খননের স্বেদে তবু আনন্দ দুলছে ঝিলমিল
বুকের পাঁজরে তবু রৌদ্রের সঞ্চয়
সুবর্ণ রুমাল, পুষ্পঘ্রাণ ---
যদিওবা ওরা সব চলে যাচ্ছে পথভোলা জাগ্রত চোখে
পৃথিবী জানে না একটা দমকা বাতাস এখনো
মুক্তির বদলে পাঁজর কবরে রয়ে গেছে
নক্ষত্রহীন আকাশে আরো দীর্ঘতর অসীমার চোখ;
না-লেখা এক কবিতার সমস্ত মুখে
একশত একটি বাগানের গন্ধরাজ
রাতের আলোতে ডুবে গেছে
সেইখানে জেগে আছে তীব্র ঘূর্ণির তুরপুন,
যাবতীয় প্রত্ন খোঁজ শেষে
বিদ্ধ নিসর্গ বুকে ধরে
অতলে নিমজ্জিত আজন্ম আবৃত্তির কোলে
ঘুমিয়ে পড়েছে পৃথিবীর লিথোস্ফিয়ার
সমস্ত মৌন শিশির আঙ্গুলে জড়িয়ে
কবিতায় উঠে আসছে ঢেউবিস্মরণ
শৌখিন জাদুগরের হাত থেকে মিলিয়ে যাচ্ছে
একের পর এক সুবর্ণ রুমাল, পুষ্পঘ্রাণ...