
আজ বলা হচ্ছে বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু যেহেতু মুসলিম তাই দেশের রাস্ট্র ধর্ম ইসলাম হওয়ায় স্বাভাবিক ও বাঞ্চনীয়। এর পক্ষে হরেক রকম যুক্তিও পেশ করা হচ্ছে গত কয়েকদিন ধরে। পুরো ব্যাপারটাই এমন ভাবে দেখানো হচ্ছে যেনো বাংলাদেশে রাস্ট্রধর্ম ইসলাম প্রতিস্টা করার জন্যই আমরা দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করেছি। ত্রিশ লক্ষ শহিদ এবং তিন লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম যেনো এই ইসলামের জন্যই। আসলেই কি তাই?? বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই বাংলাদেশ কি শুধু একটি বিশেষ ধর্মের জন্য বরাদ্দ ছিলো??? যদি তাই হয় তাহলে মুক্তিযোদ্ধাদের স্লোগান-
আমি হিন্দু
আমি মুসলিম
আমি বৌদ্ধ
আমি বাঙ্গালি
কেনো ছিলো????? আজ যারা রাস্ট্রধর্ম ইসলাম চাইছে, দাবি পুরনের পর তারা রাস্ট্রধর্ম অনুসারে রাস্ট্র পরিচালনার দাবি তুলবে না তার কি নিশ্চয়তা আছে?? আর রদি তাই হয়, তাহলে কোরান খুলে একে একে গনতন্ত্র হারাম, নারি নেতৃত্ব হারাম....... (হারামের লিস্ট সুদীর্ঘ) এছারা সংখ্যালঘু নির্যাতনের মাধ্যমে দেশে শরিয়া চালু করে দেশকে ইরাক সিরিয়া বানিয়ে ফেলাটা তখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা ছারা কিছুই নয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধর্মের ভিত্তিতে দেশ গঠনের অর্থ দেশের উন্নয়ন ও সার্বিক অগ্রগতির পায়ে শিকল পরিয়ে দেশের ভবিষ্যৎকে অন্ধকার কুটুরিতে ঠেলে দেওয়ার মতন। এছারা সমাজে তৈরি হবে বৈষম্য।উদাহরন হিসেবে ইরাক সিরিয়া বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপুর্ন হলেও আজ সেই সকল দেশে সুধুই হাহাকার আর হাহাকার।আর এ সবেরই কারন ধর্ম তা আমাদের অজানা নয়। অপরদিকে ধর্মনিরুপেক্ষ দেশ গুলি এগিয়ে যাচ্ছে মাথা উঁচে করে। আমাদের পাশের দেশ ভারত মঙ্গলে পৌছে গেলো,আজ ভারত পরমানু শক্তি পেয়েছে ডক্টর এ পি জে আব্দুল কালামের জন্যে। আর আব্দুল কালামদের মেধাকে সর্ব স্থরে ছরাতে সাহায্য করেছে ভারতের ধর্মনিরুপেক্ষতা। রাস্ট্র বিষয়ে আজ ধর্মের কোনো গুরুত্বই নেই বরং তা ক্ষতিকর তা জেনেএ আমরা চরম নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়ে শুধুই ছুটে চলেছি ধর্মের পিছনে যেনো ধর্ম ছারা সবই মাটি।অকারন ধর্ম নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত লম্ফঝম্ফ করে আমরা নিজেদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কি অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছি না??? প্রশ্ন রইলো আপনার বিবেকের কাছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



