somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

‘'The New Adventure of A লুইচ্চা ’'

১৫ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[আগেই বইলা নেই, এই গল্পের সকল চরিত্র কাল্পনিকও হইবার পারে, অকাল্পনিকও হইবার পারে, কেউ মাইন্ড কইরা বয়া থাকলে থাকেন, আমার কী, আমি তো লেখক রে ভাই...] ;) ;)

খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। একদা এই দেশে 'মঈন' নামের এক লুইচ্চা বাস করিত। তাহার আসল নাম জনসম্মুক্ষে আনিতে চাহিতেছি না বিধায় X-factor-এর 'লুইচ্চা মঈন' বলিয়া অভিষিক্ত করিলাম। লুইচ্চা বলিবার পেছনে যে কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ নাই তাহা নহে।যথেষ্ট বলিষ্ঠ আর অতি উপযুক্ত কিছু কারণে তাহার এই নামকরণ যে পরিপূর্ণরূপে স্বার্থক বলিয়া বিবেচিত তাহা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফেসবুক নামের এক সামাজিক ওয়েব সাইটে তাহার রাশি রাশি ভারা ভারা যুবতী নারী (পরিচিত/অপরিচিত) বন্ধু ছিলো বলিয়াই যে তাহাকে এই কলঙ্কে অধিষ্ঠিত করা হইয়াছিল তাহা নহে। তাহার আরো কতক কুকর্ম-ও তাহাকে তাহার এই আসনে বলিয়ান রাখিবার পেছনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করিয়াছিল। আজিকার এই ভর্ৎসনামূলক রচনা তাহাকেই উৎসর্গ করিলাম।:P:P

নিজেকে অপরের সামনে জাহির করার প্রবৃত্তি মানব জাতির সহজাত কিনা জানা নাই।যদি তাহাই হইয়া থাকে তাহইলে আমার আর বলিবার কিছু নাই।কিন্তু তাহা যেহেতু সঠিক নহে।কাজেই আমি বলিবোই, ভর্ৎসনা করিতে না পারিলে আমার যে পেটের ভাত হজম হয় না...!;)

মঈন-কে যেদিনপ্রথম দেখিয়াছিলাম, খুব ভালো আর নিতান্তই ভদ্র ছেলে বলিয়াই বোধ হইয়াছিলো।ইশ্মার্ট, হ্যান্ডসাম আর গুড-লুকিং(!)বলিতে যাহা বোঝায়।এইসবের আড়ালেও তাহার যে লুইচ্চা আর লেডি কিলিং-এর অভ্যাস লুকায়িত আছিল, তাহা একদিন ঠিকই আমার এবং আমাদের প্রায় সবারই চক্ষুগোচর হইয়াছিলো।

তাহার লেডি কিলিং-এর শুরুটা নিয়া সবাই বেশ সন্দিহান।ঠিক কবে থেকে তাহার এই business এর শুভযাত্রা হয় তাহা কারো জানা নাই।ফেসবুক ব্যাবহারকারি হইবার পর থেকে তাহার এই যাত্রা যেন সুনামি-নার্গিস বেগে বাড়িয়া যাইতে থাকিলো। জগতেরসকল মাইয়্যারে তাহার প্রফাইলের বন্ধু তালিকায় পাওয়া যাইতো, সেই মাইয়্যা জগতের যে কোনো সীমানার-ই হউক না ক্যানো তাতে কীবা আসিয়া যায়।জগতের এমন কোনো নারী আছে কিনা সন্দেহ, যাহাকে এই লেডি কিলার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়নাই।এই কুকামে সে কী যে প্যাশন খুজিয়া পাইয়াছিলো, তাহা কেবলমাত্র সেই জানে।ইহা যেন তাহার নেশা-কম পেশা হইয়া উঠিয়াছিলো দিনকে দিন।৩ থেইকা ৪ বার ব্রেক-আপ হইবার পরেও কোনো পুরুষ(!)যে কতোটা নির্লজ্জ আর নাছড়বান্দা হইতে পারে, তাহাকে দেখিলেই স্পষ্টতর হওয়া সম্ভবকর।বিভিন্ন মাইয়্যারে সেই যুবক প্রেম নিবেদন করিয়া গোপনে মেসেজ প্রদান করিয়া থাকিত এবং দুর্ভাগ্য হইলেও সত্যি যে তাহা কখনো চাপা থাকিত না, এই কান হতে সেই কান করিয়া তাহা ঠিকই সবার কর্ণগোচর হইয়া যাইতো। কতো নারীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট যে তাহার পিরীতিমাখা মেসেজে কলুষিত হইয়াছিলো তাহা কেবলমাত্র একজনই জানিতেন যিনি এই দুর্লভ প্রাণীটিকে সৃষ্টি করিয়াছিলেন।

