somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক মিনিটের গল্প

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জাহি-অতসীর বেলা অবেলা
লিখাঃ ০৪-০৭-২০১৫
প্রকাশঃ ০৬-০৭-২০১৫


অর্ণা-অতসীদের বাড়ির সামনে অনেক বড় একটা দীঘি ছিল। বলতে এক কথায় অসাধারণ। ছোট বেলায় দাদার বাড়ি আসলে জাহি এখানে খেলতে আসতো। দীঘিটার একপাশে অর্ণা-অতসীদের বাড়ি আর অন্য পাশগুলোতে বিস্তীর্ণ সমভূমি। এখানে সিজনাল অনেক কিছু চাষ হত। কখনো ধান, কখন শস্য। দাদার বাড়ি আসলে বেশীর ভাগ সময় এখানে খেলে কাটাত জাহি। কিন্তু অর্ণা-অতসীরা তাদের সাথে খেলতে আসত না। বাড়ি থেকে তাদের খেলতে বারণ ছিল। দূর থেকে তারা শুধু জাহিদের খেলা দেখেই যেত। অতসী জাহির কিছুটা ছোট ছিল কিন্তু অর্ণা বেশ ছোট ছিল।
অনেকটা পথ হাঁটল জাহি। কিন্তু সেই দীঘিটা খুঁজে পেলো না। পথ মনে হয় ভুল করে ফেলেছে। ছোট বেলায় তার দাদার বাড়ি থেকে ৫ থেকে ১০ মিনিট হাঁটলে সেই দীঘিটা পেয়ে যেত। জাহি মোটামুটি ২০/২৫ মিনিট হাঁটার পরে বুঝে নিলো সে অন্য কোন দিকে চলে এসেছে। যাক, চলে যখন এসেছে হাঁটতেই থাকল, তার ভালই তো লাগছিল। প্রায় ১৭ বছর পরে দাদার বাড়ি এসেছে জাহি।জাহি ভাবল, আজকাল গ্রামগুলোর মেঠো পথগুলোর বার্ধক্য হয়েছে, অনেক খুঁজলেও তাদের পাওয়া যায় না। ১০ টা পিচ রোডের পরে হয়তো একটা মেঠো পথ পাওয়া যাবে।

কতক্ষণ হাঁটছে মনে নাই জাহির। ৪০/৫০ মিনিট বা ১ ঘণ্টার কম হবে না। মূলত বিকেলের স্নিগ্ধতা কখনো গ্রামের বাড়িতে না আসলে বুঝা যায় না। কিন্তু হঠাৎ করে যেন অন্ধকার নামা শুরু করল। এত তাড়াতাড়ি যে অন্ধকার নেমে যাবে ভাবেনি জাহি। অন্ধকার নামার সাথে সাথে সে যেদিকে আসছিল ঠিক তার পিছনের দিকে হাঁটা শুরু করল। কিন্তু একটু পরে আর কিছুই দেখতে পেলো না। আজই ও ঢাকা থেকে গ্রামে এসেছে। পথেই মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে গেছিল। গ্রামের বাড়ির বিদ্যুতের যে অবস্থা। জাহি এসেই শুনেছে এখানে দিনে প্রায় ১৬ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকে না। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় সে মোবাইলে চার্জ দিয়ে বের হয়েছিল। সুতরাং এখন যে সে মোবাইলের আলো দিয়ে পথ দেখে বাসায় ফিরবে সে অবস্থাও নেই।

একটু দূরে কোথায় যেন আলো জ্বলছে। মনে হয় কারো বাড়ি হবে। এখন অবস্থাটা এমন কাউকে জিজ্ঞাসা বা কারো সাহায্য ছাড়া তার বাড়ি পৌঁছানো সম্ভব নয়। জাহি সেই আলো অনুসরণ করে হাঁটতে লাগল। আকাশে ২/১ টা তারা দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া এত অন্ধকার যে কিছুই দেখা যাচ্ছে না।

বাড়িটার অনেকটা সামনে এসে পড়েছে। জাহি এতক্ষণ খেয়াল করেনি। বাড়িটার কাছাকাছি হতেই খেয়াল হল, সামনে অনেকটা পথ জুড়ে আলোকসজ্জা। মনে হয় বিয়ে বাড়ি। কিন্তু এদিকে কাউকে দেখা গেল না। আরেকটু সামনে আগাতে জাহির মনে হল সামনে একটা পুকুর ঘাট। মনে মনে চিন্তা করল, বাড়িতে ডুকে কারো সাহায্য চাওয়া যাবে, প্রথমে ঐদিকটা বসে একটু জিরিয়ে নেয়া যাক।

একটু সামনে আসতেই কে যেন বলে উঠল
-কে?
(একটা মেয়ে কণ্ঠ)
-আমি, জাহি বলল।
-আমি কে?
-আমার নাম জাহি। আমার বাড়ি এ গ্রামেই। এদিকটা হাঁটতে হাঁটতে পথ হারিয়ে ফেলেছি। কারো সাহায্য ছাড়া বাসায় যেতে পারছি না। তাই এদিকটা আসলাম যদি কারো সাহায্য পাওয়া যায়।
-আপনার বাড়ি যদি এ গ্রামে হলে, পথ হারালেন কিভাবে? গ্রামে থাকা হয় না বুঝি?
-হ্যাঁ, প্রায় ১৭ বছর পরে আসছি।
-বলেন কি, আপনি কোথায় থাকেন?
-ঢাকাতেই, জাহি বলল।
-আমিও তো ঢাকাতে থাকি। কিন্তু ইউনিভার্সিটি রাজশাহী হওয়াতে এখন রাজশাহী থাকতে হয় কিন্তু আমার প্রায় গ্রামে আসা হয় । যে কোন ছুটি পেলে আমি গ্রামে চলে আসি।
-আমি প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে হাঁটছি। অনেকটা ক্লান্ত। আমি এদিকটা আসছি একটু বসতে। আমি কি একটু বসতে পারি? জাহি অনুমতি চাইল।
-ওহ! সরি সরি। please আসুন।
জাহি অনেকটা অবাক হল। একটা মেয়ে এত স্বাচ্ছন্দ্য-ভাবে তার সাথে কথা বলে যাচ্ছে। তাও এই অন্ধকারে। আশেপাশে কেউ আছে বলে তো মনে হয় না। আর মেয়েটা যে ভয় পাচ্ছে তাও না। জাহি আর পারল না। প্রায় ১ ঘণ্টার উপরে হেঁটেছে। মেয়েটি যে পাশে বসেছিল, তার উলটো পাশে পুকুর ঘাঁটের সিমেন্টের বেঞ্চের উপর বসে পড়ল।
-তো আপনার কোন বাড়ি?
-জামিল মুন্সির বাড়ি।, জাহি বলল।
-ঠিক আছে। আপনি চিন্তা করবেন না। আমি কাউকে বলে দেব খোঁজ খবর নিতে। আপনি এখানে কিছুক্ষণ রেস্ট নিতে পারেন।
-এই বাড়িটা বুঝি আপনাদের? জাহি জিজ্ঞাসা করল।
-হ্যাঁ, এটা আমাদের বাড়িই। কিন্তু এটা আমার নানার বাড়ি। প্রায় জন্মের পর থেকে এখানে আমি মানুষ হয়েছি।
-তো, বাড়িতে বিয়েটা কার?
-জানি না। (মেয়েটি কয়েক সেকেন্ড চুপচাপ থেকে যেন উত্তরটা দিল)
-অবাক ব্যাপার। আপনি বললেন বাড়িটা আপনাদের। কিন্তু বিয়েটা কার জানেন না।
-কারো হবে হয়তো। আমার এত জানার দরকার নাই। আপনি তো বাড়ি যাবেন, তাই না? অপেক্ষা করেন আমি আপনার যাওয়ার ব্যবস্থা করছি।
জাহি দেখল, এই অন্ধকারের মধ্যে একটা মোবাইল স্ক্রিন জ্বলে উঠল। মেয়েটা উঠে বাড়ির দিকে চলে গেল।

জাহি প্রায় ১৫/২০ মিনিট অপেক্ষা করল। কেউ আসল না। পরে ভাবল। নিজেই যেয়ে কারো কাছে সাহায্য চাইবে। কিন্তু একটু পরে দূর থেকে দেখল একটা জ্বলতে থাকা মোবাইল স্ক্রিন তার কাছাকাছি আসতে থাকল।
-আমি আমার কাজিনকে বলে দিয়েছি। আপনাকে ৫ মিনিট পরে বাসায় দিয়ে আসবে। সে পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। আপনার তো অপেক্ষা করতে কোন সমস্যা নাই, না? অবশ্য আপনি অপেক্ষা করা ছাড়া আপনার কোন উপায়ও নাই। যাই হোক আপনার গ্রাম দেখা কেমন হল?
জাহি ভাবল, বেশ বকবক করতে পারে দেখি।
-এই তো ভালই। নিজের গ্রাম তো তাই ভাল লাগার পরিমাণটা আরও বেশী।, জাহি বলল।
-তো ঢাকায় কি করেন আপনি?
-এই কয়েক দিন আগেই মাস্টার্স শেষ হল। এখনো কোথাও জয়েন করিনি। আপনি কোন ইয়ারে পড়ছেন?
-থার্ড ইয়ার শেষ হল। আবার শেষ বর্ষে।
-বাহ! বেশ। বিয়েটা কার বললেন না তো?
-আপনি এত কথা বলেন কেন। বিয়ে খাবেন? আসেন, চলেন । বাড়িতে গিয়ে নেচে আসেন। আমার কাজিনরা সবাই নাছতে-ছে। আমিও কিছুক্ষণ আগে নেচে এসেছি।
জাহি ভয় পেয়ে গেল। আর কথা বাড়াল না। শুধু চিন্তায় আছে কতক্ষণে বাসায় যেতে পারবে। কতদূর চলে এসেছে তার কোন ধারণাই নাই।
মেয়েটা আর কোন কথা বলল না। বাসায় একটা ফোন করা খুব আর্জেন্ট। মেয়েটাকে একটা রিকোয়েস্ট করা যায়। কিন্তু সে সম্ভবত হেড ফোনে গান শুনছে। জাহি অনেকবার হ্যালো, হ্যালো বলেও কোন রেস্পঞ্চ পেল না। ৫/৬ মিনিট হয়ে গেল, কিন্তু কেউ আসল না।
-শুনুন। , মেয়েটা হঠাৎ বলে উঠল।
-জি বলুন।
-আপনার নাম তো জাহি, তাই না?
জাহি ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল। সাথে সাথে বলল, হ্যাঁ, আমি জাহি। কিন্তু আপনি কিভাবে আমার নাম জানেন?
-আমি আপনার নাম জানতাম না। কিছুক্ষণ আগে শুনেছি। কিন্তু আমি আপনাকে চিনি। আপনি ছোট কালে আমাদের এই দীঘির পাড়েই খেলতেন আপনার কাজিনরা সহ।
এর মধ্যে জাহি দেখল। ২/৩ টা ১৪/১৫ বছরের ছেলে টর্চ লাইট নিয়ে এদিকে আসল। এসেই বলল, আপনার নাম জাহি ভাইয়া, তাই না?
জাহি এখনো সব কিছু বুঝতে পারছে না।
-চলেন ভাইয়া আপনাকে বাড়িতে দিয়ে আসি। অনেক দিন পরে এসেছেন তো। তাই চিনতে পারছেন না।– এর মধ্যে একটা ছেলে বলল।
-তোরা একটু সামনে যা তো, মেয়েটি ছেলেগুলোকে বলল।
ছেলেগুলো একটু সামনে গিয়ে দাড়িয়ে থাকল।

-আমার নাম অতসী। আপনি জিজ্ঞাসা করছিলেন না, বিয়েটা কার। হ্যাঁ, বিয়েটা আমার। ৬ দিন পরে। এই বিয়েতে আমার কোন আপত্তি নাই। কারণ মামা বিয়েটা ঠিক করেছে। আমি জানি মামা, কোন সিদ্ধান্ত ভুল করতে পারেন না। উনি চিন্তা করলে পৃথিবীর সবচে যোগ্যতম মানুষের সাথেই আমাকে চিন্তা করবেন। এতে আমার কোন সন্দেহ নাই। সুতরাং আমার বরের ব্যাপারে আমি টেনশন ফ্রী। কিন্তু একটা ব্যাপার কি জানেন। ‘বিয়ে’র ব্যাপারটাতে আমার আপত্তি আছে। একটা মানুষের সাথে সারা জীবন ঘ্যানর ঘ্যানর করা আমার পক্ষে কখনই সম্ভব নয়। মন থেকে আমি বিয়েটা করছি না, নিশ্চয়তা থেকে করছি। আমার মামাই সেই নিশ্চয়তা।– এই বলে অতসী আবার হেড ফোন লাগিয়ে গান শুনতে লাগল।

জাহির একদম থমকে যাওয়ার অবস্থা হল। এই সে অতসী। জাহি এবং কাজিনরা যখন তাদের বাড়ির সামনে খেলত, তারা ২ বোন জানালা দিয়ে জাহি-দের দিকে তাকিয়ে থাকত।

জাহি ১০ মিনিটের মধ্যে বাসায় চলে আসল। মূলত জাহি সারা বিকেল ঘুরতে ঘুরতে না চিনেই তার বাড়ির কাছে চলে এসেছিল। পুকুর ঘাঁট মনে করে সে যে ঘাঁটে বসেছিল, মূলত সেটা তার ছোট বেলার অর্ণা-অতসীদেরই দীঘির ঘাট। তখন ঘাঁটটা ছিল না। পরে নতুন করে ঘাঁটটা করা হয়েছিল।

