যাদের নাম শুনলেই এক সময় শরীর এর রক্ত হিম হয়ে আসতো
১. জিল দ্য রাই
২. জন ওয়েইন
৩. অ্যান্ডু্র ফিলিপ কুনানন ৪. আন্দ্রেই চিকাতিলো
৫. থিওডোর বাল্ডি
৬. হারমান ওয়েবস্টার মাজেট ৭. অ্যালবার্ট ফিশ
৮. পেদ্রো আলোনসো লোপেস
৯. দ্য জোডিয়াক (এই সিরিয়াল কিলারের আসল
নাম জানা যায়নি)
১০. জ্যাক দ্য রিপার। (এই খুনিকুলশ্রেষ্ঠরআসল নাম
জানা যায়নি)।
জ্যাক দ্য রিপার
ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সিরিয়াল
কিলার। জন্ম ইংল্যান্ডে।
কত বই-পুস্তকযে ওকে নিয়ে লেখা হয়েছে ইয়ত্তা নেই।নানা দেশে ওকে নিয়ে তৈরি হয়েছে অসংখ্য চলচ্চিত্র। ইংল্যান্ডে ঊনিশ শতকের শেষপাদে সে হয়ে উঠেছিল এক মূর্তিমান আতঙ্ক। সবচেয়ে বীভৎস পন্থা বেছে নিত সে। ভিকটিমদের খুন করেই ক্ষান্ত হতো না। তাদের দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে মজা পেত। অ্যানাটমির ওপর ওর জ্ঞান ছিল বেশ পাকা।
২. দ্য জোডিয়াক
ওর প্রকৃত নামটি আজও অজানা। জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়। স্কুলপড়ূয়া বাচ্চারা ছিল ওর আসল টার্র্গেট। ঘৃণ্য এই খুনি সানফ্রান্সিসকো ক্রনিকলে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল। তাতে সে লিখেছিল, ‘আমি জোডিয়াক বলছি। স্কুলপড়ূয়া পিচ্চিরা আমার চমৎকার টার্গেট। ভাবছি একদিন সকালে আস্ত একটি বাস উড়িয়ে দেব। প্রথমে গুলি করব বাসের সামনের চাকায়। আর ওরা (পিচ্চিরা) যখন নেমে আসবে তখন সবগুলোকে ধরে নিয়ে যাব।’ আপাদমস্তক কালো আলখাল্লায় নিজেকে ঢেকে খুন করতে বের হতো। খুনের মিশনে বের হবার আগে পত্রিকায় চিঠি পাঠানো ছিল ওর বড় শখ।
৩. “পেদ্রো আলনসো লোপেস”
জন্ম কলম্বিয়ায়। পরে পেরুর বাসিন্দা এই খুনি ‘আন্দেসের দানব’ নামে পরিচিতি পায়। সর্বকালের সবচেয়ে কুখ্যাত রক্তপিপাসু খুনিদের তালিকায় নিজের নাম লেখায় সে। কম করেও ৩৫০ জন নারী- শিশুকে হত্যা করে। ওর ভিকটিমদের
১০০ জন ছিল উপজাতীয় নারী। নিজের বোনের ওপর যৌননিপীড়ন দিয়ে শুরু হয়েছিল ওর বিকৃত জীবনের হালখাতা।
কখনও কখনও ভিক্ষুকের ছদ্মবেশ নিত সে। ধর্ষণের পর হত্যা এবং হত্যার পর মৃতদেহ ঘিরে নাচাগানা আর পানাহারের
আয়োজন করত এই খুনি।
৪. অ্যালবার্ট ফিশ
জন্ম নিউইয়র্ক নগরীতে। ‘সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্বস’ চলচ্চিত্রটির হানিবল লেক্টার চরিত্রটি গড়ে উঠেছে অ্যালবার্ট ফিশেরই আদলে। নিজের জন্য চাকরি চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে লোককে ফাঁদে ফেলে খুন করত। ছদ্মনাম ব্যবহার করত। খুনের পর লাশ টুকরো টুকরো করেই ক্ষান্ত হতো না। প্রতিটি টুকরো সে খেত। হাড়-মজ্জাও বাদ যেত না। প্রতিটি লাশ খেয়ে সাবাড় করতে ওর গড়ে ৯ দিন লাগত।
৫. “হারমান ওয়েবস্টার মাজেট”
জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে। লোকে ওর নাম দিয়েছিল ‘দ্য ডেভিল ইন দ্য হোয়াইট সিটি’। মেয়ে পটানোতে ওর জুড়ি মেলা ভার ছিল।
পর্যটকদের জন্য দিব্যি হোটেল খুলে বসেছিল। আসলে ওটা ছিল এক ‘মার্ডার ক্যাসল’। ওর ওই হোটেলে ছিল
অসংখ্য গোপন কুঠুরি, সিঁড়ি আর ফলস ডোর। ওর হোটেলে এসে প্রাণ হারিয়েছিল অন্তত ৫০ জন পর্যটক।
