই পদে বসানো যেত। সরাসরি জনসেবার সাথে সংশ্লিষ্ট এই ধরণের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রধান কোন স্বীকৃত দুর্ণীতিবাজ হলে তা মোটেও গ্রহনযোগ্য নয়।
ঢাকাবাসী এইবার টের পাবে রহমতুল্লাহ কি জিনিস।
Click This Link