আমরা প্রায়ই হলিউডি বা বলিউডি বিভিন্ন সিনেমার কোন দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হই। কিন্তু সে জাতীয় দৃশ্য সৃষ্টি করতে পারি না। এবং এই বলে আফসোস করি যে ওদের হাই টেকনোলজি আছে তো তাই তারা এসব পারে। বিষয়টা কিন্তু আসলে তা নয়। আপনি যে সব হাই টেকনোলজির দোহাই দিচ্ছেন সেসব টেকনোলজি আবিস্কার হওয়ার আগেও তারা সাধারণ লাইট, ক্যামেরা আর এডিট প্যানেল দিয়েও একই রকম আর্কষনীয় দৃশ্য সৃষ্টি করতে পারত।
আবার অনেককেই বলতে শুনি কাহিনীটা আরেকটু ভাল হলে আরো দর্শক পাওয়া যেত। ভাই, কাহিনিতে আর কত নুতনত্ব আনবেন। জন্ম, মৃত্যু আর ভালবাসা এর মাঝেই তো মানব জাতির কাহিনী ঘুরপাক খাবে। সেই কাহিনীকে আপনি কখনও স্পেসশীপে চড়িয়ে ভবিষ্যতে মহাকাশে নিয়ে যাবেন আবার কখনওবা অতীতের কোন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে। কিন্তু মূল কাহিনি তো মানুষকে নিয়েই। আর মানুষের সব কিছু জন্ম মৃত্যু আর ভালবাসাতেই সীমাবদ্ধ।
আমি ভাল কাহিনীর প্রয়জনীয়তাকে অস্বীকার করছি না। কিন্তু মনে রাখতে হবে সিনেমা একটি সমস্টিগত শিল্প। শুধু ভাল কাহিনী দিয়ে পুরো একটা সিনেমাকে টেনে নিয়ে যাওয়া যায় না। সেখানে ভাল অভিনয়, ক্যামেরা ওয়ার্ক, এডিটিংসহ সব কিছুই যদি এক সুরে গাঁথা না যায় তবে আপনার খুবই ভাল কাহিনীর সিনেমাও ভাল কোন দর্শক প্রতিক্রিয়া অর্জন করতে ব্যর্থ হবে।
আরেকটা কথা মনে রাখা জরুরী, মঞ্চ নাটকের কাহিনীকে ফুটিয়ে তোলার গুরু দ্বায়িত্বটি অভিনয় শিল্পীর উপরে হলেও চলচ্চিত্রে বিষয়টা সম্পূর্ণ ভিন্ন। লাইট, কালার আর ক্যামেরা কম্পজিশন এবং পরবর্তিতে সুচারু এডিটিংই এখানে আসল খেলাটা খেলে। চলচ্চিত্রে অনেক বড় বড় অভিনেতাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া যায় আবার যদু মধু কদুকেও এখানে শক্তিশালী অভিনেতা বানিয়ে দেয়া যায়।
আজকে আমি কিভাবে একটি দৃশ্যে কাহিনীর সংগে সংগতিপূর্ণ আবেশ সৃষ্টি করা যায় তার কিছু টিপস দেব। বলে রাখা ভাল, এই লেখাটিতে লাইট ও কালার সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয় আছে যা বোঝার জন্যে টিপস ৪ ও ১১ পড়া জরুরী।
১. Mood and Misty (রহস্য বা অস্পষ্টতা)-
ধরেন আপনার নায়ক আদতেই ভাল মানুষ নাকি ধূর্ত কোন প্রতারক তাই নিয়ে নায়িকার মাঝে একটা রহস্যর বা অস্পষ্টতার সৃষ্টি হয়েছে। রাতের বেলা নায়ক কাজ শেষে ঘরে প্রবেশ করছে, নায়িকা কিছুটা আতংকিত। এই রকম পরিস্থতিতে নায়িকার পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে যদি দেখানো যায় নায়ক যেখানে দাঁড়িয়ে সেখানে কিছুটা আলো আধাঁরী রয়েছে। অর্থাৎ নায়কের চেহারার এক পাশে আলো, অন্য পাশে অন্ধকার। এখানে আলোছায়ার অনুপাতটা হবে- আলোঃছায়া=১ঃ২। সেই সাথে আলোর অংশটুকু বেশী আলো, ছায়াটা বেশী ছায়া, মানে হাই কন্ট্রাস্ট ব্যবহার করা হয়। এবং লাইটটা যদি হার্ড লাইট হয়, তাহলে দর্শকের মাঝেও কি নায়কের রহস্যময়তা ও নায়িকার মনের দ্বন্দ্ব সংক্রমিত হবে না?
