এখন আর টিভির পর্দার দিকে তাকাতে পারি না,
তাকালেই পেট্রোল বোমার বীভৎসতায় চমকে উঠি।
অগ্নিদগ্ধ নিথর ছবি সমসময় পর্দায় ভেসে আসে,
কোন খবর দেখতে পারিনা,সেথায় শুধুই স্বজন হারানোর আর্তনাদ।
এখন আমার পত্রিকা খুলতে ভয় হয়,
ভিতরে কেবল চোখ হারানো, ঝলসে যাওয়া লাশ।
আমি এখন আর রাস্তায় বেরুতে পারিনা,
দগ্ধ হওয়ার ভয়ে কুকড়ে থাকি সারাক্ষণ।
রাতে ঘুমাতে পারিনা,
স্বপ্ন দেখতে ভয় পাই,
সেথায় স্বজন হারা মায়ের অশ্রুভেজা মুখখানি বার বার ভেসে উঠে।
সারারাত অজানা ভয়ে রাত কাটে,
আগামীকাল কে সন্তান হারা,কে পিতৃ স্নেহ থেকে চিরতরে বঞ্চিত হবে।
কে আর জনমেরতরে ডাকতে পারবে না
মধুর ধ্বনি মা মা বলে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে তাকাতে ভয় পাই,
হকার দরজার কড়া নাড়লে চমকে উঠি
আজকাল তাকে পত্রিকাওয়ালা বলা চলে না
তিনি মৃত্যুর সংবাদদাতা।
আজকাল কোন চিত্র প্রদর্শনিতে যেতে ভয় লাগে,
সেথায় লাশ,বীভৎস যত ছবি।
খবর পড়তে অস্থিরতা বোধ করি যেন ভয়ংকর সব শব্দ চয়ন।
হাসপাতালে যেতে পারিনা স্বান্ত্বনার বানী শোনাতে ,
কেননা আমরাইদায়ী, আমরাই তাদের কে ঠেলে দিচ্ছি মৃত্যুর মিছিলে।
এটা কি স্বাধীনতা? ?
এটাই কি মানবাধিকার???
একি ভালোবাসা???
একে বলে গণতন্ত্র রক্ষা করা???
লাশের মিছিল আর কত বড় হলে আমরা ত্রাণ পাব
আর কত মায়ের অশ্রু,স্বামী হারা হাহাকার দেখতে হবে???
আর্তনাদের চিতকার আর কত শক্তিশালী হলে আমরা রক্ষা পাব???
বাংলাদেশের মাটি আর কত রক্তে সিক্ত হবে??
নদীবিধৌত জ্বল আর কত রাঙা হবে???
এই সংগ্রামে আপনার অবদান কি??
আপনি কত লাশ কবর দিবেন???
কত চোখের জল মুছবেন???
কত সোনার বাংলাদেশকে জ্বালাবেন???
না খেয়ে মরতে পারে,
অসুখে অস্থির হতে পারে,
নিজকর্ম গুনে বিপদে পড়তে পারে,
কিন্তু কাউকে সন্তান হারা,স্বামী হারা,পিতৃ স্নেহ হারা করার অধিকার আপনার নাই।।।।।