উন্নয়নের স্রোতে দেশ ভাসিয়া যাইতেছে, অদ্য সকাল হইতে ৬ বার লোডশেডিং করিয়া দেশের বিপুল অর্থ সম্পদ বাচাইয়া দিয়াছে বিদ্যুৎ বিভাগ, গ্যাস -পানি-বিদ্যুৎ সর্ব ক্ষেত্রে কৃচ্ছ সাধন করিয়া হাসিনা বুবু আমাদিগ কে উন্নততর ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত করিতে চাহেন।
মূর্খ-মর্কট বঙ্গ -পুঙ্গব কূল তাহার এই রূপ অতিশয় সদিচ্ছা অনুধাবন করিতে না পারিয়া যাচ্ছে তাই মন গড়া কথা বলিয়া বেড়াইতেছে,
আরে বাংগাল কী আর বোঝে ওয়াসার পানিতে যে ঘোলাটে -দ্রব্যাদি ভাসিয়া আসে সেই সব অতি উপাদেয় - হাই প্রোটিন সমৃদ্ধ ক্ষুদ্র প্রানী বিশেষ, উচ্চমূল্যের বাজারে তাহারা যাতে প্রোটিন হীনতায় অন্তত না ভোগে তাই সরকারের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
বাল্যে পড়িয়াছি সকালে ওঠা সুস্বাস্হ্যের জন্য অত্যাবশ্যকীয়;
সেই সব নীতি কথার মূল্য এখন হাড়ে হাড়ে টের পাইতেছি,
ভোর ৫ টায় গ্যাস আর ৬ ঘটিকায় পানি লোকান্তরিত হন, তাই
প্রত্যহ ভোরে উঠিয়া স্বাস্হ্যের উত্তোরোত্তর সম-বৃদ্ধি ঘটাইয়া যাইতেছি।
সক্কাল বেলা বাসে উঠিতে হইলে স্বাস্হ্য রক্ষা করিতে হইবে বৈকী, ত্রিচক্র যান সমূহ তো এখন বিলাস দ্রব্য কেবল।
সেইদিন এক হতভাগ্য পিতা কে বলিতে শুনিলাম " বাবা ভালো করে লেখাপড়া করো, তাহলে একদিন ভালো চাকুরী পাইবে , তখন সি এন জি তে উঠতে পারবেখন।"
দেশ এখন এতই নিরাপদ যে সন্ত্রাসী কূল ধরা পড়িবার ভয়ে হতের দেহ ৮-১০ টুকরোর কম করেই না।
মূর্খ কূলের নিকট অর্থ সম্পদ নিরাপদ নয় তাই শেয়ার মার্কেটের মাধ্যমে সরকার শিক্ষিত-বুদ্ধিমান- গুনীজন দের নিকট অর্থ সুসংরক্ষিত করিবার ব্যবস্হা করিলেন।
দেশ তো আগাইয়া যাইতেছে , কিন্তক আগামীবার ভোট দেবার পর্যন্ত বাচিয়া থাকিলেই হয়।