somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাত্রীর খোঁজে (শেষ)

২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথম পর্ব পরতে চাইলে ক্লিক করুন।

কিছু একটাত হয়েছে যার জন্য এমন পাগলামি করছে মেয়েটি।
কি সেই কারন? আমি দেখতে খারাপ না তবে আহামরি টাইপের সুন্দরও না। আমার মত চেহারার ছেলে ১০০তে ২০টা পাওয়া বেপার না।
এবার মেয়েটি বলতে শুরু করল। যা বলল তাএমন। মেয়েটি বিয়ে ভাংগার সিদ্ধান্ত নেবার পর ভেবেছিল আমি মেয়েটির সাথে খারাপ আচরন করব। নরমালি নাকি সবাই এরকম করে। অথচ তার সাথে দেখা করলাম কোন খারাপ আচরন করলাম না। তাই মেয়েটি ভেবেছে সামনা সামনি বলে ভাল ব্যাবহার করছি। পরে ফোনে হয়ত করব। তাও করলাম না। আমাকে ফোন করলে আমি খুব ভাল করে কথা বলতাম। মেয়েটি কষ্ট পাক এমন কোন কথা আমি বলতাম না।
এখানে বলে রাখা ভাল। আগের পোষ্টে অনেকেই বলেছে মেয়েটির নিস্চই কার সাথে সম্পর্ক আছে। কিন্তু আমি সেটা কখনই মনে করতাম না। মেয়েটির সাথে একদিন কথা বলে বুঝেছি। মেয়েটি খুব চন্ঞ্চল প্রকৃতির। এমন মেয়ে কারসাথে প্রেম করতে পারে না। আর করলেও প্রকাশ করত (এটা আমার নিজস্য মতামত ভুলও হতেপারে)। আসলে আমি মেয়েটিকে কোন ভাবেই খারাপ ভাবতে পারছিলাম না।
মেয়েটির নানান অনুরুধ শুনার পরও আমি বাড়িতে বলার প্রয়োজন মনে করছিলাম না। মেয়েটির প্রতি কোন ভাল লাগা অথবা ভালবাসা আমার মাঝে অনুভব করিনি আমি।
তবে ফোন করলে তার সাথে কথা বলতাম।
এমনই একদিন পাত্রী দেখতে যাচ্ছি। মেয়েটিন ফোন আসল।
সে: কি করছেন?
আমি:মেয়ে দেখতে যাচ্ছি।
সে: মেয়ে দেখতে কেমন?
আমি: আমি দেখিনি, আমার চাচা দেখেছেন, ভালই বললেন।
সে: আপনার পছন্দ হলে বিয়ে হয়ে যাবে?
আমি: জ্বী।
আমি: আপনি পরে ফোন করুন আমি ব্যাস্ত আছি।
সে: আচ্ছা।
মেয়ে দেখে আসলাম, সুন্দর দেখতে। সবারই পছন্দ হয়েছে, শুধু আমি ছারা।
পাঠকরা অনেকেই ভাবছেন আমি সেই মেয়ের প্রেমে পরে আছি, আমার আর কোন মেয়ে পছন্দ হবেনা। কথাটা আমার এক চাচাত ভাই আমাকে বলেছিল, তাই বললাম।
পাত্রী পছন্দ না হবার কারন পাত্রীর বয়স। প্রায় আমার বয়সের অর্ধেক হবে পাত্রীর বয়স। অথচ এই বিষয়টা কেও আমলই দিতে চায় না। যেন এটাই নিয়ম ২৭ বছরের একটা ছেলে করবে ১৪ বছরের এক মেয়েকে বিয়ে। বাল্য বিবাহ এখনও রয়েগেছে গ্রামে গ্রামে। আর হবেই না কেন। আমি যত পাত্রী দেখেছি বেশীর ভাগ বাতিল করেছি বয়সের কারনে। আর বিয়ে করতে গেলেই বুঝাজায় পাত্রী পাওয়া কত কষ্ট। প্রেম করিনি বলে কত কথাশুনেছি। আর মনে মনে বলেছি আগে যখন প্রেম করতাম তখনত অনেক শাসন করেছিলে। এখন দোষ আমার না তুমাদের?

পাত্রী খুজতে খুঝতে আমি বিরক্ত হয়ে একদিন ঘোসনা করলাম আমি বিয়ে করব না। তখন আমার বাবা আমাদের প্রতিবেশির বোনের মেয়ের কথা বললেন। আমিও বলেদিলাম ঠিকআছে তবে এটাই শেষ। এটা পছন্দ হলে বিয়ে করব না হলে করব না। এদিকে সেই মেয়েটার সাথে আমার যোগাযোগ চলতে থাকে। আমার বিয়ের সব খবর আমার কাছথেকে সে নিচ্ছে। আমার দিকথেকে তেমন আশার বানি এখও পায়নি,তাই মাঝেমাঝে আমাকে কতটা ভালবাসে তাই বুঝাতে চায়।
আমিও তাকে বলি, দেখুন আমি আপনার সাথে ভাল আচরন করেছি তাই হয়ত আপনি আমাকে ফেরেস্তা টাইপের কিছু ভেবে বসে আছেন। আসলে আমি আর দশটা ছেলের মতই। সবারই মতামত দেবার অধিকার আছে,আপনি আপনার মতামত দিয়েছেন আর আমিও মেনে নিয়েছি এখানে ভাল মানূষির কিছু নাই। মেয়েটি কিছু বললনা তবে মনে হল কাঁদছিল।
এই প্রথমবার মেয়েটির প্রতি আমার মায়া হল। আমি মেয়েটির সাথে বিয়ে জোড়া দিতে চেষ্টা করতে লাগলাম। তবে মেয়েটিকে তা জানালাম না।
কিভাবে বাড়িতে কথাটা বলি সেটা বুঝতে পারছিলাম না। তবে এখানে বলে রাখা ভাল মেয়েটি যে বিয়ে ভেংগে দিয়েছে তা আমাদের বাড়ির সবাই জেনেগেছে। মেয়েটি যে আমাকে ফোন করে তাও সবাই জেনেগেছে।
একদিন মায়ের সামনে ল্যাপটপে রাখা মেয়েদের ছবিগুলো দেখছি আর বলছিলাম।
আমি: মা অপুর খালাত বোনকে দেখারপর সব গুলু ছবি একসাথে করে একটা সিলেক্ট করে ফেলব।কি বলেন?
মা: করিস তবে ঢাকার ঐ মেয়েকে বাদে (আমার এক আত্তিয়া)।
আমি: আচ্ছা।দেখেনত কাকে কাকে সিলেক্ট করার দলে নিব?
এই বলে আলাদা একটা ফাইল বানালাম আর একটা একটা করে (যে গুলু মোটামুটি ভাল লেগেছে) কপি পেষ্ট করতে লাগলাম। সেই মেয়েটির ছবির কাছে আসতেই মা বলল এটাও বাদ। আমি অবাক হবার ভান করে বললাম কেন? মেয়েত এখন রাজি। মার সহজ জবাব এখন আমরা রাজি না।
মনে মনে ১০০% নিশ্চিত হয়ে গেলাম তার সাথে আমার জোড়ি লেখানেই। জোড়ি আল্লাহ নিজে বানিয়ে দেয় আমি আমার অভিগ্যতা থেকে বুঝেগেছি। সেই গল্প আপনারা জানতে চাইলে লিখতে চেষ্টা করব।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৪
১০টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×