ঢাকা, এপ্রিল ০২ - 'রাজাকার শব্দটি খুবই সম্মাানের' বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী। বুধবার একটি দুর্নীতির মামলার বিচার কাজ চলাকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সংসদ ভবন এলাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সামসুন্নাহার বেগমের আদালতে বুধবার সাকা চৌধুরী নিজেই মামলার বাদীকে জেরা করছিলেন। এক পর্যায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম হাফিজ বিচারককে বলেন, উনি (সাকা) যেভাবে জেরা করছেন তাতে দীর্ঘ সময় লেগে যাবে। আজকেই (বুধবার) তাকে জেরা শেষ করতে বলুন। না হলে ৬০ কার্য দিবসের মধ্যে মামলার বিচার শেষ করা যাবে না।
বিচারক সাকা চৌধুরীকে আগামী রোববার বাদীর জেরা শেষ করতে বলেন।
বিচারকের কথায় সায় দিয়ে সাকা চৌধুরী বলেন, "আমি সাচ্চা মুসলমান। কথার বরখেলাপ হবে না। রাজাকার হিসেবে আমার খ্যাতি আছে। এ জন্য আমি গর্বিত। রাজাকার শব্দটি খুবই সম্মানের (হাইলি অনারেবল)।"
এর আগে বাদীকে এলোমেলো প্রশ্ন করা বিচারক তাকে বলেন,"ভাত ঘুরিয়ে খেলে গলায় ঠেকবে। সোজা প্রশ্ন করুন, সোজা উত্তর পাবেন।"
বিচারকের এমন কথার জবাবে সাকা চৌধুরী বলেন,"আপনি যখন বলেছেন, আমি সোজা ভাত খাবো। সাহস যখন দিচ্ছেন তাহলে ঘুরিয়ে ভাত খাবো না।"
গত বছরের ১৩ জুন সম্পত্তির তথ্য গোপন ও জানা আয়ের উৎস বহির্ভুত সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে সালাহউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন কমিশনের সহকারী পরিচালক আকতার হামিদ ভূঁইয়া।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামি অবৈধভাবে ৯ কোটি, ৪৫ লাখ ৫২ হাজার ৬'শ ৩২ টাকার সম্পত্তি অর্জন করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ৯১ লাখ ৪২ হাজার টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপন করেছেন।
তত্ত্বাবধায় সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৮ ফেব্র"য়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন দেশের ৫০ জন রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, আমলা ও অন্যান্যদের তালিকা প্রকাশ করে ৭২ ঘন্টার মধ্যে স্ত্রী সন্তানসহ স্থাবর--অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব জমা দিতে বলে। ওই তালিকায় সালাহউদ্দিন কাদেরের নামও ছিল।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে গত ৩ ফেব্র"য়ারি গভীর রাতে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




