দেশ নিয়ে আর বেশি ভাবতে ইচ্ছে করে না।ভাবতে গেলেই কষ্ট লাগে। আর দেশ নিয়ে ভাবার জন্যে তো বড় বড় কেউকেটারাই আছেন সেখানে আমি এক বুয়েট ছাত্র কোন ছাড়। তারপরও কিছু কিছু ঘটনা দেখে আসলেই চুপ থাকা টা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। দেশের জন্য হয়তো কখনোই কিছু করতে পারবনা তারপরও কখনো কখনো মানুষের নির্লজ্জতা মাথাটাকে কিঞ্চিত গরম করে দেয়। জি হ্যা আমার মাথাটা এখন কিঞ্চিত গরম । ঘটনার উৎস হল একটি সংবাদ সম্মেলন। গত ৩ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন টি করেছিল বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি। তাদের দাবি সরকার ৭ তারিখের মধ্যে ৩০০০ কোটি টাকা না দিলে তাদের পক্ষে কারখানা শ্রমিকদের ঈদের বেতন বোনাস দেওয়া সম্ভব হবে না। কারন তারা নাকি অর্থকষ্টে আছেন। !! হ্যা তাদের এমনি অর্থকষ্ট যে সংবাদ সম্মেলনের পরপরই সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়ে তাদের নেতা সালাম মুর্শেদী সদলবলে বড় একটি গ্রুপ নিয়ে চলে গেছেন সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ্ পালনে। এই অর্থকষ্টে থাকা বি জি এম ই এর নেতাদের অধিকাংশই এখন সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। সালাম মুর্শেদি সাহেব হয়তো আসলে অর্থকষ্টের সংজ্ঞা জানেন না। একজন গার্মেন্টস শ্রমিক যে বেতন পায় সেটা হয়তো উনার একদিনের খরচের চেয়েও অনেক অনেক কম। এরপরও বি জি এম ই এ অসহায় শ্রমিকদের কে ব্যবহার করে সরকারকে জিম্মি করে টাকা আদায়ের যে চেষ্টা করল সেইটা আসলেই লজ্জাজনক। ইতিমধ্যেই সংসদীয় কমিটি দাবি করেছে যে বিশ্ব মন্দার ধাক্কা আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরে তেমন প্রভাব ফেলেনি এবং এই সেক্টরে প্রবৃদ্ধি গত বছরের চেয়েও বেশি। এবার হয়তো সরকার শ্রমিকদের পক্ষে থাকল কিন্ত অর্থকষ্টে ভোগা কোটিপতি বি জি এম ই এ নেতারা আবারও যে শ্রমিকদের পেটে লাথি মারার চেষ্টা করবেনা তার নিশ্চয়তা কই ??
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