চেহারার এক পাশে আলো আর অন্য পাশে অন্ধকারকে লাইটিংএর ভাষায় হাফ টোন লাইটিং বলে। একটু ভাবেন, এই পরিস্থতিতে সারা ঘর জুড়ে আলোর বন্যার মধ্যে নায়ক নায়িকা যতই ভাল অভিনয় করুক না কেন আপনি কি আপনার কাংক্ষিত আবেশটা সৃষ্টি করতে পারবেন, নাকি মাঝ থেকে অভিনয় শিল্পীদের উপরে বিষয়টা অত্যাচার হয়ে যাবে। আর কোন যুক্তিতে ঘরের ভেতর আলো আধাঁরী পরিবেশ সৃষ্টি করবেন, আশা করি লোড শেডিংয়ের এই দেশে এই প্রশ্নটা করবেন না।
২. Gloomy Mood (বিষাদ/বিষন্ন মুহূর্ত)-
ধরা যাক, সিচুয়েশনটা এমন, নায়কের বাবা মারা গেছে। শোকে দুঃখে সে একা একটা ঘরে নিজেকে আবদ্ধ করে রেখেছে। কারো সাথে দেখা করছে না। শেষে নায়িকা এল, নায়ক নায়িকাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলল। অর্থাৎ পুরোপুরি দুঃখের আবহ। এখানে লাইটের কন্ট্রাস্ট বেশী দিলে ফল পাবেন। অর্থাৎ আলো ছায়ার পার্থক্যটুকু স্পষ্ট হবে। তাতে করে ফ্রেমে আলো আঁধারী একটা ভাব আসবে। যা এই পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে যাবে। আর কন্ট্রাস্ট বেশী করতে হলে হার্ড লাইটের ব্যবহার বেশী যুক্তিসংগত। সেই সাথে ডাল (নিষ্প্রভ/একঘেয়ে/ফ্যাকাশে) কালার ব্যবহার করতে হবে। কারণ ডাল বা অনুজ্জ্বল রং মনের মাঝে বিষন্নতা সৃষ্টি করে।
তবে শুধু নায়কের জামা কাপড়ের রং ডাল হলেই চলবে না। ঘরের রং, জানালার পর্দার রং সবই ডাল কালার হতে হবে। এমন কি নায়িকার পোষাকের রংও ডাল হতে হবে। আল্লাহর দোহাই লাগে নায়িকাকে গ্লামারাস দেখানোর জন্যে তাকে ঝকমকে পোষাক পরাবেন না। এই পরিস্থিতিতে গ্লামারটা মূল ব্যাপার নয়। আপনাকে বুঝতে হবে এখানে নায়িকা বা নায়ক মূল ব্যাপার নয়। সিনেমাটা মূল ব্যপার। আর আপানার নায়িকা যদি তার গ্লামার নিয়ে অতিরিক্ত সচেতন হয় তবে নাহয় তার জন্যে আলাদা করে একটা আইটেম সংয়ের ব্যবস্থা করে দেবেন। সেখানে সে তার গ্লামার, সেক্স, যৌবন যা কিছু আছে সব প্রকাশ করবে। কিন্তু এই সিনে নয়।
৩.Happy Mood (আনন্দ ঘন মুহূর্ত)-
ধরেন, নায়িকার বার্থ ডে পাটি, অর্থাৎ আনন্দ ঘন মুহূর্ত। সাভাবিক ভাবেই এখানে লাইট উজ্জ্বল হবে। এক্ষেত্রে হার্ড লাইট এড়িয়ে যাওয়া ভাল। পুরো দৃশ্যে ওয়ার্ম কালার ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ ঘরের রং, জামা কাপড়ের রং সবই ওর্য়াম কালার হতে হবে। অনেকেই মনে করেন যেহেতু আনন্দের দৃশ্য তাই কড়া রং ব্যবহার করা উচিৎ। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে রং যত গাঢ় হবে তার বৈশিষ্ট তত কুল হবে। কুল রং শান্ত ভাব, উত্তেজনাহীনতা, আবেগহীনতা, অনাগ্রহ, নিরুত্তাপ, গতিহীনতা ইত্যাদি ভাব প্রকাশ করে। অপর দিকে ওয়ার্ম কালার আবেগ, আগ্রহ, গতি, আন্তরিকতা, আনন্দ, সহানুভুতি ইত্যাদি প্রকাশ করে। এখন আপনিই সিদ্ধান্ত নেন আপনার বার্ডডে পার্টির দৃশ্যটি গতিশীল করবেন নাকি গতিহীন করবেন।
৪.Calm and Serene Mood (শান্ত ও স্থিব ভাব)-
