বাংলাদেশি জনগণ ৩ প্রকার।
১. ক্ষমতাসীন জনগণ;
২. ক্ষমতাহীন জনগণ;
৩. সাধারণ জনগণ।
১. ক্ষমতাসীন জনগণ: ক্ষমতাসীন জনগণ বলতে আমরা সবাই যা বুঝি- ক্ষমতার অধিকারী দলগুলোকে যে সকল লোকজন সমর্থন করে তাকেই ক্ষমতাসীন জনগণ বলে। অর্থাৎ ক্ষমতাধারী দলগুলো ভুল-ভাল যাই করুক তাকে অন্ধভাবে সমর্থন করে। [দ্রষ্টব্য: দলগুলো ক্ষমতাহীন হলে তারাও ক্ষমতাহীন জনগণে পরিণিত হয়।]
২. ক্ষমতাহীন জনগণ: ক্ষমতাহীন দলগুলোকে যে সকল লোকজন সমর্থন করে তাকেই ক্ষমতাসীন জনগণ বলে। [দ্রষ্টব্য: দলগুলো ক্ষমতার অধিকারী হলে তারাও ক্ষমতাসীন জনগণে পরিণিত হয়।]
৩. সাধারণ জনগণ: যাদের আশা-ভরসার কিছুই নেই। শুধুই হাহাকার। যাদের প্রতিবাদ করার মতো কোনো দৈহিক ও মানসিক ক্ষমতা নেই। যাদের ক্ষমতা ৫ বছর পরপর একবারই আসে। অর্থাৎ ভোটাধিকারী ক্ষমতা। যাদের ভোটে সরকার নির্বাচিত হয়। আশায় বুক ভরে একবার একে ভোট দেয়- আরেকবার ওকে ভোট দেয়। তবুও তাদের আশা পূরণ হয়। [দ্রষ্টব্য: সাধারণ জনগণ কখনই স্বাধীন দেশে কোনো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে পারে না। কারণ তারা দিন আনে দিন খায়। সাধারণ জনগণ মাঝে মাঝে আন্দোলনে বলির পাঠা হয়। যেমনটা হচ্ছে। স্বাধীন দেশে আন্দোলন শুধুই ক্ষমতাসীন জনগণ ও ক্ষমতাহীন জনগণের মাঝেই সীমাবন্ধ। “সাধারণ জনগণ মরলে কখনো ক্ষমতাধারীদের প্লাস পয়েন্ট হয়। কখনো ক্ষমতাহীনদের প্লাস পয়েন্ট হয়।” বর্তমানে চলছেও তা-ই। সাধারণ জনগণের কথা কেউই ভাবে না। স্বাধীন দেশে ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতাহীনদের সঙ্ঘাত কখনো শান্তি আনতে পারে না। শান্তি ফিরাতে সংলাপ বা আলোচনা কোনো বিকল্প নেই। ক্ষমতাসীন দল আলোচনায় আগ্রহী না হলে শান্তি কীভাবে প্রতিষ্ঠা হবে? স্বাধীন দেশে রাজনৈতিক সঙ্ঘাত মুক্ত করতে রাজনৈতিক আলোজনাই পারে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে। আর তা না হলে দুর্ভোগ কবে শেষ হবে জানি না। অর্থাৎ সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ।]