১. Click This Link
২. Click This Link
৩. Click This Link
৪. Click This Link
৫. Click This Link
৬. Click This Link
মুক্তিযুদ্ধ একটা স্পর্শকাতর জায়গা। একবার হাত ফস্কালেই কপালে দুর্দশা নিশ্চিত। মুক্তিযুদ্ধে নিজের মতামত আর আবেগের কোন স্থান নেই জানি। কিন্তু অতিরিক্ত ভণ্ডামি দেখলে গা জ্বলে যায়। মুক্তিযুদ্ধ মহান, মুক্তিযুদ্ধ অহংকারের বিষয়। সকল দল, মত, ধর্ম, গোষ্ঠীর জন্যই মুক্তিযুদ্ধ মহান। কিন্তু না, মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার অর্ধশত বৎসর পার হওয়ার পরেও ইতিহাস তৈরি হচ্ছে।
পৃথিবীর যে কোন দেশ নিজ দেশের উন্নয়নের প্রতি মনোযোগ না দিয়ে পঞ্চাশ বছর আগের একটা বিষয় নিয়ে পড়ে থাকলে কোন জাতিই নিজেকে উন্নত করতে পারবে না। বেকারত্ব, দারিদ্র্যতা, অশিক্ষা, কুসংস্কার, হিংসা, অপরাজনীতি, দুর্নীতি, সন্ত্রাসী, গুম, খুন, ধর্ষণ, জবরদখল সে দেশের অভ্যাসে পরিণত হবে। এসব একটা রাষ্ট্রের পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ, এসব ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়াটা স্বাভাবিক। পাশাপাশি রাষ্ট্রের নিরাপত্তারক্ষীও অপরাজনীতির কবলে পড়ে দেশের রাজনীতিতে আকৃষ্ট হয়ে বিরোধীমতের গলা চেপে ধরতে হাত বাড়িয়ে দেয়। গণতন্ত্রকে ভূমিসাৎ করার আগ পর্যন্ত তারা থামে না।
পৃথিবীর অনেক দেশ আছে, হাজার বছর ব্যাপী যুদ্ধের পরেও তারা অতীতকে অতীতের যায়গায় রেখে এখন বিশ্বশাসন করছে। আর বাংলাদেশ?
মাত্র নয়মাসের যুদ্ধের ঢেকুর পঞ্চাশ বছরেও ভুলতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধকালীন নৃশংসতা অস্বীকার করছিনা আমি। শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি তাদের, যারা দেশের স্বার্থে (ব্যক্তিস্বার্থ কিংবা দলের স্বার্থে নয়) নিজেদের জীবন অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছিলেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা।
কিন্তু তারা কি ভাবছে এখন? তাদের ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া রাষ্ট্রে আমরা নিজেদেরকে অতিরিক্ত চেতনাবাদী আর দেশপ্রেমিক বানাতে গিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল এমন অপরাধ করে নিজের দেশের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছি। ক্ষমা করো বীর শহীদেরা, পারিনি সোনার বাংলা উপহার দিতে।
৭১ যা হয়েছে তা অতীত, এসব কি ইতিহাসের জায়গায় রাখা যায় না? শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা যায়না? অতিরিক্ত শ্রদ্ধা দেখাতে গিয়ে এসব নিয়ে রাজনীতি কেন করতে হবে?
দেখা যায়, বিএনপি তাদের মত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তৈরি করে। আওয়ামীলীগ আওয়ামীলীগের মত ইতিহাস তৈরি করে। যখন যে দলের সরকার ক্ষমতায় থাকে তখন সরকারদলের সবাই মুক্তিযোদ্ধা আর বিরোধীদলের মুক্তিযোদ্ধাও তখন রাজাকার হয়ে যায়। এসব ভণ্ডামি কেন? বঙ্গবন্ধু কি যুদ্ধাপরাধী আর রাজাকারদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেননি?
এখন আবার রাজাকারের লিষ্ট বানাতে গিয়ে আওয়ামীলীগ নিজেদেরকে হাস্যকর একটা দলে রূপান্তর করেছে। মুক্তিযোদ্ধাকেও তারা রাজাকার বানিয়ে লিষ্ট প্রকাশ করেছে। জানি এটা ইতিহাসের একটা অংশ। কিন্তু তাই বলে স্বচ্ছতা থাকবে না? এরকম একটা স্পর্শকাতর বিষয় চূড়ান্তভাবে প্রকাশের আগে হাজারবার যাচাইয়ের প্রয়োজন ছিলো। একজন মানুষকে নিয়ে ভুল কিছু প্রকাশ করলে তার জন্য এটা হবে লজ্জার। এমনকি লজ্জায় সে আত্মহননের পথও বেছে নিতে পারে। তখন এর দায় কে নিবে?
কিন্তু রাজাকারের লিষ্টে যখন ভুল করে ফেলেছে বা দুর্নীতি করে ফেলেছে সাথে সাথে অস্বীকার করে বসেছে। ( Click This Link ) এসব কি ঠিক হলো?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৬