~রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের ওই ভবনে (রাজ্জাক ভবন ) বুধবার দিবাগত রাত ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে। রাত সাড়ে তিনটার দিকে আগুনের ভয়াবহতা কিছুটা কমলেও আবারও বেরে যায়।
~রাত ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত পাশের প্রায় চারটি ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
~রাজ্জাক ভবনের নিচতলায় রাসায়নিক দ্রব্যের কারখানা ছিল। ঘটনাস্থল থেকে থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন জানান, রাজ্জাক ভবনের নিচতলায় রাসায়নিক দ্রব্যের কারখানা ছিল এবং ওই ভবনের পাশে বেশ কিছু রেস্তোরাঁ রয়েছে। যেগুলোর প্রতিটিতে চার থেকে পাঁচটি করে গ্যাসের সিলিন্ডার রয়েছে। আগুন ছড়িয়ে যাওয়ার কারণে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হতে পারে।
~ভোর পাঁচটার আগ পর্যন্ত মরদেহ পাওয়া যায় ৪১টি। সর্বশেষ পাওয়া খবরে বৃহস্পতিবার সাকাল ৮টায় জানা গেছে এখন পর্যন্ত ৬৯টি মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছে।
~ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লে. কর্নেল জুলফিকার বলছেন, এক একটি ব্যাগে একাধিক লাশ থাকতে পারে। তিন বলছেন ভেতরে আরো অনেক লাশ থাকতে পারে।
~প্রাথমিক ধারণা গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সুত্রপাত। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট।
~ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনালের আলী আহাম্মেদ খান বলেন, আগুন লাগার পর থেকেই পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ৩৭টি ইউনিটের দুইশতাধিক ফায়ার ফাইটার্স কাজ করছে। এই জায়গাটা আসলে সংকির্ণ, আমাদের পানির শঙ্কট হয়েছিল। এখানে বিভিন্ন ধরণের ক্যামিকেল আছে। আমরা দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা করছি।
আগুনের সুত্রপাত নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সুত্রপাত।
অ্যাম্বুলেন্সে করে উদ্ধারকৃত মরদেহ আনা হচ্ছে ঢাকা মেডিকেলে।
~আগুন লেগেছিলো গাড়িতেওঃ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় হঠাৎ বিস্ফোরণের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ঐ সময়ে রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিলো, তাছাড়া সরু গলি হওয়ার কারণে রাস্তায় রিকশা, মোটরবাইক ও প্রাইভেট আটকা পরে যায়। আগুনের সূত্রপাত ঘটার ১৫/২০ সেকেন্ডের মধ্যে যারা স্পট ত্যাগ করতে পারেনি তারাই আগুনের লেলিহান শিখার শিকার হয়ে যায়।
~সকালে যায়গা পরিদর্শন করে দেখা যায়, রাস্তায় কংকাল পরে রয়েছে। অনেক যানবাহন পতিত অবস্থায় পাওয়া যায়। গাড়ির ভিতরের মানুষের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। কেউ জীবন রক্ষা করতে পেরেছে, কেউবা পারেনি!!!
~সবার কাছে আহবান প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যে যেভাবে পারি সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসি। সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া করিঃ আল্লাহ মৃতদের জান্নাত নসিব করুন, আহতদেরকে সুস্থ দিন!
উল্লেখ্য: ২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলী এলাকার একটি বাড়ির নিচতলায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কেমিক্যাল গোডাউনে (প্লাস্টিক কারখানা, সময় নিউজ) আগুন লাগে। ভয়াবহ ওই আগুনে ১২৪ জন লোকের প্রাণহানি ঘটে। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে ঢাকা মহানগরের আবাসিক এলাকা থেকে অবৈধ রাসায়নিক কারখানা ও গুদামগুলো কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত আর আলোর মুখ দেখেনি।
সকল আপডেটঃ
~ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার : ওবায়দুল কাদের
~অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতঃ সরকারের ‘ঘুমে’ বাড়ছে কান্না
~৭০টি লাশ উদ্ধার, আরও থাকতে পারে: আইজিপি।
~প্রতি নিহতের পরিবার পাবে ১ লাখ টাকা, দগ্ধরা ৫০ হাজার
~ পড়ে আছে চার বন্ধুর মাথার খুলি
~ এক করিডোরেই ২৪ জনের মৃতদেহ!
~ কিছু লাশ পুড়ে কয়লা
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২১