পরিচিতি ও লক্ষ্য উদ্দেশ্য
------------------------------
‘‘মানুষ মানুষের জন্য’’ এই ধ্রুব সত্যটিকে সামনে রেখে ২০০৭ সনের ১১ই জুলাই UNIVERSAL ENVIRONMENTAL HUMAN RIGHTS FOUNDATION (সার্বজনীন পরিবেশ মানবাধিকার সংস্থা) নামে একটি সেবামুলক সংগঠনের আত্নপ্রকাশ ঘটেছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন নিয়ে -এর শুভ যাত্রা শুরু হয়েছে। এই সংস্থাটি সমাজের সকলস্তরের মানবাধিকার বঞ্চিত ব্যাক্তিদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করতে আগ্রহী।
(আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য)
১। সমাজের সকল ধর্মের সকল বর্ণের মানুষকে সৎ কাজ, কল্যাণমুলক কাজের প্রতি আহ্বান করা এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান করা।
২। অসহায় দূঃস্থ নির্যাতিত জনসাধারণকে সুর্নিদিষ্ট লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সুষ্ঠ তদন্তক্রমে বিনা খরচে আইনি সহযোগিতা প্রদান করা ।
৩। মানবাধিকার বঞ্চিত সর্বস্তরের জনগণের লংঘিত অধিকার সরেজমিনে তদনন্তক্রমে আইনি প্রক্রিয়ায় পুনঃরুদ্ধারে সহযোগিতা প্রদান করা।
৪। ভিকটিম, অসহায় দুঃস্থ ,সুযোগ বঞ্চিত ও নিরাশ্রয়দের আইনগত ও সামাজিক পূর্নবাসন সহায়তা প্রদান করা।
৫। শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে কার্যক্রম পরিচালনা করা।
৬। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কার্যক্রম পরিচালনা করা।
৭। বিশ্ব শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সামপ্র্রদায়িক সমপ্রীতি ও বিভিন্ন ধর্মমতের বিশ্ববাসীদের মধ্যে সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা।
৮। শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করা। জাতি উপজাতি, ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ, শ্রেণী-পেশা নির্বিশেষে শ্রমের ন্যায্য মজুরী আদায়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান ও গণসচেতনতা সৃষ্টি করা।
৯। মিথ্যা মামালা হয়রানী মূলক মামলা, জাল-জালিয়াতের মাধ্যমে জমি জমা দখলসহ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনী সহযোগিতা প্রদান করা।
১০। বিনা বিচারে ও নিবর্তনমূলক আদেশ আটক হাজতীদের কারামুক্তির ব্যাপারে আইনগত সহায়তা প্রদান করা।
১১।জনসাধারণকে আইন ও অধিকার সম্পর্কে সচেতনকরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং তৎসম্পর্কিত প্রকাশনা ও প্রচারনা।
১২। প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের মানবিক সেবা প্রদান ও পূনর্বাসন এবং খাদ্য, চিকিৎসার ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সহিত সহযোগীতা করা ও তথ্য সংগ্রহ করা।
১৩। পিতৃ মাতৃহীন অনাথ শিশুদের শিক্ষা, খাদ্য, চিকিৎসা ও বাসস্থানের ব্যাবস্থা এবং আলোকিত মানুষ হিসেবে এই সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা, আপনজনদের দ্বারা নিঃগৃহিত অবহেলিত বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য বৃদ্ধনিবাস প্রতিষ্ঠা করা।
১৪। নারী ও শিশু নির্যাতন, পাচার ও বিক্রি প্রতিরোধ, যৌতুকসহ বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, অবৈধ দেহ ব্যবসা প্রতিরোধ ও প্রতিকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও গণসচেতনতা সৃষ্টি করা।
১৫। বেকার ও হতাশাগ্রস্থ যুবকদের আত্ন কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সকল প্রকার সাহায্য, আয়বর্ধক কার্যক্রম পরিচালনা সহ হাতে কলমে কাজ শিখানো।
১৬। বেকার যুবক/যুবতীদের আত্ম কর্মসংাস্থানের জন্য স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন কারিগরী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।
১৭। পরিবেশ সংরক্ষণ ও আইনের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধ করা।
কিভাবে পরিচালিত হচ্ছে এই সংস্থাটি?
----------------------------------------------
UNIVERSAL ENVIRONMENTAL HUMAN RIGHTS FOUNDATION (সার্বজনীন পরিবেশ মানবাধিকার সংস্থা) যেহেতু একটি অরাজনৈতিক অলাভজনক সেবামুলক দাতব্য সংগঠন সেহেতু্ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সোসাইটি এ্যাক্ট ১৮৬০ -এর নিয়ম অনুযায়ি এই সংস্থাটি পরিচালিত হবার কথা, এই সংস্থার সকল সদস্যদের সদস্য ফি, অনুদান ও সরকারি, আধা সরকারি অনুদান, বিদেশি দাতাসংস্থার অনুদান এবং সমাজের বিত্তবান সুহৃদ ব্যাক্তিদের অনুদানের দ্বারা। কিন্তু এই সংস্থাটি বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে মহান সৃষ্টিকর্তার অসীম অনুগ্রহে অত্র সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল ইসলাম খান ইউসুফজাই এর ব্যাক্তিগত প্রচেষ্টা ও সুহৃদ সদস্যবৃন্দের আন্তরিক সহযোগীতার মাধ্যমে। আলহামদু লিল্লাহ্ ।
কারা সংস্থার সদস্যপদ লাভ করতে পারবে?
--------------------------------------------------
রাজনৈতিক মতাদর্শের ও শ্রেনী, বর্ন, ধর্মের বিভেদ ভুলে এবং ‘মানুষ মানুষের জন্য’ এই সত্যকে সামনে রেখে যেকোন সুহৃদ নারী/পুরুষ এই সংস্থার সদস্যপদ লাভ করতে পারবে। সংস্থার প্রেসিডেন্ট ও মহাসচিব এর লিখিত অনুমতিক্রমে বাংলাদেশে যেকোন জেলায়,উপজেলায় ইউনিয়নে শাখা অফিস গঠন করা যাবে । প্রতি শাখা অফিসে কমপক্ষে একজন সেচ্ছাসেবক আইনজিবী, একজন সমন্বয়কারী, একজন পূরুষ সদস্য একজন মহিলা সদস্য থাকতে হবে।
সংস্থার সবাইকে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সোসাইটি এ্যাক্ট ১৮৬০- এর বিধিমালা মেনে চলতে হবে।
পরিশেষে সবাইকে আহবান জানাই, আসুন মানুষ ও মানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেই। মানুষ জন্মের সার্থকতা অর্জন করি। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় ।