দুইদিন হলো ব্যবহার করছি এটা। আগের সবগুলো ভার্সনের সাথেই এটার ব্যাপক পার্থক্য। নিচে কিছু মূল পার্থক্য তুলে ধরলাম:
১। ইউজার ইন্টারফেস পুরোই নতুন করে করা। পিসি চালু হওয়ার পর প্রথমেই আপনি চলে যাবেন নতুন মেট্রো স্টাইলে হোম এ। আমার কাছে এটা অসাধারণ লেগেছে – তবে অধিকাংশের কাছেই এটা খুব বিরক্তিকর লাগবে।
২। প্রথমেই সবাই যে সমস্যা পড়বেন সেটা হলো স্টার্ট বাটনের কোনও অস্তিত্বই নেই। উইনডোজ গেজেট ও খুজে পাবেন না।
৩। গেজেট না থাকলেও মেট্রো এপগুলো অস্থির! যেকোন ধরনের কমন মেইল/চ্যাট/টুইটিং এর জন্য বাড়তি কোনও সফ্টওয়্যার এর প্রয়োজন নেই। আর বিল্ট-ইন এপগুলোর UI খুব সিম্পল আর সহজ।
৪। ওয়েদার বা নিউজ এপ্লিকেশন তো চোখ ধাধানো।
৫। পিডিএফ রিডার বিল্ট ইন
৬। মার্কেট প্লেস নামের ঘোড়ার ডিম মাইক্রোসফ্ট কেন চালু করলো সেটা আমার কাছে এখনো ক্লিয়ার না। এপ্লিকেশনের সংখ্যা দেখে কান্না আসলো।
৭। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ১০ তো অমানুষিক ফাস্ট! ফুল স্ক্রিন মোডে চালানো যায়। Best IE ever.
৮। যদি আপনার পিসি তে উইনডোজ ৭ চলে তাহলে ৮ ও চলবে।
৯। উইনডোজ এক্সপি এর সাথে পাল্লা দেয়ার মতো এটাই মাইক্রোসফ্টের দ্রুততম OS (যে কোনো দিক থেকে)
১০। আমার পিসি তে অন হতে ৫ সেকেন্ড আর অফ হতে ৪ সেকেন্ড লাগে। (৩ GHz ডুয়েল কোর ইণ্টেল e5700, ৪ জিবি ডিডিআর ৩ রেম, nVidia G210 GPU)
১১। উইনডোজ ৭ এর গ্লাস এফেক্টটা শুধু টাস্ক বারে আছে, এন্টারপ্রাইজ এডিশনে উইনডোগুলো ট্রান্সপারেন্ট হয় না।
১২। অক্টিভেশন করতে হয় কিন্তু আমি KMS সার্ভার ডাউন পাচ্ছি। অবশ্য এটা জরুরী না।
১৩। ফ্রেশ os ইন্সটল এর জন্য ১৭ জিবি স্পেস চায়, কিন্তু মিনিমাম ১৪ জিবি মাস্ট।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৪২