somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সংসার যেখানে যেমন!!!

০৪ ঠা জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সংসার শব্দের খাঁটি বিশ্লেষন হলো এই রুপ:-
সং অর্থ হইল ভং ধরা
আর,
সার অর্থ হইল নিজেরে বিলায়ে দেওয়া
তাইলে এর পুরা মানে হইল, ভং ধইরা নিজেরে বিলাইয়া দেওন।

বিয়ার পরে সব পুরুষ মায়ের আঁচল ছাইরা বউয়ের আঁচল ধরে। বউ যেমনে কয় হেমনে চলে। বউয়ে রাত দুপুরে যদি কয় এহন দিন তাইলে কইতে হইব দিন, এই রকম আর কি।

যাউগ্গা আমার বিশ্লেষন হইল অন্যটা। যেহেতু অবিবাহিত এবং কোন র্গাল ফ্রেন্ড নাই তাই কিভাবে এর সাথে সংসার করে আসছি তারই বিশ্লেষন করার ইচ্চা পোষন করেই এই পোষ্টটা ঝেড়ে দিলাম।

কম্পিউটারের লগে আমার দেহা হইছিল ৯৬ সনে বাপের অফিসে দেইখা এর সাথে প্রথম প্রেমে পড়ছিলাম। সে কি জল্পনা কল্পনা ওরে লইয়া, ডেইলি চইলা যাইতাম বাপের অফিসে তারে একটু দেখার লাইগা, তারে একটু ছোয়াঁর লাইগা। সে কি মজা লাগত। রাইতে ঘুম আইত না, শুদু তারেই ভাবতাম। কিভাবে টিপি দিলে এইডা খুইলা যায়, কোনটায় দুইবার গুতা মারলে এটা ফরফর কইরা নিজেরে মেইলা ধরে আরো কত কি। যাই হোক ডেইলি ডেইলি করতে করতে ৪ বছর ধইরা খালি ওরে ছুইলাম কিন্তু আপনা সাধটা পাইলাম না, কারন ও যে তখন আমার ছিলনা। পরে অনেক কষ্টে বাপেরে রাজি করাইয়া ওরে কিনলাম, বাপে মায়েরে কইল, এইবার দেখবা তোমার পোলা কারাপ হয় কেমনে, মায়ে কয় পোলা এইডা ধইরা ধইরা অনেক কিছু শিখবার পারব। কারন মায়েরে বুজাইছিলাম ওর উপকারিতা কি কি!!!

যেদিন রাতে ওকে পেলাম সেদিন রাতে আর ঘুমালামনা, সারারাত ওকে নিয়েই পড়ে থাকলাম। কত যে টিপাটিপি করলাম। কত কিছুইনা করলাম, একবার এখানে যাই একবার ওখানে যাই, আরো কত কি!!! একটু ঘুমিয়ে আবার সকালে উঠেই ওকে নিয়ে শুরু হয়ে গেলাম। ও খুব ভাল যাই করি না কেন কিছুই বলেনা। আজব!!!

বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে গেল আমার সাথে ওর এই সর্ম্পকের কথা, সবাই আমাকে নিয়ে অনেক হাসাহাসি করল, আমি পাওা দেইনা। পরে আবার ওর কাছেই ফিরে আসি। মন খারাপ হলেই ওর সাথে একসাথে গানশুনি, মুভি দেখি। একদিন এক বন্ধু বল্ল দোস্ত তোরে একটা জিনিস দিমু যখন একলা থাকবি তখন দেখবি, আমি অবাক হইয়া জিগাইলাম কি? ও কয় 'গরম মসল্লা' আমি কই ওইডা ত তরকারী রানতে দেয়, ওইডা দিয়া আমি কি করুম। বন্ধু কয় আরে বুদ্ধু আগে দেখ পরে বুঝবি। যাই হোক বন্ধুর মন রক্ষা করতে জিনিসটা নিলাম, আরে এইডা ত দেহি একটা সি.ডি.। যাই হোক চালানির লগে লগে দেহি কি সব নৃত্য, আর ডলাডলি। বমি চইলা আইল, বাথরুমে যাইয়া লগে লগে ছাইরা দিলাম। পরে হারারাইত মাথাঠা ভন ভন কইরা ঘুরল।

সকালে উঠতে না উঠতে বন্ধুর কাছে গেলাম, গিয়া কাহীনি কইলাম, বন্ধু ত হাসতে হাসতে শেষ, পরে কয় আইচ্ছা এবার এইডা লইয়া যায়, এই কথা কইয়া আরেকটা সি,ডি দিল আবার একলা হইয়া সি.ডি টা ছারলাম, ওমা এবার দিহি দুইডা বিদেশী বেডা বেডী কি সব কান্ড র্কীতি করতাছে, আজব কথা হইল এইবার আর মাথা ঘুরাইল না, পুরা শরীরে একটা উওজনা আইয়া পড়ল, উওজনা থামাইতে বাথরুমে ঠিকই গেছি তয় বমি করতে না, বিশেষ কায়দায় উওজনা কমাইতে। আস্তে আস্তে ওর লগে আমি রাত ভর এই সব দেইখা বেরাই। আর মাঝে মাঝে উওজনা কমাই। এভাবেই চল্ল ৬ বছর। ওর লগে আমার সংসার জীবন চল্ল, অনেকটা বোরিং হইয়া গেছিলাম, পরে এক বন্ধুরে এই কথা কইলাম, বন্ধু একটা ওয়েব ঠিকানা দিল, আমি কইলাম এইডা দিয়া কি হইব? ও কইল আরে ম্যান মাঝে মাঝে কবিতা টবিতা আইলে লেইখা ছাইরা দিস, আর আজাইরা টাইম পাইলে গেজাইস। আমি মনে মনে কইলাম কি আর করা এইডাই করি, শেষে হান্দাইয়া গেলাম, আরে লগে ওরে নিলাম, অবশ্য ওরে না নিলে এটা সম্ভব না।

ভালই চল্ল ৫ মাস, পরে দেহি এর উল্টা রুপ, অন্য সংসারীরা দেহি ঝগড়া লাইগা যায় মাঝে মাঝে আর বাজে বাজে অনেকটা 'গরম মসল্লা'র মত পোষ্ট দেয়, যা পইড়া নিজের গিন্না লাগে, বমি চইলা আসে, গালি হুনলে মনে হয় আমি বস্তির লগে দিয়া হাইটা যাইতেছি। এহন আমি কই যাই কারে কই মনের কথা। যাই হোক আগেই কইয়া দিছি সংসার মানে কি, সুতরাং এহন ডির্ভোস দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় নাই, না জানি কত ট্যাকা কাবিনের খরচ উঠাইতে হইব??? যাউগ্গা আর কি সংসার যেখানে যেমন, কি আর করা যাইব। তবে একটা কাম করন যায়, যত নষ্টের মুল হইল শালা কম্পিউটার, এইডারে আগে তালাক দিতে পারলে একটু দু:খটা কমতো।

যা দিলাম তোরে তালাক ১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯,১০, ৯০,৯২,৯৫,৯৭,৯৯,১০০ তালাক। যা বান্দীর বাচ্ছা বাইর হহহহ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০০৭ রাত ৩:৩৮
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×