নারী পটানোর এই অমহোৎ ক্ষমতা সে যে কেমন করিয়া রপ্ত করিয়াছিলো কারো জানা নাই।নারী জাতির কাউকে পথে চলিতে দেখিলেই তাহার দিকে ক্যামন করিয়া তাকাইয়া তাহারে ইম্প্রেস করিতে হয় তাহার চাইতে ভালো আর কেহ জানিত না। স্বভাবতই ক্যামন করিয়া যেন কিছু নারী ইম্প্রেসও হইতো। ফেসবুকের নারী সম্প্রদায় এর সহিত তাহার এই প্রেম-নিবেদন খেলা আরো ভালোভাবে জমিত। 'এই তোমাকে তো দারুণ লাগছে', 'আই মেয়ে তুমি এতো সুন্দর ক্যানো হু', 'তোমার চোখ দুটা এত মায়াবী না হলে হতো না?', 'আই তোমার সাথে আমি আর কথা বলবো না/তুমি আমাকে তোমার ফোন নাম্বার দাও না কেন?', 'আই আমাকে একটা মেয়ে খুঁজে দিবা, খুব বেশি আহামরি না, শুধু তোমার মতো হলেই হবে, আর কিছু লাগবে না' -এইরূপ নানা ন্যাকামী/ছাগলামী মার্কা আহ্লাদী দিয়া সেই নারীকূলের ফেসবুক দেওয়াল/ইনবক্স ভরিয়া উঠিতো, যাহাতে অধিকাংশ নারী-ই ক্রমশ ত্যাক্ত বিরক্ত হইয়া উঠিয়াছিলো দিনের পর দিন। তন্বী, ইরিনা, বৃষ্টি আরো যেন কী কী নাম... সব নাম মনেও নাই তাহার। উহাদের মধ্যে শেষ শিকার ছিলো বৃষ্টি। এই বৃষ্টির কথা আজো কেন যেন ভুলিতে পারে নাই মঈন। এই একটা মেয়েই দেখিয়াছিলো সে যাহার কথা তাহার আজ অব্দি মনে রহিয়া গিয়াছে। কী একটা বিশেষ কিছু ছিলো বৃষ্টির মধ্যে। সুদীর্ঘ ৭ মাস মঈন চুটাইয়া প্রেম করিয়াছে তাহার সাথে। কিন্তু বেশিদিন টিকিতে পারে নাই মঈন, ক্যানো যেন এক মেয়ের সাথে বেশিদিন ভালো লাগেনা এই মহাশয়ের। বৃষ্টি কিছুটা সিরিয়াস হইয়া গিয়াছিলো বুঝিতে পারিয়াই ফাঁকতালে প্রেমের জাল ছিড়ে চম্পট দিয়াছিলো মঈন। কিন্তু ঐ যে, "চোরের ১০দিন, গেরস্থের একদিন" বলিয়া একটা কথা আছে। মঈনের ভাগ্যেও ঠিক এমন-ই একদিন ঘনিয়া আসিয়াছিলো ঠিক যেমন করিয়া রৌদ্রজ্জ্বল আকাশে হঠাৎ করিয়া কখনো কখনো কালো মেঘ ঘনাইয়া আসে।

