কেন মাটির গন্ধ ভুলে গেছি আমি,
কেন ফুলের গান, পাতার শব্দ ক’দশক ধরে নিভে আছে?
আজ আমি যে ঘরে—এটা কি আমারই ঘর?
অন্ধকারে সত্যিকারের ঘর আমায় ডাকে,
আমিও সাড়া দিই তাতে বাউল গানের সুরে।
নদীর কলকল এখনো শোনা যায় অন্ধকারে,
জালের ছিটকে পড়া শব্দে জেগে ওঠে অতীত,
যে অতীত নদী হয়ে বয়ে গেছে আত্মার গভীরে—
চোরাবালির মতো গ্রাস করেছে তার সবকিছু।
মাঝে মাঝে মনে হয়—
আরেকটু সাহসী হলে বদলে যেত সব,
যে সিদ্ধান্ত ভদ্রতা আর কর্তব্যকে হার মানাতো।
এখনো স্বপ্নে আসে—
পিঁপড়ের বাসা, মৌচাক, বটগাছ, বাঁশঝাড়
সন্ধ্যার বাতাসে বাদুড়ীর উন্মত্ত নৃত্য।
সেই পথেই ফিরে যাই আমি,
দেহ–আত্মা–সময় সবকিছু বিকিয়ে দিই
মাটির গন্ধ আর শিকড়ের ছন্দের কাছে।
প্রতিদিনই আমার পুনর্জন্ম ঘটে।
একদিন আমার কণ্ঠেও বাজবে পাতার শব্দ,
যে শব্দ শেকড় থেকে কোনোদিন আলাদা হয় না।
আমি আর পাশ কাটাব না আমার জন্মের আহ্বান।
ইতিহাসও লুকিয়ে আছে এই সাড়ে তিন হাত দেহে—
তালাবদ্ধ ড্রয়ারে বন্দি করে রেখেছি তাকে।
কিন্তু সে ইতিহাস শুধু আমার একার নয়,
বাতাস, নদী, মানুষ, মাছ, পাখি—
সবাই যুক্ত আছে তার ভেতরে।
আজ অন্যায় দেখে চুপ থাকা
হয়ে গেছে আধুনিক ফ্যাশন।
হে নীরব মানুষ, সেই নীরবতাই হোক তোমাদের মাতৃভাষা—
যার প্রতিধ্বনি বাজুক আমার হৃদপেশিতে।
তোমাদের প্রাণ চায় না?
এই হিংসা আর ক্ষুধা থেকে পালিয়ে
ফিরে যেতে আমাদের আপন ঠিকানায়—
মাটির গন্ধে, শিকড়ের ছন্দে?
#পুনর্জন্ম


অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