৬. “থিওডোর বান্ডি”
জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে। অসম্ভব নায়কোচিত চেহারার অধিকারী বান্ডি প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে মেতে ওঠে খুনের নেশায়। তারপর
থেকে নারীবিদ্বেষ মাথাচাড়া দেয় ওর। মহিলাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে খুন করে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে তাদের
কর্তিত মস্তক শো-পিস হিসেবে সাজিয়ে রাখত। আর মস্তকহীন দেহ নিয়ে শুয়ে থাকত যতক্ষণ না তাতে পচন ধরে। ৪৩ বছর বয়সে বৈদ্যুতিক চেয়ারে ওর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
৭. আন্দ্রেই চিকাতিলো
জন্ম ওর ইউক্রেনে। পরে রাশিয়ার নাগরিক। ৫২টি খুন করার পর ওর নাম হয়ে ওঠে ‘দ্য বুচার অব রোস্তভ (রোস্তভের কসাই)’। ১৯৭৮ থেকে ১৯৯০_ এই সময়ের মধ্যে সে ৫৩ জন নারী-শিশুকে খুন করে। বিকৃত যৌনতায় অভ্যস্ত চিকাতিলো যে প্রক্রিয়ায় খুন করত তা ছিল এক কথায় লোমহর্ষক। ১৯৯৪ সালের ১৪ ফেব্রুযারি ফায়ারিং স্কোয়াডে চিকাতিলোর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
৮. “অ্যান্ডু্র ফিলিপ কুনানন”
ফিলিপিনো বংশোদ্ভূত আমেরিকান। সমকামী এই খুনির ছিল যাকে বলে কন্দর্পকান্তি। ধনী পরিবারের সুন্দর চেহারার কিশোর- যুবকদের মন ভজিয়ে তারপর খুন করত সে। মূলত সে পুরুষ যৌনকর্মী সেজে টার্গেটদের ঘায়েল করত।
৯. “জন ওয়েইন গ্যাসি”
জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে। পেশায় ছিল ক্লাউন (ভাঁড়)। অদ্ভুত পোশাক পরে মানুষকে নির্মল আনন্দ দেওয়ার পেশা বেছে নিলেও
আসলে জগৎকে সে উপহার দিয়েছে শুধু রক্তহিম করা হরর কাহিনী। দিনে ভাঁড় সেজে সে কমিউনিটির শিশুদের আনন্দ
দিত। লোকে তাকে রীতিমতো শ্রদ্ধাও করত। আর শিশুরা ওকে আদর করে ডাকত ‘পোগো দ্য ক্লাউন’ নামে। কিন্তু রাতে সে বেরিয়ে পড়ত খুনের নেশায়। ওর টার্গেট কিশোর-তরুণেরা। নিজের বাড়িতে লুকিয়ে রাখত সবার লাশ।
১০. “জিল দ্য রাই”
জন্ম ফ্রান্সে। ওকে বলা হয় আধুনিক সিরিয়াল কিলারদের পথিকৃৎ। সমাজে তার ছিল শ্রদ্ধার উচুঁ আসন। ছিল সামরিক
বাহিনীর ক্যাপ্টেন। তাও আবার সঁত জোয়ান অব আর্কের বাহিনীর। শত শত ছেলেশিশুকে যৌন নির্যাতনের পর
হত্যা করেছে দেবতারূপী এই দানব। বাগে পেলে মেয়ে শিশুদেরও রেহাই দিত না সে। জীবন্ত অবস্থায় শিশুদের হাত-
পা ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে নিতে নিতে বীর্যপাতের আসুরিক উল্লাসে মেতে উঠত এই খুনি। অথচ সমাজের সবার চোখের কাছে ধার্মিক বলে নামডাক ছিল তার। কিন্তু একদিন ধর্মের কল একদিন ঠিকই বাতাসে নড়লো আর ওর কুকীর্তির থলের বেড়ালটিও বেরিয়ে পড়লো। ধারণা করা হয়, ২০০ থেকে ৬০০ শিশুকে বলাৎকারের পর খুন করেছে তথাকথিত এই ধার্মিক খুনি।
সব সময় পোষ্ট আপনার কাছে পেতে আমার ব্লকে লাইক দিন এবং নিয়মিত পোষ্টগুলো লাইক ও শেয়ার করবেন । দ্বীনি কাজে সহযোগীতা করার জন্য আল্লাহ আপনাকেও সম পরিনাম সওয়াব দিবেন । জাযাকআল্লাহ
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৪