পি.সি.-র সামনে বসিয়া রোজকার মতন মঈন আপন মনে ফেসবুকিং করিতেছিলো।হঠাৎ করিয়া নটিফিকেশনে একটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দেখিতে পাইলো মঈন।এবং তাহা ছিলো একটা নারীর। মুহূর্তেই মঈনের ঠোঁটে এক চিলতে বাঁকা হাসি ঘনীভূত হইয়া উঠিল। সে হাসির মধ্যে কতো যে মাদকতা লুকাইয়া ছিলো তাহা আর পরিস্কার করিয়া নাহয় নাই বলিলাম।

তড়িতগতিতে মঈন রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করিলো। সাথে মেয়ের একখানা চিরকুট-ও ছিলো। "ভাইয়া, আমি আপনার কলেজেই পড়ি। আমাকে হয়তো চিনবেন না। কিন্তু আপনাকে চিনি। প্লীজ আমার ফেন্ড্র রিকোয়েস্টটা একসেপ্ট করবেন। আমি আপনার অনেক বড় একজন ফ্যান...... ইশিতা"।

নিঃসন্দেহে বিগলিত হইবার মত মেসেজ। শুরু হইয়া গেল মঈনের লেডি কিলিং প্রসেসের প্রাথমিক ধাপ।"অপারেশন- লেডি প্রসেসিং"। তৎক্ষণাত মেয়ের প্রফাইল পিক্সে ঢু মারিয়া মঈনের চোখ কপালে উঠিল। হায় খোদা এ তো সাক্ষাত ঐশ্বরিয়া...!!! এই মনোহরিণী, অতিমাত্রায় সুদর্শিনী, মনলোভা, মনমোহিনী, চিত্তাকর্ষিণী, আজন্মা রূপবতী, কেশবতী, মৃগ-নয়না অপ্সরা এতদিন কোথায় লুকাইয়া ছিলো, এ যে শুধুই আমার... আমার ইশিতা...শুধুই আমার!! ঐ রাত্রিতে তাহার আর ঘুম হয় নাই। সারারাত বসিয়া সেই অপ্সরাকে বাগানোর যতো কৌশল তাহার জানা ছিলো তাহা দিয়া আগামী দিনের স্বপ্নের জাল বুনিতে লাগিলো মঈন।ইতিমধ্যেই বিরাটাকায় এক মেসেজ লিখন-ও সমাপ্ত করা হইয়াছে তাহার, শুধু সেন্ড করার অপেক্ষা।ভালো করিয়া তৈলমাখন ও ন্যাকামীপুর্ণ মেসেজখানা আরেকবার চেক করিয়া সেই রমণীকে সেন্ড করিলো মঈন।

"ইশিতা, আমিও তোমাকে অনেক আগে থেকেই চিনি, জানো? তোমার সাথে বেশ ক'বার দেখা হয়েছে, কিন্তুকথা বলার সাহস পাই নি।জানোই তো, খুব বেশি সুন্দরী কারো সাথে কথা বলাটা অতটা সহজ না। অনেকদিন ভেবেছি তোমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবো।কিন্তু কী আশ্চর্য, উলটো তুমি-ই আমাকে রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দিয়েছো............... etc etc etc......"

এই টাইপের এক সুবিশাল পত্র লেখনী সম্পন্ন করিয়া মঈন অপেক্ষার প্রহর গুনিতে থাকিলো। যেন ধূর্ত শেয়াল ঝোপের আড়ালে বসিয়া শিকারের জন্য ওত পাতিয়া রহিয়াছে।

