হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেন- “দাজ্জালের সাথে স্বরচিত জান্নাত-জাহান্নাম থাকবে। সুতরাং তার জাহান্নাম হবে প্রকৃত জান্নাত এবং জান্নাত হবে প্রকৃত জাহান্নাম।-” (মুসলিম)
অপর বর্ণনায়- “দাজ্জালের সাথে পানি এবং আগুন থাকবে। সুতরাং তার পানি হবে প্রকৃত আগুন এবং আগুন হবে ঠাণ্ডা পানি।-” (বুখারী-মুসলিম)
আরো বলেন- “আমি ভাল করেই জানি, দাজ্জালের সাথে কি থাকবে। তার সাথে দু-টি নদী থাকবে। দেখতে একটিকে সাদা পানি এবং অপরটিকে জ্বলন্ত আগুনের মত মনে হবে। তোমরা যদি দাজ্জালকে পেয়ে যাও, তবে তার আগুনে ঝাপ দিয়ে দিও!!” (মুসলিম)
অপর বর্ণনায়- “চোখ বন্ধ করে আগুনের মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে পান করতে থেকো! কারণ, সেটি ঠাণ্ডা পানি।-” (মুসলিম)
দাজ্জাল কিসের দাবী করবে?
মহা-দুর্ভিক্ষের কালে দাজ্জাল খাদ্যদ্রব্য নিয়ে এসে বলবে, “আমি হচ্ছি সমগ্র জগতের পালনকর্তা। হে লোকসকল! তোমরা আমার প্রতি ঈমান আন! আমি তোমাদের খাদ্য দেব, পানীয় দেব, সম্পদ দেব, যা চাও- সব দেব”। নবী করীম সা. বলেছেন- “স্মরণ রেখো! দাজ্জাল কিন্তু একচোখে কানা হবে। আর তোমাদের প্রকৃত পালনকর্তা কানা নন!!” (বুখারী)
আবু উমাম বাহেলী রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেন- “দাজ্জালের পূর্বে তিনটি মহা দুর্ভিক্ষময় বৎসর অতিবাহিত হবে। প্রাকৃতিক সকল খাদ্যোপকরণ ধ্বংস হয়ে গেলে মানুষ প্রচণ্ড খাদ্যাভাবে পড়ে যাবে। প্রথম বৎসর আল্লাহ আসমানকে এক তৃতীয়াংশ বৃষ্টি এবং জমিনকে এক তৃতীয়াংশ ফসল বন্ধ করে দেয়ার আদেশ করবেন। দ্বিতীয় বৎসর আল্লাহ আসমানকে দুই তৃতীয়াংশ বৃষ্টি এবং জমিনকে দুই তৃতীয়াংশ ফসল বন্ধ করে দেয়ার আদেশ করবেন। তৃতীয় বৎসর আল্লাহ আসমানকে সম্পূর্ণ বৃষ্টি এবং জমিনকে সম্পূর্ণ ফসল বন্ধ করে দেয়ার আদেশ করবেন। ফলে এক ফোটা বৃষ্টি-ও বর্ষিত হবে না। একটি শস্য-ও অঙ্কুরিত হবে না। আল্লাহ চাহেন তো মুষ্টিমেয় ছাড়া সকল ছায়াদার বস্তু ধ্বংস-মুখে পড়ে নিঃশেষ হয়ে যাবে (অর্থাৎ গাছ, পালা ও বৃক্ষকুল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে)। ‘সেদিন তাহলে মানুষ কি খেয়ে জীবন ধারণ করবে হে আল্লাহর রাসূল?’ প্রশ্নের উত্তরে নবীজী বললেন- তাকবীর (আল্লাহু আকবার পাঠ) এবং তাহমীদ (আলহামুদিলাল্লাহ পাঠ) মানুষের পাকস্থলিতে খাদ্যের কাজ দেবে।-” (ইবনে মাজা)
রাশেদ বিন সাঈদ থেকে বর্ণিত, ইস্তাখির (পারস্য রাজাদের বসবাসস্থল ও ধন সম্পদে সর্বোন্নত নগরী) যখন বিজয় হয়, ‘দাজ্জাল বেরিয়ে গেছে, দাজ্জাল বেরিয়ে গেছে’ বলে- এক ঘোষক ঘোষণা করতে থাকলে ইবনে জুছামা তার কাছে এসে বললেন- “চুপ কর! নবী করীম সা.কে আমি বলতে শুনেছি- “দাজ্জাল ততক্ষণ পর্যন্ত বের হবে না, যতক্ষণ না মানুষ তার কথা ভুলে যাবে, মিম্বর থেকে দাজ্জালের আলোচনা উঠে যাবে।”
সামনে আরো বিস্তারিত বিবরণ আসছ...