পুরান ঢাকায় এখনও যে কয়টি মোঘল স্থাপত্য মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে তার মধ্যে বেগম বাজার মসজিদ অন্যতম। ১৭০০ থেকে ১৭০৪ সালের মধ্যে এই মসজিদটি নির্মাণ হয়েছিল। মসজিদটি মুর্শিদকুলী খান ওরফে করতলব খান নির্মাণ করেন। তখন অবশ্য এর নাম ছিল করতলব খান মসজিদ। পরে ১৭৪০ সালের দিকে ঢাকার নায়েবে নাজিম সরফরাজ খাঁ তার কন্যা লাভলী বেগমের নামে মসজিদটি যে জায়গায় অবস্থিত সে জায়গার নাম রাখেন বেগম বাজার এবং পরবর্তীতে ধীরে ধীরে লোকমুখে মসজিদটি বেগম বাজার মসজিদ নামেই পরিচিতি লাভ করে
পাঁচ গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটির নীচতলায় রয়েছে বেশ কিছু দোকানপাট। তাই মসজিদটির সামনে সবসময়ই এক ঘিঞ্জিময় অবস্থা লেগেই থাকে।
তবে, ভেতরে ঢুকার পর অবশ্য চমকে যাই। বেশ ভালোভাবেই মসজিদটির দেখভাল হচ্ছে। বেশ জাঁকজমকপূর্ণ এবং ছিমছিমে।
ইমাম সাহেবের থাকার জন্যে মসজিদের গাঁ ঘেঁষেই বানানো হয়েছিল একটি ছোট ঘর। ঘরটি বাংলার ছোট কুঁড়ে ঘরের মত দেখতে। এছাড়াও মসজিদটির গম্বুজ এবং গম্বুজের গাঁ ঘেঁষা ছোট ছোট মিনার আমার নজর কেড়েছিল।
ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের গেট হতে বেগম বাজারের দিকে খানিকটা এগুলেই চোখে পড়বে এই অসাধারণ স্থাপত্যটি। দেখে আসতে পারেন মুর্শিদকুলী খানের এই অনবদ্য সৃষ্টি, ভালো লাগবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৬