জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ বিল অব রাইটস্ এর আদর্শের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত ” ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটর্স ডিফেন্ডারস্ এন্ড প্রেস সোসাইটি ” বিদেশি সাহায্য বা অনুদান ছাড়াই মানবাধিকার শিক্ষা,আইনী পরামর্শ, আইনী সহায়তা দান, প্রেস কনফারেন্স, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহন , মানবাধিকারতথ্যানুসন্ধান,মানবাধিকার গবেষনা, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নেট ওয়াকিং, লবিং, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংবাদ প্রচার, মানবাধিকার কর্মীদের প্রশিক্ষন এবং গন সচেতনতা সৃষ্টি , সালিশির মাধ্যমে পারিবারিক সমস্যার সমাধান , দুর্যোগকালীন সময়ে দুর্গতদের সহায়তাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত যে কোন বিষয়ের উপর সমগ্র বাংলাদেশে স্বেচ্ছায় কাজ করে যাচ্ছে ।
এছাড়াও
” ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটর্স ডিফেন্ডারস্ এন্ড প্রেস সোসাইটি ”
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যশনাল, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস্ কমিশনের এর জরুরী আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করে এবং সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের
নিকট আইনগত ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য জরুরী আপীল পত্র প্রেরন করে ।
” ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটর্স ডিফেন্ডারস্ এন্ড প্রেস সোসাইটি ”
এশিয়ার অপরাপর মানবাধিকার সংগঠন গুলোর সংঙ্গেও সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলে।
অত্র সংস্থা ৯ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদ, ২৩ সদস্য বিশিষ্ট সাধারন পরিষদ এবং ৩ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয় পরিষদ এর সার্বিক সহযোগিতায় সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে ।
লক্ষ্য :
১। দেশের অন্যায়-অবিচার, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরা এবং কারন নির্ণয় করা ;
২। সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি, স্থানীয় ও পারিবারিক দ্বন্দ্বের
শান্তিপূর্ণ সমাধান, আদালতের বাইরে সমাধান খুঁজে পেতে আইনগত পরামর্শ প্রদান এবং মানবাধিকার নেটওয়ার্ক ও আইন সংস্থার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের আইনগত সহয়তা প্রদান ;
৩। অন্যায়-অবিচার ঘটলে কিংবা বিচার না পাওয়ার আশংকা দেখা দিলে আইনগতভাবে তার প্রতিবাদ করা ;
৪। অত্যাচার ও অবিচার থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় উপায় বলে দেয়া ;
উদ্দেশ্য:
” ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটর্স ডিফেন্ডারস্ এন্ড প্রেস সোসাইটি ”র
মুল লক্ষ্য হলো দরিদ্র ও ক্ষমতাহীন শ্রেনীর জন্য শান্তি , ন্যায়বিচার ও জাতিসংঘ
ঘোষিত মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা । এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে অত্র সংস্থা নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যে কাজ করে থাকে ।
১। ব্যাপক প্রকাশনা, সেমিনার, শিক্ষার্থী, তৃনমুল পর্যায়ে নেতা ও এনজিও কর্মী, বাবা-মা, শিক্ষক ও মহিলাদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে মানবাধিকার বিষয়কে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় করে তোলা ;
২। নারী ও শিশু নির্যাতন, মিথ্যা হয়রানী মুলক মামলা, জাল-জালিয়াতের মাধ্যমে জমি-জমা অবৈধ দখল সহ বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আইনগত সহায়তা প্রদান করা ;
৩। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো সম্পর্কে তথ্যনুসন্ধান করা, ঘটনা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আইনগত ত্রুটি চিন্হিত করে সেগুলো চিঠি, প্রকাশনা ও পত্রিকার মাধ্যমে তুলে ধরা ;
৪। ক্ষতিগ্রস্তরা যখন ন্যায্য বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় তখন তাদের সমর্থন ও সংশ্লিষ্ট সরকারের উপর বলপ্রয়োগ করার জন্য অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যশনাল, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস্ কমিশন সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাকে জরুরি ভিত্তিতে অবহিত করা ;
৫। মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত ও সংখ্যালঘু জনসমষ্টির মানবাধিকার সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন এনজিও, মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থার সংঙ্গে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা ;
৬। আর্থ-সামাজিকভাবে অসুবিধাগ্রস্ত শ্রেনীর মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পেতে সক্ষম হয় সেই জন্য জনস্বার্থমুলক মামলা পরিচালনা করা ;
৭। তথ্যানুসন্ধানের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা জনসমক্ষে তুলে ধরা এবং লঙ্ঘনকারীকে বিচারের সম্মুখীন করা ;
সর্বপরি ১৯৪৮ সনে জাতিসংঘের ”সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষনাপত্র” এবং অন্যান্য যেসব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদন্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেগুলোকে স্বাধীন এবং নিরপেক্ষভাবে মর্যাদা দেয়াই ” ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটর্স ডিফেন্ডারস্ এন্ড প্রেস সোসাইটি ”র মুল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ।