চমৎকার....
অসাধারণ আমাদের বিচার ব্যবস্থা । কি দক্ষ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ কামাল হোসেনের ভ্রাম্যমাণ আদালত !!!!!!!!
প্রকাশ্যে খুন করে বুক ফুলিয়ে পুলিশ নামক জানোয়ারদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে দাবড়ে বেড়ানো যায় এই দেশে..........
ধিক সরকারকে.......... ধিক এই বিচার ব্যবস্থাকে..........

হরতালের সময় পুলিশের নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিটির এক বছরের সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর দিলকুশা এলাকায় পুলিশ তাঁর গলা ও বুকে বুট দিয়ে চেপে ধরে।
গতকাল শুক্রবার পত্রিকায় ছবিটি ছাপা হয় । মতিঝিল থানার পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম ইউসুফ আলী। থানার কাগজপত্রে তাঁর বাবার নাম মোহাম্মদ আলী, গ্রামের বাড়ি নীলফামারী সদরের ব্যাঙমারী ডাঙ্গাপাড়া বলে লেখা রয়েছে। বর্তমান ঠিকানা শাহজাহানপুরের ২৮/এ রেলওয়ে কলোনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দিলকুশা এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে হরতালের সমর্থনে জামায়াতের একটি মিছিল বের হয়। পুলিশ ধাওয়া দিয়ে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মিছিলকারীরা বিভিন্ন ভবনে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এ সময় মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ফটকে ইউসুফ আলীকে আটক করে পুলিশ। তাঁকে সেখানে ফেলে মারধর ও বুট দিয়ে চাপা দেওয়া হয়। এ সময় ইউসুফ বলতে থাকেন, ‘ভাই, আমি মিছিল করি নাই।’ পুলিশ তাঁর কথায় কান না দিয়ে ভ্যানে তোলার পর আবার মারধর করে।
পুলিশ জানিয়েছে, থানায় আনার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ কামাল হোসেনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ইউসুফকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। থানার কাগজপত্রে ইউসুফের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিবরণীতে লেখা রয়েছে, ‘বিক্ষোভ মিছিল করে সদর রাস্তা দিয়া আসার সময় উচ্ছৃঙ্খল মিছিলকারীদের বিক্ষোভের কারণে গাড়ি চলাচল বিঘ্ন ঘটেছে ও জনমনে ভীতি ও ত্রাসের সৃষ্টি হয়েছে।’ তাঁকে দণ্ডবিধির ৩৫৩ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
প্রথম আলোর নীলফামারী প্রতিনিধি ইউসুফের গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মিলন ও তৌহিদুল নামের দুজন গ্রামবাসী জানান, ইউসুফ ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করেন।
এদিকে গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলী ও ঢাকায় অবস্থানরত কেন্দ্রীয় নেতাদের জরুরি বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বিষয়টি তোলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীর। পরে এ বিষয়ে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা আলোচনা করেন।
সূত্র জানায়, বৈঠকে বলা হয়, এ ঘটনা সত্য হয়ে থাকলে তা সরকারের জন্য বিব্রতকর। তবে এর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। অনেকেই মনে করেন, এটা কারসাজিমূলক অথবা পরিকল্পিত। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে কেউ ষড়যন্ত্রমূলক এটা করতে পারে। কারণ, হরতালের দিন বিরোধী দলের এ রকম কোনো পিকেটিং ছিল না যে পুলিশকে কঠোর কোনো ব্যবস্থায় যেতে হবে। পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত হয়। ঘটনার সত্যতা জানতে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।
যোগাযোগ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন এ বিষয়ে ফোনে কথা বলতে অসম্মতি জানান।
সূত্র:প্রথম আলো

এন টিভিতে প্রচারিত পূর্ণ ভিডিও দেখুন......

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




