তার অশ্বখুরের নালের স্ফূলিঙ্গ -
সেই আগুনরেখা চলে গেছে সীমানার ঐ পাড়
গন্ধমৃগের বনে সূর্যবিগ্রহ হাতে নিয়ে মন্দিরে চলে গেছে
রাত্রি তাড়িত পুরুষ
এই শ্যামভূমির বেথুয়া শিশির বিন্দু বিন্দু সরে গেছে চিরপ্রবসন
নূপুর মুখর নীলকুঠি পড়ে আছে এইখানে
হায় ইউফোনিয়াস কুহু !
ফাগুনে ফিরে যাও এবার – একা
নামগন্ধ মুছে ফেল তিলে তিলে প্রসারিত নাম
অনন্তশীতের কথা মনে রেখো না
সীমান্ত ডিঙিয়ে চলে গেছে যে
তার দৃষ্টিসিক্ত মুখ নিয়ে বসে আছে এই পাড়
টেরাকোটার চিহ্নগুলি তুলে তুলে নিয়ে গেছে গন্ধমৃগের বন
সহবন্দী করে নিয়ে গেছে কাঠশিল্পীর পেন্সিল
রঙের বণিক তুমি নিয়ে গেছ কৃষ্ণচূড়ার অক্ষর, মাতোয়ালা টেলেফোনি
ধৃতিমান! ফেলে গেছ প্রতারিত সংসার আর কৃষ্ণকোকিল
পাখি তুমি বসন্তে ফিরে যাও,
কারণ অশ্বারোহী বলে গেছে
'একঝাঁক পাখি স্বর্গচুরি রঙে উড়ে আসতেই হঠাৎ বৃষ্টি
বৃষ্টি শ্যামল মুখের ওপর পড়ে মুক্তার মত দানা,
তার ছড়িয়ে যাওয়ার শব্দে নেমে এসেছিল গহন বনের ঘুম
একটা দিনকে নিয়ে মশালের মুখে ধরতে পারি চৈত্র ঝিলিক দিন
আর সব মৌসুমে ছুড়ে দিতে পারি বহুবর্ণের ধাঁধা;
বৃক্ষের সাথে কথা আছে, বৃক্ষ তুমি ঋষি
আর আমি নদীকে ছুঁয়ে দিয়েছিলাম চিত্রার কাজল'
এইসব কথা সে ফাগুনের কাছে বলে
চলে গেছে।