আজ কোন কিছু লিখতে ইচ্ছে হলো না।নিজের মতামত কতো আর তুলে ধরবো।কিছু লিখতে গেলে তো আবার নানা জনের নানা মত।এই সরকারের বিপক্ষে কিছু বললে তো অনেকে রাজকার বা চেতনাবিরোধী বানিয়ে দেয়।হয়তো সবাই নিউজ টা পড়েছেন তারপর ও সবার সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে হলো...
আজ(২৭ নভেম্বর) শহীদ ডা. মিলন দিবস। শুক্রবার সকাল থেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজে অবস্থিত ডা. মিলনের সমাধিস্থল ও টিএসসিসংলগ্ন মিলন বেদি বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ছেয়ে যায় ফুলে ফুলে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে জীবন দিলেও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পুনর্বাসনকে বেদনাদায়ক বলে মন্তব্য করেছেন মিলনের মা সেলিনা আখতার।
সকাল সাড়ে ৮টায় সমাধিস্থলে আসে শহীদ মিলনের পরিবার। ডা. মিলনের মা সেলিনা আখতার উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকারকে আবার পুনর্বাসিত করা হলো। সরকারে এখন তিনি আছেন, সেটা আমাদের জন্য শহীদের মায়েদের যারা গণতন্ত্রের জন্য, পরিবর্তনের জন্য আত্মদান করে গেছে, শহীদ হয়ে গেছে, রক্ত দিয়ে গেছে তাঁদের কাছে এটা কষ্টদায়ক, বেদনাদায়ক। আমরা চাই দেশের গণতন্ত্র সঠিকভাবে পরিচালিত হোক।’
এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সাংবাদিকদের বলেন, ‘ব্যক্তি যিনি স্বৈরাচারের সঙ্গে যুক্ত, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, এ মুহূর্তে সাংবিধানিক শাসনের সঙ্গে এবং গণতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে কোনো অবস্থান নাই। যারা মহাজোটের সরকারে আছে, তাঁরা সাংবিধানিক শাসন মেনে নিয়েছে এবং স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেন, ‘শহীদ মিলনের রক্ত বৃথা যায়নি। আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি এবং সে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অব্যাহত আছে।’(সূত্র Ntv অনলাইন নিউজ)
একটা প্রশ্ন জাগলো তারমানে কি এই সরকারের সাথে যে কেউ মিলে গেলে বা যোগ দিলে তার অতীতের সব দোষ মাপ হয়ে যাবে!!যেমনটা ইনু বা এরশাদের বেলায় হচ্ছে।হাসিনা কে তো আমার সব থেকে বড় রাজাকার মনে হয়।আর তার সরকার তো আর বড় রাজাকারের দল।এসব দেখার,পড়ার বা শোনার পর ও জানি এই অন্ধ জাতি চোঁখ মেলে তাকাবে না।যেমন করে আমি নিজেও চোঁখ বন্ধ করে রেখেছি।হায় আমার দেশ,যেখানে কেবল ক্ষমতার জন্য মেয়ে তার বাবার জন্য মায়া কান্না কাঁদতে পারে।যেখানে ক্ষমতার জন্য স্বৈরাচার আপন বন্ধু হতে পারে।যেখানে ক্ষমতার জন্য রাজাকার বেয়াই হতে পারে।আমার সোনার বাংলা।সোনার বাংলা হতে পেরেছ কিন্তু সোনার মানুষ জন্ম দিতে পারো নি।