ধরা যাক, চৈত্রের দুপুর, রাস্তা ঘাটে লোকজন কম। শহরের চার দিকে শান্ত একটা ভাব বিরাজ করছে। রাস্তার পাশের কোন চায়ের দোকানের ছায়ায় একটা কুকুর কুন্ডুলী পাকিয়ে ঘুমাচ্ছে। রিকশাওয়ালারাও তাদের হুডের ভিতরে আয়েশী ভাবে হেলান দিয়ে ঝিমাচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে নায়ক কাঁধে একটা ব্যাগ নিয়ে হেঁটে হেঁটে শহরে প্রবেশ করছে। সিনেমায় নায়কের প্রথম দৃশ্য এটা। যাকে ফ্লিমী ভাষায় ফার্স্ট এন্ট্রি বলে। এক্ষেত্রে কালার ভ্যলুর গ্রে টোনটা ব্যবহার করতে হবে। বাকিটা আপনার কাহিনি বা চরিত্রের প্রয়োজন মাফিক।
“গ্রে টোন” বিষয়টি একটু ব্যাখা করা দরকার। কালো রংকে যদি হালকা করতে থাকেন তবে প্রথমে তা ছাই (৫০% কালো বা ৫০% সাদা) হবে তারপর এক সময় ধীরে ধীরে সাদা হয়ে যাবে। সব রংএর ক্ষেত্রেই এটা সত্য। ধরেন, লাল রংকে আপনি যদি হালকা করতে থাকেন তবে এক সময় তা ৫০% লালে পরিনত হবে তারপর ধীরে ধীরে এক সময় সাদা হয়ে যাবে। এই ৫০% লাল বা নীল বা হলুদকে আমরা গ্রে (ছাই) টোন বলছি। অর্থাৎ এখানে প্রত্যেকটা রংই কিছুটা ফ্যাকাশে হবে। তার মানে এই নয় যে দাঁড়ি পাল্লা দিয়ে মেপে মেপে ৫০% টোনটা ব্যবহার করবেন। কাহিনি ও চরিত্রের প্রয়োজন মাফিক আপনি রংকে ৬০% থেকে ৪০% টোনে বা তার চেয়েও কম বেশী করতেই পারেন। তবে কখনওই ১০০% টোন থাকবে না।
কাম এন্ড সেরেন মুড যে শুধু আউডডোরের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য তা কিন্তু নয়। ধরেন, আপনার বৃদ্ধ বাবা ইজি চেয়ারে শুয়ে ঘুমিয়ে গেছে। মাথার উপরে ফ্যান ঘুরছে। জানালার পর্দা সামান্য উঠছে। আপনার বাবার চেহারায় একটা পরিতৃপ্তির ছাপ। আপনার ছোটে ছেলেটা স্কুল থেকে ফিরেই তার দাদুর সাথে গল্প করার জন্যে দৌড়ে ঘরে ঢুকল। কিন্তু আপনি নিচু স্বরে ছেলেকে বোঝালেন। তোমার দাদু তো এখন ঘুমাচ্ছে। তুমি জামাকাপড় পাল্টে খেয়ে নাও। তার পরে দাদুর সাথে গল্প করো। এই দৃশ্যের মাঝে যে শান্ত সমাহিত ভাবটুকু প্রয়োজন তা ফুটিয়ে তুলতে গেলেও আপনাকে কালার ভ্যলুর গ্রে টোনটা ব্যবহার করতে হবে।
৫.Dramatic Affect (নাটকীয় মুহূর্ত)-
ঘটনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে লাইটের কন্ট্রাস্টের অনুপাত বাড়াতে হবে। বর্ধিত অনুপাতটি হবে- আলোঃছায়া=১ঃ৩। লাইটের উৎস বদলাতে হবে। মূল কালারের সাথে সম্পূরক কালার ব্যবহার করতে হবে। ফিল্মে মূল কালার হচ্ছে রেড, গ্রিন, ব্লু (RGB)। এদের সম্পূরক কালার হচ্ছে যথাক্রমে হলুদ, সাইয়ান, ম্যাজেন্টা। মূল কালারের পাশে সম্পূরক কালার রাখলে ডেপথ অফ পাসপেক্টিভ বাড়ে। সংক্ষেপে, ডেপথ অফ পাসপেক্টিভ মানে হল একটি বস্তু সাপেক্ষে আরেক বস্তুর অবস্থানগত দূরত্ব। যে দৃশ্যে নাটকীয় মুহূর্ত সৃষ্টি করতে চান সেই দৃশ্যের কোথায় কি রং ব্যবহার করবেন সেটা আগে থেকেই হিসাব করে নিতে হবে।
