* ড. মরিস বুকাইলি কর্তৃক ছায়া সম্পর্কে প্রদত্ত ব্যাখ্যা নিম্নরূপঃ
"আল্লহর সৃষ্ট প্রতিটি জিনিসই তাদের ছায়াসহ তাঁর নিকটে বিনীত হয়ে রয়েছে- এই আয়াতে সেকথা বলার সাথে সাথে এও বলা হয়েছে যে, আল্লহ ইচ্ছা করলে তাঁর ক্ষমতার এই প্রকাশকে ফিরিয়ে নিতে পারেন। তদুপরি এই আয়াতে সূর্যের সাথে ছায়ার সম্পর্কও তুলে ধরা হয়েছে। এই পর্যায়ে একটা কথা অবশ্যই মনে রাখা দরকার। আর তা হলো, মোহাম্মদ (সঃ) এর আমলে বিশ্বাস করা হত যে, সূর্যের পূর্ব থেকে পশ্চিমে চলাচলের দ্বারাই ছায়ার নড়াচড়া নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। সেই নীতির নিমিত্তেই সেকালে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময় গণনার জন্য 'সান-ডায়াল' (সূর্যঘড়ি) চালু হয়েছিল। এখানে দেখা যাচ্ছে, কোরআন ছায়ার নড়াচড়ার কথা বলছে ঠিকই; কিন্তু অবতীর্ণ হওয়ার কালে এ সম্পর্কে সাধারণ্যে যে ধারণা প্রচলিত সে কম্পর্কে কিছুই বলছে না। এক্ষেত্রে কোরআনে যদি প্রচলিত সেই ধারণাকে তুলে ধরা হতো, তাহলে মোহাম্মদ (সঃ) পরবর্তী কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত সে ধারণাকে মানুষ সহজেই বিশ্বাসযোগ্য বলে মেনে নিতে পারত। কিন্তু পরিশেষে তা ভুল বলেও পরিগণিত হতো এবং সে ভুল চিহ্নিত করতেও মানুষ দেরি করত না। কিন্তু কোরআন সূর্যের উদয়-অস্ত সংক্রান্ত সে যুগের সেই প্রচলিত ধারণা সম্পর্কে কিছুই বলেনি। বরং ছায়ার প্রশ্নে সূর্যের ভূমিকা সম্পর্কে শুধু এইটুকু বলেছে যে, সূর্য হচ্ছে ছায়ার ইন্ডিকেটর বা নির্দেশক মাত্র। সুতরাং এটা খুবই স্পষ্ট যে, আধুনিককালে ছায়ার গতি সম্পর্কে আমরা যা জানতে পারছি, আর কোরআনে ছায়া সম্পর্কে যে বর্ণনা রয়েছে- এই দুইয়ের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই।"
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