পরের দিন সন্ধ্যার একটু পরে জাহি বের হল। হাটতে হাটতে অতসীদের সেই ঘাঁটের কাছে চলে আসল। ভাবল, ঘাঁটে একটু বসবে। অনেক পুরনো স্মতি এখানে বহন করে। ঘাঁটের কাছে আসতেই জাহি শুনতে পেল।
-কি মিস্টার। আজকেও কি ভুল করে চলে আসলেন?, অতসী হেঁসে বলল।
-না, ভুল করে আসিনি। পুরনো স্মতি তো তাই চলে আসলাম। তাছাড়া আপনাকেও পেয়ে যাব, এটাও কিছুটা ধারণা ছিল।– আমি বলে জাহি একটু মৃদু হাসল।
-আপনার ভয় নাই। আমি কিন্তু সিরাজ মণ্ডলের ভাগ্নি।
-না, আমার ভয় নাই। আপনার মামা যদি ভুল করে এদিকে চলে আসে এবং আমাকে চিনে তাহলে আজকে আমাকে আপনাদের মেহমান হতে হবে। হা... হা
-শুনুন মিস্টার, আমি কিন্তু বিয়ের কনে। বিয়ের কনের সাথে এভাবে কথা বলতে দেখলে আপনাকে নির্ঘাত পেঁদানি দেবে... হা ... হা
জাহিও একটু হাসল।
-বসতে বলবেন না?, জাহি অতসীকে জিজ্ঞাসা করল।
-ওহ, সরি। please বসেন।

জাহি এসে আগের একই জায়গায় বসলো।
-আপনার কাছে একটা সাজেশন চাইব, দেবেন?, অতসী বলল।
-হুম, বলুন।
-আমি বিয়ের আগে পালিয়ে যেতে চাচ্ছি, কেমন হয় বলুন তো?
-খুব ভাল হয়।
-আপনি আমাকে সাহায্য করবেন?
-করব, কখন পালাতে চাচ্ছেন?
-আপনার তো সাহস কম না। আপনি একটা অপরিচিত মেয়েকে পালাতে সাহায্য করতে চাচ্ছেন?
-হুম, আমার অনেক সাহস। আমি আপনাকে পালাতে সাহায্য করব। কিন্তু মনে হয় না আপনার এতে কোন লাভ হবে। কারণ ট্রেন স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছানোর আগে, আপনার মামা আপনাকে ধরে নিয়ে আসবে।
-আপনার ধারণা ভুল। কারণ মামা যদি একবার বুঝতে পারে আমি পালাতে চাচ্ছি, তাহলে মামা আমাকে সব কিছু দিয়ে সাহায্য করবে। মামা জানে যে আমি বিয়েতে খুশি। এখানে আমার মামার খুশিটাই আসল। পৃথিবীর অন্য সব কিছু আমার কাছে গৌণ। আপনি কি আমার একটু পাশে আসবেন?
জাহি অনেকটা সংকোচে পড়ল।
-আরে ভয় পাচ্ছেন কেন, এখানে কেউ আসবে না। আপনাকে একটা ছবি দেখাব, অতসী বলল।
জাহি এসে অতসীর পাশে বসলো।
-এই দেখুন, এটা হচ্ছে আমার হবু বর। অনেক সুন্দর না?। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। অসাধারণ মানুষ। আমার সাথে ২ দিন কথা হয়েছে। আমার বেশ পছন্দ হয়ে গেছে।
জাহি ছবিটা দেখল।
-তাহলে তো আর সমস্যা থাকার কথা না, জাহি বলল।
-আপনাকে সমস্যা আছে বলল কে? আমার তো কোন সমস্যা নেই।

এর মধ্যে জাহি আগের জায়গায় ফিরে এলো।
-আপনি কি জানেন, আমার বিয়ের মধ্যে কি পরিমাণ আয়োজন হচ্ছে। প্রায় ৬ দিন আগে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে। মামা বলেছে স্থানীয় এমপিও আমার বিয়েতে আমন্ত্রিত। হাজার হাজার মানুষ খাওয়ানো হবে। আমার বরের জন্য মামা নাকি ইতোমধ্যে একটা গাড়ির অর্ডার দিয়ে রেখেছেন। তাকে গাড়ি গিফট করা হবে। আমার হবু বরের সাথে কথা বলে জানলাম, আমার হবু বর এতে বেশ নাখোশ। সে আমাকে রিকোয়েস্ট করেছে। মামা যেন এসব না করে, সেটা আমাকে বলতে। আপনিই বলুন আমি কি মামাকে এ সব কথা বলতে পারি?
জাহি অনেকটা স্তব্ধ হয়ে গেল। কি বলবে বুঝতে পারছিল না। তবে এটা বুঝে নিলো, অতসীর মনের ভিতর অন্য একটা ব্যাপার চলছে, একদম অন্য ব্যাপার। যা হয়তো তার মামা কিংবা অন্য কারো বুঝার সাধ্য নাই।