দৃশ্যটা এমন হতে পারে, নায়ক নায়িকা কথা বলছে এমন সময় কারেন্ট চলে গেল। কিন্তু ঘর পুরো অন্ধকার নয়। ঘরে জানালা দিয়ে আসা আলো রয়েছে। অর্থাৎ আলো ছায়ার কন্ট্রাস্ট বাড়ল, সেই সাথে আলোর উৎস পাল্টে গেল। অথবা ধরেন, নায়ক রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ তার উপরে একটা ছায়া এসে পড়ল (কন্ট্রাস্ট বাড়ল)। কিসের ছায়া বোঝার জন্যে নায়ক দ্রুত উপরের দিকে তাকালো। এতক্ষণ আলো ফ্রেমের উপর দিক থেকে আসছিল। নায়ক উপরে তাকানোর সময় তার ও/এস (ওভার দা শোল্ডার শট) দেখাতে গিয়ে এখন সূর্য সোজা ক্যামেরার দিকে। অর্থাৎ আলোর উৎস পাল্টে গেল।
৬.Poetic Atmosphere (কাব্যিক পরিবেশ)-
নায়কের সাথে নায়িকার ঝগড়া চলছে অনেকদিন ধরে। আজ কোন কারণে কথায় কথায় সেই ঝগড়া বা অভিমানের বরফ একটু একটু করে গলছে। এই রকম মুহূর্তে যদি র্দশকের চোখে ধরা পড়ে না এতটা ধীরে লাইটের কন্ট্রাস্ট কমানো হতে থাকে অর্থাৎ আলোআঁধারী ভাবের পরিমান কমতে থাকে, সেই সাথে পোষাক ও সেটে যদি ওয়ার্ম কালারের শেডগুলো ব্যবহার করা হয়, ভেবে দেখেন তো নায়ক নায়িকার মনের যে অনুভুতি তা কি র্দশকদেরও ছুঁয়ে যাবে না? অতি ধীরে আলো বাড়িয়ে বা কমিয়ে দৃশ্যের মাঝে যে কাব্যিকতা আনা হয় তাকেই পোয়েটিক এটমোসফিয়ার সৃষ্টি করা বলে। তবে শুধু লাইট আর রং দিয়েই দৃশ্যে কাব্যিকতা আনা যায় না। তার জন্যে ঘটনা প্রবাহ ও সংলাপের মাঝেও কাব্যিকতা থাকতে হয়।
৭.Grace (সহজ/সাবলীলতা)-
যদি কাউকে গ্রেসফুল বা সহজ সাবলীল দেখাতে হয় তবে লাইট কন্ট্রাস্ট কম রাখতে হবে। সফ্ট লাইট ব্যবহার করতে হবে। ডিফিউজড কালার ব্যবহার করতে হবে। ডিফিউজড মানে কুল কালারের হালকা টোন বা ওয়ার্ম কালারের ফ্যাকাশে টোন। একজন মানুষকে তখনই সাবলীল দেখায় যখন তার মাঝে একটা শান্ত, ধীর স্থির ভাব থাকে। অস্থির লোকেদের সাধারণতঃ সাবলীল দেখায় না। একারণেই ডিফিউজড কালারের ব্যবহার।
৮.Dignity (মর্যাদা)-
যদি কাউকে মর্যাদাপূর্ণ দেখাতে হয় তবে লাইট কন্ট্রাস্ট কম রাখতে হবে। সফ্ট লাইট ব্যবহার করতে হবে। ওয়ার্ম কালার ব্যবহার করতে হবে। সেই সাথে ব্যক্তিটির আশে পাশে কোন ভার্টিকাল (খাড়া) রেখার ব্যবহার থাকতে হবে। কারণ, ভার্টিকাল বা খাড়া রেখা চরিত্রের মাঝে বলিষ্ঠতা আনে।
ধরা যাক, জমিদার সাহেব বিকেলে ঘুরতে বেরিয়ে তার প্রজাদের আর্জি শুনছে। এখানে সিল্কের পোষাক পরা জমিদারকে যদি কোন সোজা গাছের পাশে দাঁড় করান, আর কুল কালারের সুতি পোষাকের প্রজাদের পিছনে যদি ঝোপ-ঝাড় বা ফাঁকা মাঠ বা দেয়াল বা পুকুর জাতীয় কিছু থাকে তবে বিকেলের সফ্ট আলোতে জমিদারকে সেই দৃশ্যে প্রজাদের চেয়ে অনেক মর্যাদাবান মনে হবে। অথবা এমডি সাহেবের অফিসের ডেকোরেশনটা এমন যে তার পিছনে বেশ কিছু ভার্টিকাল লাইন ও ওয়ার্ম কালারের ব্যবহার আছে। সেই সাথে বসের পোষাকটাও যদি ওয়ার্ম হয়। তবে এনার্জি সেভিং বাল্বের সফ্ট আলোতে যে কোন কর্মচারীর চেয়ে এমডিকে মর্যাদাবান মনে হবে।
আশা করি, উপরের টিপসগুলো আপনাদের চলচ্চিত্রকে দর্শকদের কাছে প্রাণবন্ত ও আর্কষনীয় করে তুলতে সাহায্য করবে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:০৪