পৃথিবীতে যে সকল শব্দ মানুষের মনে ব্যকুলতার/আকুলতার জন্ম দেয় বা উচ্চারণের সাথে সাথে মানুষের বিবেককে নাড়া দেয় বা জাগিয়ে তুলে মা তাদের মধ্যে অন্যতম । মা শব্দটি শোনার বা বলার মধ্যে আছে এক ধরনের আভিজাত্য । মা এর সাথে যেমন লুকিয়ে আছে ভালোবাসার কোমলতা তেমনি সৎ মা এর সাথে খুঁজে পাওয়া যায় ঘৃণা ,অশ্রদ্ধা, বাধ্য হয়ে বা বাবাকে খুশি কিংবা বাবার মন রাখার জন্য কখনও মা বলে ডাকার বিরক্তিকর ভাব। পৃথিবীতে মা নামটি সব সময় মর্যাদা পেত যদি না সৎ মা শব্দটির সাথে আমাদের পরিচিতি না ঘটত । মাকে ভালোবাসে না বা মার ব্যাপারে আবেগ আপ্লুত নয় এমন মানুষ সমাজে খুব একটা দেখা না গেলেও সৎ মায়ের প্রতি ভালোবাসা আছে এমন মানুষ পৃথিবীতে বিরল। মা শব্দটিকে অশ্রদ্ধা করা হয়েছে তত মা এর প্রচলনের মাধ্যমে । একটা ছেলে বা মেয়ের মা/বাবা বৈজ্ঞানিকদের মতে একজনই হতে পারে । সৎ শব্দটি বিপরীত অর্থে বা এর মর্যাদা হারায় যখন সৎ মা ব্যবহার করি । সৎ মা শব্দটি ছোট ছেলে বা মেয়ে অনেকাংশেই মেনে নেয় বাবার চোখ রাঙানোর ভয়ে । কিন্তু ঝামেলা বাধে যখন বড় বড় ছেলে মেয়েকে নতুন করে তার মাকে চিনতে হয় । এ এক নির্মমতা প্রতীক যে, বাধ্য হয়ে মা বলা । কিছুদিন আগে আমার দুই নম্বর দাদি মারা যাওয়ার পর দেখলাম এক অবিস্মরণীয় কান্ড ,- দাদি মারা যাওয়ার পর আমার বড় ফুপু( এই দিদির মেয়ে নয়) লাশ বাড়িতে পৌঁছানোর পড় প্রচন্ড কান্না করল, কিন্তু আমার হাসি পেল দুইটি ঘটনা মনে করে একঃ সৎ মায়ের জন্য সৎ মেয়ে বা ছেলেদের কান্না করার ইতিহাস এর আগে আমি কখনো শুনিনি ,দুইঃ শুনেছি এই দাদিকেই যখন বাড়িয়ে তুলেছিল তখন আমার আব্বা,কাকা,এই ফুপু সহ সবাই এর প্রতিবাদ করেছিল, মাস খানেক এর রান্না ও খায় নাই, ছ,মাস তার সাথে কথাও বলে নাই, এমনকি দাদির জীবন্ত অবস্থায় তাকে কোন দিন মা বলে ডাক ও দেই নাই , আর আজকে সে কি কান্না । আমার এসব ঘটনা মনে হলেই হাসি না প্রচন্ড হাসি পায় । একটা কথা মনে হলেই না হেসে পারি না যে , আজকাল মানুষকে দেখানোর জন্য ও কান্না করতে হয়। ফরমালিন, কৃত্রিমতা আমাদের আবেগ প্রকাশের ক্ষেত্রেও চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। ফরমালিন তুমি মহান।