পরের দিন অতসীর সাথে জাহির সেই আগের জায়গায় আবার দেখা হল। জাহি এসেই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেল, অতসী তার জন্য অপেক্ষা করছিল।
জাহি বেশিরভাগ সময় অতসীর কথাই শুনে যায়, খুব বেশী কথা বলে না। অতসীও প্রায় ধরে নিলো, জাহি খুবই বুদ্ধিদীপ্ত কিন্তু অনেকটা চুপচাপ।

একটা সময় অতসীর কথা থেকে জাহি পরিপূর্ণভাবে বুঝে নিলো, অতসী আসলে সুনিদিস্থভাবে কারো সাথে প্রেম করা, ভালবাসা বা বিয়ে করার ব্যাপারগুলোর সাথে মানসিকভাবে একদমই পরিচিত না। পাশাপাশি অনেকগুলো মানুষের সাথে থেকেও সে তার মনের নিজস্ব পৃথিবীটাকে গড়ে তুলেছে ভালবাসা, প্রেম, বিয়ে, স্থায়ী কোন বন্ধন এগুলো ছাড়াই। এই বিয়ে নামক স্থায়ী বন্ধনটাকে সে কখনো বন্ধু হিসেবে নিতে পারেনি। তার মতে, পৃথিবীটা একটা বাধাহীন বিচরণ ভূমি, সুনির্দিষ্ট বন্ধন থেকেও এখানে সামগ্রিক বন্ধনটা গুরুত্বপূর্ণ। আসলে অতসীকে কাছাকাছি থেকেও পৃথিবীর খুব কম মানুষেই বুঝতে পারবে।

অতসীর সাথে জাহির ৩য় দিন...

অতসী অস্থিরভাবে জাহিকে জিজ্ঞাস করল, “আপনার আসতে এতক্ষণ দেরী হল কেন!!?
এই আচরণটায় জাহি মনে মনে অনেকটা অবাক হল। জাহি জানালো এইতো একটু কাজ ছিল। এই জন্য একটু দেরী হল।
-আপনার সাথে আপনার হবু বরের কথা হয় না? জাহি জানতে চাইল।
-হুম, হয়তো। অনেক হয়। জানেন, আমি এখন নিজেও তাকে অনেক ফোন দেয়ই । সত্যি কথা বলতে কি, তার সাথে কথা বলতে ভাল লাগে। আমি অস্বীকার করছি না যে, তার সাথে কথা বলাটা মোটামুটি একটা নেশা হয়ে গেছে আমার। এটা আমি বলতে পারি। বেশিরভাগ সময়ই আমি তার কথা শুনতে থাকি। কিছুই বলি না। শুনতেই ভাল লাগে। অনেক গুছিয়ে কথা বলতে পারে।
-হা হা, আর এখানে আপনিই বেশীরভাগ কথা বলে যান। আর আমি চুপচাপ শুনতে থাকি। তাই না?, জাহি বলল।
-তা আপনি ঠিক বলেছেন। এই বলে অতসী হেঁসে উঠল।
-তাকে তো আপনি জানিয়ে দিতে পারেন ব্যাপারটা যে, আপনি কারো সাথে কোন বন্ধনে জড়াতে চাচ্ছেন না। আপনি আপনার হবু বরের যেভাবে বিবরণ দিলেন, তাকে কথাটি জানালেও মনে হয়, সে খুব সহজে এটা মেনে নেবে।
-জাহি, আপনি কি আমার একটু পাশে এসে বসবেন?
জাহি কোন সংকোচ না করে অতসীর পাশে এসে বসলো।
জাহি দেখল, এবার অতসী কুপিয়ে কেঁদে উঠল। অনেকক্ষণ কাঁদল। জাহি অতসীর খুব কাছে এসেও কিছু বলল না। বসে বসে অতসীর কান্না দেখল।
অতসীর কান্না যখন একটু কমে আসল তখন অতসী বলল, “জানেন, আমি অনেকবার এ কথাটি বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বলতে পারিনি। আমি তো জানি, বললেই সে বিয়েটা ভেঙ্গে দেবে কোন সমস্যা নাই”।

-একটা প্রশ্ন করব? জাহি বলল।
-করেন।
-আমাকে আপনি কেমন পছন্দ করেন?
-অনেক। না হলে কি আমি আপনাকে এত কিছু শেয়ার করি?
-যদি আপনার হবু স্বামীর জায়গায় আমাকে দাঁড়া করিয়ে দেয়া হয় এবং যদি বলা হয়, এ ২ জনের মধ্যে আপনি কাকে পছন্দ করবেন, আপনি কাকে করবেন?
অতসী জাহির দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়েই থাকল। কিছুই বলল না।
-এর জবাব কাল দিয়েন। কাল আপনাকে নিয়ে এক জায়গায় বেড়াতে যাব। কোন সমস্যা নাই তো? জাহি বলল।
অতসী তখনো জাহির দিকে তাকিয়ে থাকল।

