''দাজ্জালের আবির্ভাব''
আরব বেদুইন
আবু উমামা থেকে বর্ণিত দীর্ঘ হাদিসে নবী করীম সা. বলেন- “দাজ্জাল বেদুইনের কাছে এসে বলবে- “ওহে বেদুইন! আমি যদি তোমার মৃত পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিই, তবে আমাকে প্রভু বলে মেনে নিতে তোমার কোন আপত্তি থাকবে? বেদুইন বলবে- না!! অতঃপর দু’-জন শয়তান তার পিতা-মাতার রূপ ধরে তাকে বলবে- ওহে বৎস! একে অনুসরণ কর! সে তোমার প্রভু!!” (মুস্তাদরাকে হাকিম)
ইহুদী সম্প্রদায়ঃ
আনাছ বিন মালিক রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেন- “আসফাহান অঞ্চলের সত্তর হাজার চাদর পরিহিত ইহুদী দাজ্জালের অনুসারী হবে।-” (মুসলিম)
রাজধানী তেহরান থেকে ৩৪০ কিঃ মিঃ দূরে অবস্থিত মধ্য ইরানের প্রসিদ্ধ একটি প্রদেশ আসফাহান। সরকারী গণনানুযায়ী সেখানে প্রায় ৩০ হাজার ইহুদী বাস করে থাকে।
দাজ্জালের অনুসারী অধিকাংশ-ই ইহুদী, কেন?
উত্তরঃ কারণ, ইহুদীদের ধর্মীয় বিশ্বাস- দাজ্জাল হচ্ছে তাদের প্রতীক্ষিত মাছীহা।ইহুদীরা মনে করে, আল্লাহ পাক তাদের জন্য দাউদ আ.-এর বংশের একজন বাদশা’র প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সে ইহুদীদের বিস্তৃত রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করবে। -মিছিয়াহ- বলে যাকে তাদের গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইহুদীদের ধর্মীয় প্রথায় -দাজ্জালের তড়িৎ আগমন প্রত্যাশায় বিশেষ উপাসনা করা হয়। ইহুদীদের পাসোভার উৎসবের রাতে দাজ্জালের কল্যাণ কামনায় বিশেষ প্রার্থণা করা হয়।
ইহুদী ধর্মশাস্ত্র তালমূদে বর্ণিত হয়েছেঃ
“মাছীহের আগমনকালে খাদ্য শস্য এবং পশমের পোশাকে বিশ্ব ভরে যাবে। সেদিন যবের একটি দানা গাভীর বৃহৎ স্তন সদৃশ হবে। সেদিন বিশ্বময় ইহুদী কর্তৃত্ব ফিরে আসবে। সবাই মাছীহকে অনুসরণ করবে। সেদিন প্রত্যেক ইহুদী’র ২৮০০ (দু-হাজার আটশত) করে সেবক থাকবে। জল-স্থল সর্বত্র তার-ই নেতৃত্ব চলবে। তবে অনিষ্টদের শাসনব্যবস্থা সমাপ্ত হলে-ই মাছীহ’র আগমন হবে।”
২) কাফের ও মুনাফিক সম্প্রদায়
আনাছ বিন মালিক রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেন- “মক্কা-মদীনা ব্যতীত সকল শহরে-ই দাজ্জালের অপতৎপরতা ছড়িয়ে পড়বে। সেদিন শহরদ্বয়ের প্রতিটি সড়কে ফেরেশতাগণ নাঙ্গা-তলোয়ার হাতে পাহারায় থাকবেন। দাজ্জাল -ছাবখা প্রান্তরে এসে উপনীত হলে মদীনায় তিনটি ভূ-কম্পন অনুভূত হবে। ফলে সকল কাফের-মুনাফেক মদীনা থেকে বেরিয়ে দাজ্জালের দলে চলে যাবে।-” (বুখারী-মুসলিম)
সামনে আরো বিস্তারিত বিবরণ আসছ...