সপ্তাহ খানেক পরের কথা। ততদিনে তাহাদের রিলেশন আপনি থেকে তুমি পর্যন্ত গড়াইয়া সারা। চ্যাট করিয়া, তেল মারিয়া একে অন্যকে কাবু করিয়া দিয়াছে প্রায়। আজ ফেসবুকে বসিয়া আবারো ইশিতার মেসেজ দেখিয়া যাহার-পর-নাই খুশি হইয়া উঠিলো মঈন। হা, শিকার ফাঁদে পা দিয়াছে। তাহার তৈল ভরা পত্রের মাখন ভরা রিপ্লাই আসিয়াছে। পত্র পড়িয়া মঈন নিশ্চিত হইলো- শিকার তাহার প্রেমে হাবুডুবু খাওয়ার জন্য এক পায়ে খাড়া। ইহাকে বাগানো মঈনের নিকট কানি-আঙ্গুলের কাজ মাত্র।নেক্সট স্টেপ- কণ্যাকে ফাস্টফুডে খাওয়াইতে হইবে কিংবা কোথাও ঘুরতে নিয়া যাইতে হইবে।এইটাই করিয়া আসিয়াছে মঈন বিগত অপারেশন গুলাতে, বহু বৎসরের পুরানা এক্সপেরিয়েন্স তাহার। কিন্তু এ কী আশ্চর্যের কথা, উল্টা কন্যা-ই যে তার সাথে দ্যাখা করিতে চায় বলিয়া আরেকখানা পত্র দিয়া বসিয়াছে! এ যে মেঘ না চাহিতেই বৃষ্টি...সাথে তুফানও আসিয়া হাজির...!

কণ্যার রেসপন্স-ও প্রশংসার দাবিদার। এমন গুলগুলা একখানা পত্র দেখিয়া কোনও পুরুষ কি আছে এই আবেদন অগ্রাহ্য করিয়া যায়।

কন্যা লিখিয়াছে, "আই মঈন, তোমার কাছে একটা আবদার আছে, আজ আমার মনটা ভিষণ খারাপ জানো? কিচ্ছু ভাল্লাগছে না। খুব ইচ্ছা করছে দূরে কোথাও ঘুরতে যেতে। কিন্তু আমার কপালটাই খারাপ। কেউ নাই আমাকে নিয়ে যাওয়ার। তোমাকেও বলতে পারছি না, তুমি busy কিনা কে জানে? যদি ফ্রী থাকো, তোমার কি একটু সময় হবে প্লীজ...?" মঈনের উত্তর কী হইতে পারে, তাহা পাঠকগণ নিশ্চয়ই এতক্ষণে ধরিতে পারিয়াছেন। হা, শেয়াল শিকারের দিকে পা বাড়াইয়াছিলো।

পরের দিন সকাল ১০ঘটিকা। মঈন আজ ৯টা হইতেই চরম বিচলিত। খুব সকাল করিয়া উঠিয়াই নিজের রূপচর্চার দিকে নজর দিয়াছে সে। আয়নায় মুখভর্তি দাড়ি দেখিয়া নিজেকেই শুধাইলো মঈন, ইশ, কতই না জংলী দ্যাখা যাইতেছে। অবশ্য তাহার এই রূপটাই অসম্ভব ভালো লাগিতো বৃষ্টির। ইশিতার এই জঙ্গল ভালো লাগিবে কিনা কে জানে। কর্তন-ই শ্রেয়। রিস্ক লইবার কী দরকার? নিজেকে যতটা সম্ভব পরিপাটি করিয়া সাজাইয়া লইল ধূর্ত শিয়াল। সাড়ে দশটায় ইশিতার সাথে দেখা করিবার কথা। মেডিকেল কলেজ ক্যান্টিনের সামনের করিডোরটায় দাড়াইয়া থাকার কথা শিকারের। বডি স্প্রের বাটন পরিপূর্ণরূপে চাপিয়া শেষবারের মতো আয়নায় চুল ঠিক করিয়া নিল মঈন। বডি স্প্রে-ও মারিয়াছে সে দারুণ কষিয়া। "Set-Wet ZATAK-Very very Sexy." যেন খুশবুদার ঘ্রাণ দিয়াও কাবু করিবার এক অদম্য দুর্বাসনা।

কলেজ ক্যান্টিনের সামনে আসিয়া দাড়াইল মঈনের রিকশা। চার কদম হাটিয়া গেলেই করিডোর। ফুরফুরে মুড সঙ্গে লইয়া মঈন সামনের দিকে অগ্রসর হইলো।

কিন্তু হায়। বিধাতা তাহার জন্যে যে এই কুব্যাবস্থা আগে থেকিয়াই নিজ হাতে গড়িয়া রাখিয়াছিলেন তাহা কী মঈন একটাবারও ভাবিতে পারিয়াছিলো?...

