somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইহাও একটি গল্প

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জানো,
গভীর রাতে কেন যেন জানি হঠাৎ আঁতকে উঠি আমি,
এই মনে হয় হারিয়ে ফেললাম তোমায়।
দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে যায় আমার।
আমি লাফিয়ে উঠি, আর ঐ আকাশপানে তাকিয়ে দেখি তোমার আবছায়া দেখতে পাই কিনা।
আমি নিরাশ হয়ে যাই বারবার।
বোধ হয় হারিয়ে ফেলছি তোমায়।
তুমি আর আমার নেই।
তুমি হারিয়েছো অন্য আঙ্গিনায়।

মোবাইল স্ক্রিনে তোমার ছবিতে হাত বুলাই,
আলতো করে চুমু খেতে চাইয়েও আমি ফিরে আসি।
কারন তুমি এখন আর আমার নেই।

জানো,
কত শতবার আমি চেয়েছি মুঁছে দিবো তোমার সকল স্মৃতি।
কিন্তু জানো,
আমি বারবার ব্যর্থ।
এক অনবদ্য মায়া আমাকে বারবার বাধা দেয়।
জাগিয়ে দেয় তোমার আমার ক্ষণস্থায়ী সেই স্মৃতিগুলো।
আমাদের সেই গল্পগুলো।
আচ্ছা সুকেশেনী - তুমি কি নির্ভরতার খোঁজে আমার কাঁধে মাথা রাখতে নাকি সেসব ছিল তোমার চলনা. ?
যখন মাঝরাতে তোমার নিদ্রাহানি হতো তখন কথা বলার বাহনায় আমায় জাগিয়ে দেয়া কি আধৌ ভালোবাসা ছিল.?

জানো,
তুমি না বড্ড পরিবর্তন হয়ে গেছো।
সেই তুমিকে আমি আজ আর খুঁজে পাই না।
আমি হন্ন হয়ে ছুটে বেড়াই সেই তুমিকে ফিরে পেতে।
জানি পাবো না আর কখনো ।
কারন তুমি এখন আর আমার নেই।
তুমি এখন অনেক ম্যাচিউড হয়ে গেছো,
বাস্তবতা শিখেছো, আমাকেও শিখাচ্ছো - আবেগ আর ভালোবাসা এক নয়।
আচ্ছা, তখন কি সব তোমার আবেগ ছিল.?
আবেগের বশবর্তী হয়ে কি বলেছিলে আমায় - ইফাত ভালোবাসি তোমায়,
নাকি সত্যিই ভালোবাসতে আমায়।

জানো,
আমি এখন পাগলামি করি না, অভিমানও করা হয় না এখন আর কারো সাথে।
কার সাথে অভিমান করবো আমি.?
অভিমান করার মানুষটি এখন আর আমার নেই।
মনখারাপের সময় কাঁধে হাত দিয়ে ভরসাদায়ক কন্ঠস্বরে কেউ বলে না আর এখন - আমি আছিতো।

জানো,
আমার না এখন আর কান্না পায় না,
চোখের কোনে দুফোটা জ্বল জমে আবার শুকিয়ে যায়।
ব্যালকনির গ্রিল ধরে এখন আর দাড়াতে ইচ্ছে হয় না। সেখানেও যে তোমার স্মৃতি, কতরাত ভোর হওয়ার গল্প।
এই শহরের কোন রাস্তায় এখন আর আমার চলতে ইচ্ছে হয় না,
সেখানেও যে তুমি বিদ্যমান।
শহরের অলিগলি সর্বত্রেই যে তোমার স্মৃতি ভাসে। সোডিয়ামের আলোতে হাতে হাত রেখে হাটা, কিংবা কখনো রিক্সায়।
কখনো বৃষ্টি ভেজা কোনো বিকেল, সবই যেন ছিল এক ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন।
আমায় কুড়িয়ে কুড়িয়ে ভোগায় সেই সময়গুলো।
বাসের সিটে আমার বুকে মাথা রেখে নির্ভয়ে সুখের ঘুমে হারিয়ে যাওয়া সেই সময়গুলো আজো আমায় দংশন করে বেড়ায়।

একটা সত্যি কথা বলি.?
আমার খুব ইচ্ছে হতো তোমায় জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু এঁকে দেওয়ার।
সাহস হয়নি আমার।
আমি অপেক্ষায় ছিলাম,
লালশাড়ী পরে পুষ্পারঞ্জিত ঘরে ঘোমটা মুখে তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করবে।
আর সেদিন আমি তোমার কপালে ভালোবাসা মিশ্রিত চুমু এঁকে দিবো।
কিন্তু, তুমি হারিয়ে গেলে, আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেলে।
চিরচেনা হয়েও পালিয়ে বেড়াও অচেনা রূপে।

বলবে.?
কেন এমন হয়েছিল আমার সাথে.?
আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম এক সুখের নীড় তোমার-আমার হবে।
প্রতিটি সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত আমাদের সঙ্গী হবে যতদিন দেহে প্রাণ রবে।
কেন হারিয়ে গেলে.?
আমার ভালোবাসা কি যথেষ্ট ছিল না তোমার তরে.?
তোমার সেই লম্বাকেশ আর যাদু মাখা চোখের চাহনি কি আমায় মিস করে.?
আমি মিস করি খুব।
অহহ, বলেইবা কি হবে!
তুমি এখন আর আমার নেই।
তুমি গুটিয়ে নিয়েছো নিজেকে আমার বন্ধন থেকে ,
কিন্তু, মায়াজাল বিছিয়েছো যে আমার পানে,
আমি মুক্তি পাবো তা হতে কি করে.?
ভালোবাসি, হ্যাঁ ভালোবাসি এখনো তোমায়।
মিশে আছো এখনো তুমি প্রতিটি নিঃশ্বাসে ,
রবে চিরকাল আমার মাঝে অমর হয়ে।

© আবু রায়হান ইফাত
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×