তারিখঃ ২৫-০৯-৭১
আব্বাজান,
আমার সালাম ও কদমবুসি গ্রহন করুন। ইদানিং আসার পর হতে মনটা খুবই উদ্বিগ্ন। মন থেকে দুশ্চিন্তা মুছতে পারছি না। কয়েক দিন হয় একটি খবর পেলাম, আমাদের গ্রামে নাকি দুইটি বাড়ি পাকবহিনী পুড়িয়ে দিয়েছে। এরও সঠিক কোনো খবর পাচ্ছি না। বাড়ির এবং আপনাদের খবর নেওয়ার জন্য মুক্তিবাহিনীর একজন গেরিলাকে পাঠিয়েছিলাম। সেও এখন পর্যন্ত ফিরে আসে নাই।
যাক, বর্তমানে দেশের এবং আপনাদের কী হাল অবস্থা পত্রবাহকের নিকট তা অবশ্যই বিস্তারিত বলে অথবা চিঠি লিখে দিবেন। পত্রবাহক আমাদের খুবই বিশ্বস্ত ও অন্তরঙ্গ লোক। হয়তো চিনতেও পারেন। তার আব্বা ঢাকার প্রটৌকল অফিসার জনাব ওবায়দুর রহমান খান, তাড়াইল থানার পুরুরা গ্রামে তার বাড়ি। তারা মিঞা চেয়ারম্যান সাহেব টাকাটা দিয়েছেন কি না জানি না। যদি দিয়া থাকেন তবে পত্রবাহকের নিকট এক হাজার টাকা অবশ্যই দিয়া দিবেন। আর যদি না দিয়া থাকেন তবে অন্তত কমপক্ষে ছয়শত টাকা যে প্রকারেই হোক দিয়া দিবেন। এ-টাকাটা আমার নয়। এই সময়েই আমাকে এই দেনা মিটাতে হবে নতুবা আমার মান ইজ্জতের প্রশ্ন হয়ে দাড়াবে। আর যদি আপনি এখানে এসে কারবার করতে চান তবে বর্ডারের নিকট বাংলাদেশ সরকার একটি নতুন বাজার বসিয়েছে। বাজারটি খুব চালু হয়েছে। যেকোন কারবার এখানে করা যাবে। বাজারে আমি একটি (…) বলেছি। আপনি যদি আসতে চান তাহলে জানাবেন। হাসেম উদ্দিনের জন্য কোনে চিন্তা করবেন না। সে ভালোই আছে। আর একটি খবর। সম্ভব হলে সত্রদরিয়ার ফুলু মিঞাকে জানিয়ে আসবেন। হাত্রাপাড়ার একটি ছেলে, নাম নুরুল ইসলাম। পিতা আ. মজিদ উ. মানী হুসেন। ট্রেনিং শেষ করে আসবার পথে খাসিয়া পাহাড়ে গাড়ি উল্টে যাওয়াতে তার মৃত্যু হয়েছে। এখানে তাকে যথারীতি দাফন করা হয়েছে। (অসমাপ্ত)
==============================================
চিঠি লেখক ও প্রাপকের নাম পাওয়া যায়নি।
সংগ্রহঃ মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর।
==============================================
একাত্তরের চিঠি সংকলনের টেক্স্ট কন্টেন্ট প্রকল্পের অংশ হিসাবে প্রকাশিত
পৃষ্ঠানুযায়ী আপডেট দেখুন একাত্তরের চিঠি সংকলনের টেক্স্ট কন্টেন্ট প্রকল্পের আপডেট -৩
প্রকল্পের লাইভ আপডেট পাবেন এখানে: Click This Link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