অনেক কষ্ট করে জাহি অতসীকে নিয়ে জাহির খুব প্রিয় একটা জায়গায় আসল। ছোট্ট একটা নদী কিন্তু নদীর পানিগুলো একদম স্থির, তবে নদীর পাড়ে অনেকটা জায়গা জুড়ে সমতলভূমি। সেই সমতলভূমিতে প্রচুর পরিমাণ ঘাস। মানুষের খুব বেশী আনাগোনা এখানে নাই। অতসী জায়গাটা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেল।
-আপনার ভাল লাগছে? জাহি অতসীকে জিজ্ঞাসা করল।
-অনেক অনেক ভাল লাগছে। জানেন আমি কখনো এমন স্থির নদী দেখিনি, নদীর পাড় ঘেঁষে সবুজ ঘাস, যেন মনে হয়, বড় একটা সবুজ কার্পেট। সব কিছুই অসাধারণ।
-একটি কথা বলব আপনাকে?
-বলেন।
-কাল একটা প্রশ্ন করেছি। সেতার উত্তর তা কি এখন দেবেন?
অতসী নীরব হয়ে গেল। কিছু বলল না।
জাহি এবার একটু হেঁসে বলল, “ঠিক আছে, আমি এই প্রশ্ন আর করব না। কিন্তু আরেকটা প্রশ্ন করব। উত্তর দিতে হবে।
এবারও অতসী কিছু বলল না। নীরবে জাহির দিকে তাকিয়ে থাকল।
“আপনি চোখটা একটু বন্ধ করেন তো” জাহি অতসীকে বলল।
অতসী অনেকটা না বুঝেই চোখ বন্ধ করল।
-এখন চিন্তা করে বলুন, আমি এবং আপনার হবু বরের মধ্যে আপনি কাকে দেখতে পাচ্ছেন, আমাকে, না আপনার হবু বর-কে? খুব চিন্তা করে বলুন।
কয়েক সেকেন্ড পরে জাহি বলল, “এবার চোখ খুলুন”। এখন বলুন আপনি কাকে দেখেছেন। সত্যি করে বলবেন।
অতসী তখনো জাহির দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকল। যেন অনন্তকাল এভাবেই তাকিয়ে আছে।

ঠিক আছে। আপনি বলতে হবে না। আমিই আপনাকে বলছি, চোখ বন্ধ করার পর আপনি আমাকে দেখেননি। আপনি দেখেছেন আপনার হবু বরকে। তার প্রতিটা কথা আপনার কানের মধ্যে ভাসছে, তার ছোট ছোট প্রমিসগুলো আপনার অবচেতন মনে ছোট ছোট কিছু স্বপ্ন সৃষ্টি করেছে। যা আমি পারিনি। আমি আপনাকে আমার আগ্রহের সবটুকু দেখিয়েছি। কিন্তু আমি আপনাকে কোন প্রমিস করিনি। মোট কথা হল, যে দায়িত্ব নিতে পারে, ভালবাসার অধিকারটা তারই সাঁজে। আপনার হবু বর ইতোমধ্যে আপনার দায়িত্বটা নিয়ে নিয়েছে, সেটা আপনার ব্রেন ইতোমধ্যে ধারণ করে নিয়েছে। সুতরাং চোখ বন্ধ করলে কোন মতেই আপনি আমাকে দেখার কথা না। একশবার চোখ বন্ধ করে একশবার খুললেও, প্রত্যেকবারই আপনি আপনার হবু বরকে দেখতে পাবেন।

অতসীর চোখগুলো যেন হঠাৎ বিস্ফোরিত হল। সাথে সাথে সে তার ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করে তার হবু স্বামীকে ফোন করল। ক্রিং ক্রিং শব্দে জাহির পকেট থেকে ফোনটা বেজে উঠল। অতসী দেখল দূর থেকে জাহি অতসীর দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে এবং মৃদু মৃদু হাসছে।

পরের দিন ঢাকা চলে আসার আগে জাহি অতসীর সাথে দেখা করেছে। মূলত জাহির সাথে অতসীর মামার আগে থেকেই যোগাযোগ ছিল। মামার ধারণা ছিল অতসী সব সময় একটা অদ্ভুত আচরণ করছে। মামাই জাহিকে রিকুয়েস্ট করেছিল, অতসীর কি হয়েছিল ব্যাপারটা দেখতে এবং পুরো ব্যাপারটাই ছিল মোটামুটি সাজানো। তার বাড়ির ছেলে মেয়েদেরকে এভাবেই জানানো হয়েছিলো। শুধু অতসীকে জানানো হয়নি। প্লানটা জাহিই করেছিল।