করিডোরের মাথায় একঝাক তরূনী দাড়াইয়াছিলো। দেখিয়াই যে কেউ বলিয়া দিতে পারিবে তাহারা কেউই মঈনের সুস্বাগতমের জন্য দাড়াইয়া নাই। কাছে আসার পর মঈন একে একে সবাইকে চিনিতে লাগিলো। ওইতো, ইশিতা, কিন্তু তাহার আশেপাশের রমণীসমগ্র সবাই তাহার দিকে এত ক্ষিপ্র ভংগীতে তাকাইয়া রহিয়াছে ক্যানো। সে কী কোনো দোষ করিয়া ফেলিয়াছে। এতক্ষণে সবাইকে চিনিতে লাগিলো মঈন। ইশিতার ডানে যে দাড়াইয়া আছে সে তন্বী, তার পাশে ইরিনা, আর বামে বৃষ্টি।

একে একে সব মনে পড়িতে লাগিলো মঈনের। মনে পড়িয়া গেল তন্বীকে সে বলিয়াছিলো, 'তুমি, আমার জীবনের প্রথম আর শেষ প্রেম'। ইরিনাকে বলিয়াছিলো, 'তোমার আগে আমার জীবনে আর কেউ আসে নাই, প্লীজ আমাকে কখনো ছেড়ে যেওনা'। আর বৃষ্টির কথা তো আগেই বলিয়াছি...............

মঈন চারপাশে অন্ধকার দেখিতে লাগিলো। তাহার রংগ ভরা মধুর জীবন কী আজই সমাপ্তির পথে...... দুর্ধর্ষী শিয়ালের সেই বেহাল অবস্থা যে না দেখিয়াছে ঐ দিন, তাহাকে বুঝাইয়া বলার সামর্থ কাহারো নাই......:((:((

তাহার পরের কাহিনী বিস্তারিত না হয় নাই বলিলাম। বেহাল সেই শিয়ালের হাল সেইদিনের উদ্ধত রমণীগণ কী পরিমাণ শোচনীয় আর অবর্ণনীয় করিয়া ছাড়িয়াছিলো শুধুমাত্র আমরা যাহারা সৌভাগ্য বশতঃ সেইদিন ক্যান্টিনে বসিয়াছিলাম শুধু তাহারাই অবলোকন করিতে সক্ষম হইয়াছিলাম। কলেজের একগাদা সিনিয়র জুনিয়রের সামনে সেই লাভার বয়ের এইভাবে চরম অপমানের শিকার এই কলেজের ইতিহাসে সেইবারই প্রথম ঘটিতে দ্যাখা গিয়াছিলো এইটুকুই বলিতে পারি। নত মস্তিষ্ক মঈনের সেইদিনের ঘটনা আজো ভুলিতে পারি নাই। দুর্ভাগ্য হইলেও সত্যি সেইদিন উপস্থিত থাকা একটা বান্দার মনেও তাহার জন্যে এতটুকু দয়ার সঞ্চার হয় নাই। তবে হ্যা, মঈনের গালে বৃষ্টির দেওয়া কষিয়া চপেটাঘাতটার কথা মনে হইলে আজো ভীতকম্পিত হইয়া উঠিতে হয়। পেট চাইপা হাসি বাহির হইবার কথা না হয় নাই বলিলাম। হা...হা...হা... :#) :#) :#)


এই ছিলো আমাদের সেই লুইচ্চা রাজ মঈনের NewAdventure-এর অমর শোকের করূণ গাথা।

শেষ কথাঃ আমাদের সমাজে এইরূপ হাজারো মঈনের আনাগোনা আমাদের-ই চারপাশে। কিন্তু কয়জনই বা তাদের জীবনের এরূপ মাইঙ্কার চিপায় পড়ার কাহিনী জানি? So, mamma, চুরি করবা তো, ধড়া একদিন খাইতেই হইবো......

সকল মঈনদের তরে তাই লেখকের ওয়ার্নিং- "সাধু, সাবধান"B-)
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৫২
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×