
রাত পোহায়নি, দিন শুরু হয়নি। খাটের উপর শুয়ে আছি চিৎ হয়ে। ঘরে কারেন্ট নেই, অন্ধকার ঘর। গরমে ঘর্মাক্ত আমার শরীর। সাদা দু'টি পায়ের কথা মনে পড়ছে। আধো ঘুম আধো জাগরণে। আমার শরীরের উপর ঘুমায় যারা। এখন তারা কোথায়? আমি হাত দিয়ে খুঁজে বেড়াই। কাল ছিল পেটের উপর আজ বুকে। আমি জানি চোখ খুলে কাউকে দেখা যাবে না। তাই.....
গুন গুন করে গান গাইছি আর ঢোলে বাড়ি দিচ্ছি। হঠাৎই পেছন থেকে কে যেন চোখ ঢেকে দিল দুই হাত দিয়ে। খুব কোমল হাত। আমাকে এখন অনুমান করতে হবে এটা কার হাত। আমাদের থিয়েটারে ৩ টা মেয়ে আছে, যারা আমার চোখ ধরতে পারে। এটা কি পদ্মা, মেঘনা নাকি যমুনা? পদ্মা হবে না কারণ ও আজকে আসবে না, মেঘনা এত আগে আসার কথা না। যমুনা হতে পারে। আমি চিৎকার করে বললাম, যমুনা চোখ ছেড়ে দে। একটা হাসির শব্দ শোনা গেল। হাসিটা অপরিচিত। আমি বুঝতে পারলাম চোখ খুললে কাউকে দেখা যাবে না। তাই.......
নৌকা চালাচ্ছি। স্রোত অনেক তীব্র। একা একা যাচ্ছি। নদীর পাশেই নলখাগড়া বন। বাতাসের শন শন শব্দ শোনা যাচ্ছে। দু'একটি পাখি উড়ে যাচ্ছে। আকাশে মেঘ। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সন্ধ্যা হয়ে আসছে। হাল্কা কুয়াশা দেখা যায় দূরে। নলখাগড়ার ঝোপের আড়ালে কে যেন আছে, না হলে ওরকম নড়াচড়া হচ্ছে কেন। শেয়াল কুকুর হতে পারে কিন্তু নড়াচড়া একই জায়গায় অনেকক্ষণ ধরে চলছে। হঠাৎ একটা মেয়ের চিৎকার শুনে বুকটা ধ্বক করে করে উঠলো। কিন্তু আমি যেহেতু মাঝে মাঝে অশরীরী কথা বার্তা শুনি, আমার কি এত দূরে, নির্জনে ভর সন্ধ্যায়, ঝড় বৃষ্টি হবার প্রাক মুহূর্তে ওখানে যাওয়া ঠিক হবে? প্যারা সাইকোলজি বলে, আমি যাব। কিন্তু আমি গেলাম না। বাতাস থেমে গেল। নদী চুপচাপ। আমি ঘরে ফিরে এলাম।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