আসার সময় অতসী জাহিকে বলেছিল, “কেন করতে গেলেন এটা, এতে আপনার কি স্বার্থ উদ্ধার হল?”।
জাহি বলেছিল, “আমার ২ টা স্বার্থ উদ্ধার হয়েছে। প্রথমটা হল, ছোট বেলায় আমরা যখন তোমাদের বাড়ির সামনে খেলতে আসতাম। তোমরা ২ বোন জানালা দিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকতে। আমার তখন কেন জানি মনে হত, তোমরা আমাদের সাথে খেললে আমাদের ভাল লাগত। আমি সব সময় তোমাদের আশা করতাম। কিন্তু তোমার মামা তোমাদের এদিকে আসতে দিত না। কারণ তোমার মায়ের মৃত্যুর পর, তোমার মামা তোমাদেরকে ভালবাসার পরিমাণ হাজার গুনে বাড়িয়ে দিয়েছিল। সেই সময় থেকে আমার আক্ষেপটা রয়ে গেছে। আঙ্কল বলার সাথে সাথে এই জন্য রাজী হয়ে যাই।
আর ২য় স্বার্থ হল, “তোমাকে ভালবাসতে শিখিয়ে দিয়ে গেলাম”

একদম আসার সময় জাহি অতসীর কানে কানে বলল, “তোমাকে ভালবাসা, মমতা, প্রেম বন্ধন ভাঙতে শিখিয়ে দিয়েছি ঠিক আছে, কিন্তু আমিও তোমার ক্যাটাগরির মানুষ। বন্ধন জিনিশটা আমার মোটেই ভাল লাগে না। আমি খুব স্বাধীনচেতা মানুষ। আমি ভালবাসা, প্রেম, মায়া এসব ব্যাপার থেকে সব সময় দূরে ছিলাম এবং থাকব ভবিষ্যতে”
আসার সময় জাহি অতসীকে আরও জানালো, আগামী সপ্তাহে জাহি ফিনল্যান্ড চলে যাচ্ছে।
জাহি চলে যাওয়ার সময় অতসী কিচ্ছু বলেনি, কোন অনুনয় বিনয় করেনি। শুধু জাহির চলে যাওয়াটা দেখেছে আর জাহিকে একটাই প্রশ্ন করেছে, সেটা হল, “আমাকে আপনার মানসিক পরীক্ষার একটা গিনিপিগ বানালেন, কিন্তু কেন সেটা, পৃথিবীতে তো আরও অনেক মেয়ে ছিল”
জাহি এই প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেনি।

জাহি ফিনল্যান্ড চলে আসার প্রায় ৪ মাস পরে বাংলাদেশ থেকে একটা চিঠি আসল। জাহি খুলে দেখল একটা বিয়ের আমন্ত্রণ পত্র। অতসীর বিয়ে। কার্ডটা দেখতে অনেক সুন্দর। কার্ডটার ঠিক উল্টো পাশে কি যেন একটা লিখা। জাহি পড়ল লিখাটা। ওখানে লিখা আছে, “আপনার গড়ে দেয়া সংসার অন্য একজনের সাথে শুরু করতে যাচ্ছি। কখনো যদি দেশে আসেন, তাহলে আপনার তৈরি করা আমার গিনিপিগের সংসারটাকে একটু দেখে যাইয়েন”।

৭ তারিখে অতসীর বিয়ে ছিল। আর বিয়ের কার্ডটা আসে ১১ তারিখে।
জাহি লক্ষ্য করল তার চোখ দুটো ভারি হয়ে আসছে। বেহায়ার মত টুপ করে দু-ফোঁটা চোখের জলও গাল বেঁয়ে পড়ে গেল। জাহি মনে মনে বলল, এমন তো হওয়ার কথা ছিল না।

রিনির সাথে আজ প্রায় ৩ বছর ফোন কথা হয় জাহির। তবে তাদের ফোনে কথার চেয়েও ইয়াহু মেসেঞ্জারে চ্যাট হয় বেশী। প্রতি সপ্তাহে রিনি অন্তত ২/৩ টা ভিডিও ক্লিপ পাঠায় জাহির জন্য। ভিডিও ক্লিপগুলো খুব বেশী সময় ধরে না। হয়তো এই ৫/৭ মিনিট। মেয়েটা অদ্ভুত। ভিডিওগুলো এমন যেমন, রিনি খাচ্ছে, পড়ছে, মার্কেটে শপিং করছে, কবিতা আবৃতি করছে ইত্যাদি ইত্যাদি। তার থেকেও আরও বড় ব্যাপার হল, রিনি প্রতিদিন জাহিকে বড় বড় করে ইমেইল করে। প্রতিদিন অফিস থেকে এসে জাহির প্রথম কাজ হল ইমেইলগুলো পড়া আর শিহরিত হয়ে উঠা যে, মানুষ এত সুন্দরভাবে কিভাবে লিখে। এসব ব্যাপারগুলো জাহির পূর্বেকার মানসিকতার পরিবর্তন ঘটিয়ে রিনির প্রতি অদ্ভুত একটা মায়ার জন্ম দিয়েছে।

