আমি কোন ধর্মকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলছিনা। তবে কিছু ব্যাপার আসলেই কেমন জানি একটু অন্যরকম। তাই আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করলাম মাত্র।
১. যখন কোন “নান” আপাদমস্তক ঢেকে রাখেন তখন বলা হয় তিনি নিজেকে ঈশ্বরের কাছে সঁপে দিয়েছেন, অথচ যখন কোন মুসলিম নারী এই কাজটি করেন তখন বলা হয় তার উপর অত্যাচার করা হচ্ছে।
২. যখন কোন ইহুদী অথবা শিখ ধর্মাবলম্বী যখন দাঁড়ি রাখেন তখন বলা হয় তিনি তার ধর্ম পালন করছেন, অথচ কোন মোসলমান দাঁড়ি রাখলেই ধরে নেয়া হয় তিনি কট্টরপন্থী।
৩. যখন কোন মহিলা হাউসওয়াইফ হয়ে ঘরের কাজ কর্ম করেন বাচ্চার দেখাশুনা করেন বলা হয় তিনি অনেক বড় বলিদান দিয়েছেন এবং তিনি খুবি ভাল কাজ করছেন, অথচ কোন মুসলিম নারী এই কাজ করলে বলা হয় তাকে চার দেয়ালের মাঝে বন্দি রাখা হয়েছে তাকে মুক্তি দেয়া উচিত।
৪. মাদ্রাসাতে পড়লেই ধরে নেয়া হয় সে জঙ্গি ট্রেনিং নেয়
৫. যখন অন্য ধর্মের কোন লোক অপরাধ করে তাকে ধরলে তার ধর্ম নিয়ে কোন কথা বলা হয়না কিন্তু কোন মুসলিম ধরা পড়লেই তার চাইতে বেশি তার ধর্ম নিয়ে আলোচনা হয় ও ইসলামকে হেয় করা হয়।
৬. এমনটা কেন হয় যে যেকোনো মেয়ে তার পছন্দমাফিক পোশাক পরে ভার্সিটি/স্কুল/কলেজ যেতে পারে কিন্তু মুসলিম মেয়ে হিজাব পরে প্রবেশ করতে গেলেই তাকে গেটেই আটকানো হয় এবং ঢুকতে দেয়া হয়না।
৭. এমন কেন যখন কোন ইহুদী প্রান বাঁচানোর জন্য ৮ বছরের শিশুকে গুলি করে তাকে বাহবা দেয়া হয় অথবা কিছুই বলা হয়না কিন্তু যখন কোন ফিলিস্তিনি শিশু ঢিল ছুঁড়ে মারে তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে গণ্য করা হয়।
৮. ভেবে দেখুন বেপরোয়া কোন মুসলিম কোন ভুল কাজ করলেই সব দোষ গিয়ে পরে ইসলাম এর উপরে।
৯. সবসময় কেন এমন হয় আমরা পত্রিকাতে লেখা কথা বিনা দ্বিধায় মেনে নেই কিন্তু পবিত্র কোরান এর কথা বিশ্বাস করতে আমাদের কষ্ট হয় আর তখনি প্রমানের ব্যাপারটা চলে আসে।
কিন্তু ভেবে দেখুন তারপরেও কিন্তু ইসলাম এখন বিশ্বের সবচাইতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ধর্ম।
আমার এই লেখাকে প্লিজ কেউ অন্নভাবে নিবেননা। কাউকে আঘাত করার উদ্দেশে এটা লেখা হয়নি।
লেখক- মোঃ মাসুম বিল্লাহ
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১২