দুঃখিনী বর্ণমালা, আজও তোমার চোখে জল?
আজ আর তোমাকে দুঃখ জাগানিয়া কবিতা শোনাব না।
এই শেষ প্রহরে দুঃখের কবিতা কারইবা ভালো লাগে, মিথ্যা কথার যত কথামালা!
খোলা আকাশের নীচে যে টোকাইরা দুঃখিনী মায়ের সাথে ঘুমিয়ে পরে,
দুঃস্বপ্নের দেশ ছেড়ে সেই দুঃখিনী মায়েরাও আজ খুশী তার ছেলের খুশীতে।
আজ আমি সেইসব খুশির কথা বলব।
অথবা যে পথভোলা উদ্ভ্রান্ত প্রেমিক, প্রেমিকার শেষ চিঠি খুঁজে ফেরে,
এই গভির রাতে বিরহ তাকে ছেড়ে চলে যায়,
ঘনকালো দাড়ি শেভ করে সেও রাস্তায় খুশীতে নেমে পড়ে।
যে সমস্ত তোমার ছেলেরা বিএমডব্লিউ হাঁকিয়ে ধুলো উড়িয়ে যায়,
তারাও এই শেষ প্রহরে রাস্তায় নেমে পড়ে বুকে সবুজ আর লাল জার্সি পড়ে।
এই শহরে কতশত হায়নার বসবাস,
অথচ টিন এজ্্ড মেয়েরাও সতর্ক মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে।
যে সাংবাদিক তাঁর ছোট কন্যাকে চুমু খেয়ে কাজে বেরিয়ে পড়ে,
তাঁর আর কাজে যাওয়া হয় না, সেও রাস্তায় নেমে পড়ে।
শুধু যে সমস্ত কাকেরা বঙ্গভবনে অথবা সংসদ ভবনে নিয়ত বিষ্ঠা ত্যাগ করে
তারা সবার বিপরীতে ঘুমে আচ্ছন্ন থেকে যায়।
দুঃখিনী বর্ণমালা, জানি তোমার আকাশে শুধু মেঘ আর বৈশাখী বাতাস
বৃষ্টি হয়ে ঝরে পরে, তবু দেখ,
তোমার ছেলেরা এখন কাজেও বড় হয়েছে।
(উৎসর্গ শামসুর রাহমান)
(ছবি সৌজন্যঃ প্রথম আলো)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