৩ বছর পরে জাহি আজ দেশে আসছে। রিনি কখনোই জাহিকে দেশে এসে তার সাথে দেখা করতে বলেনি। জাহি ইচ্ছে করেই রিনিকে দেখতে আসতেছে। মায়ার ব্যাপারটা আর কতটুকু কাটানো যায়, কোন একটা সময় তো ধরা দিতেই হয়। জাহির চিন্তা ছিল, অতসীর সাথে সে যে ভুলটা ও করে এসেছে, সে ভুলটা সে আর করবে না।

এয়ারপোর্ট থেকে বের হতেই রিনি দৌড়ে এসে জাহির হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে আসছিল। রিনি জানালো গাড়ি বাহিরেই আছে। জাহি যখন বের হল, দূর থেকে দেখল, একটা গাড়ির সামনে অতসী দাড়িয়ে আছে। জাহি দূর থেকে স্পষ্ট এটাও দেখল, অতসী মৃদু মৃদু হাসছে।

জাহি থমকে দাঁড়ালো। সব কিছু বুঝে নিতে তার খুব বেশিক্ষণ সময় লাগল না। ততক্ষণে রিনি তাকে টানতে টানতে অতসীর কাছে নিয়ে এলো। জাহি রিনির দিকে তাকিয়ে বলল, “তুমি অর্ণা, তাই না?”
অর্ণা সব কটা দাঁত বের করে হাসল, বলল, “কথা কম বলবা, ৩ বছর তোমাদের সংসারের বোঝা টানছি। আর কত!! এখন আমার সংসার দেখতে হবে। তোমাদের গিনিপিগদের সংসার তোমরা বুঝে নাও”।
“মনে রেখ, তোমার সাথে যাবতীয় যোগাযোগ আপুই করেছে। আমি শুধু কথা বলার সময় তোমার সাথে কথা বলতাম। আমার ভিডিওগুলোও আপু করেছে। এমনকি, কি বলব সেটাও কিন্তু পিছন থেকে আপু শিখিয়ে দিত। দেখ, ভেবো না যে তোমার প্রতি আমার ইমোশন টিমোশন আছে।”।– এই বলে অর্ণা আবার হেঁসে উঠল।

-তাহলে তোমার সেই বিয়ের কার্ডটা ফেইক ছিল, তাই না? জাহি অতসীকে জিজ্ঞাসা করল।
-হুম।
-বিয়ে করনি কেন?
-তোমাকে শায়েস্তা করার জন্য রয়ে গেলাম।
জাহি মৃদু হাসল।
-আমার ঢাকায় একটা ছোট্ট সংসার আছে। দেখতে যাবে না?
-যাব তো।

জাহি, অর্ণা, অতসী বাসায় ঢুকল। জাহি দেখল, অতসীর মামা তাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
জাহির দিকে তাকিয়ে অতসীর মামা বলল, “পারিনি রে, ভাগ্নির কাছে বারবার পরাজিত হতে ভাল লাগে না। শেষে এই কয়টা বছর তোর জন্য অপেক্ষা করতে বাধ্য হলাম। আমার মা’টাকে আগলে রাখিস”- এই বলে অতসীর মামা ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে উঠল।

বিকেলে অর্ণা এবং মামা বাসায় ছিল না।
জাহি অতসীর হাতে হালকা স্পর্শ রেখে বলল, “আমাকে ক্ষমা করা যায় না?”
অতসী বলল, “৩ বছর আগে যেদিন তুমি রিনির সাথে রিলেশন কন্টিনিউ করা শুরু করেছ। সেদিনই আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। কারণ তখন তুমিও ভালবাসতে শিখে ফেলেছ। সেই দিনেই আমি তোমার সাথে জিতে গেছি”।

জাহি অতসীর দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকল, এরপরে মৃদু করে একটু হাসল...

শেষ...
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:০৮
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রোড জ্যাম ইন ভিয়েতনাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭



আমার ধারনা ছিল জটিল জ্যাম শুধু বাংলাদেশেই লাগে । কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল । ভিয়েতনামে এরকম জটিলতর জ্যাম নিত্য দিনের ঘটনা । ছবিটি খেয়াল করলে দেখবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×