ভার্চুয়াল সাইক্লিং

হাজার কিলোমিটার দূরে নিজ দেশে থেকেই লণ্ডনের সাইক্লিং কোর্সে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান সাইক্লিস্টরা। কিভাবে সম্ভব? সহজ উত্তর ‘ভার্চুয়াল রিয়ালিটি’। প্রশিক্ষণের সময় অস্ট্রেলিয়ান সাইক্লিস্টদের চোখ থাকে একটি বিশেষ স্ক্রিনে। দেখতে ভিডিও গেইম মনে হলেও লন্ডন অলিম্পিকের সাইক্লিং কোর্সের সঙ্গে হুবহু মিল রেখেই তৈরি হয়েছে ভার্চুয়াল সাইক্লিং কোর্সটি।

নাসার ট্রেডমিল

অস্ট্রেলিয়ান সাইক্লিস্টরা যখন ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণে ব্যস্ত, তখন মার্কিন অ্যাথলেট শ্যানন রবেরি প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন প্রায় ভরশূন্য একটি ট্রেডমিলে। নাসার অ্যান্টি গ্র্যাভিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি অল্টারজি ট্রেডমিলটির বিশেষত্ব হচ্ছে এটিতে দৌড়ানোর সময় নিজের ওজনের কেবল ২০ ভাগই অনুভব করতে পারেন অ্যাথলেটরা। শ্যানন রবেরি জানান, ইনজুরির থেকে সেরে ওঠার পর তাকে আরো দ্রুত দৌড়াতে সহযোগিতা করেছে অল্টারজি ট্রেডমিল।

হাই-টেক সুইমসুট নিষিদ্ধ

২০০৮ সালের অলিম্পিকের সবচেয়ে বিতর্কিত প্রযুক্তিগুলোর একটি ছিলো হাই-টেক স্পিড সুইম স্যুট ‘এলজেডআর রেসার’। পুলে অ্যাথলেটদের রেকর্ড ভাঙ্গা পারফরমেন্সের মূল কারণ হিসেবে অনেকেই আঙ্গুল তুলেছিলেন ওই উচ্চ প্রযুক্তির সুইমসুটগুলোর দিকে। তবে এবারের লন্ডন অলিম্পিকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে ওই সুটগুলো। কিন্তু বেইজিং অলিম্পিকে ৮টি স্বর্ণপদক জেতা মাইকেল ফেলপসের এ বিষয়ে নাকি কোনো মাথাব্যথাই নেই! প্রযুক্তিগত সুবিধা থাকুক আর নাই থাকুক, লন্ডন অলিম্পিকের পুলে আবার রেকর্ড ভাঙ্গতেই নামবেন বলে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন ফেলপস।

ইলেকট্রনিক ব্লক

সুইমিং পুল, রেসিং ট্র্যাক এবং ফিল্ড ইভেন্টগুলোতে সময়ের নির্ভুল হিসেব রাখতে নতুন ইলেকট্রনিক স্টার্টিং ব্লক নিয়ে এসছে লন্ডন অলিম্পিকের অফিশিয়াল টাইম কিপার ‘ওমেগা’। প্রথমবারের মতো পুরোপুরি বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রিত হবে রেস ট্র্যাকের স্টার্টিং ব্লক। এর আগে রেস ট্র্যাকের স্টার্টিং ব্লকে ব্যবহার করা হতো চার দশকের পুরনো ১৯৭০ সালের প্রযুক্তি, যাতে দৌড় শুরু নিশ্চিত করতে স্টার্টিং ব্লকে ৫ মিলিমিটার চাপ দিতে হতো দৌড়বিদদের। নতুন প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক ব্লকের বদৌলতে এমনটা আর করতে হবে না তাদের। আর সুইমিং পুলের ইলেকট্রনিক ব্লকগুলো জ্বলে উঠবে ইভেন্ট শেষে, জানিয়ে দেবে কে হয়েছে প্রথম, দ্বিতীয় আর তৃতীয়।

জাম্প-কিক সেন্সর

লন্ডন অলিম্পিক ২০১২-তে অভিষেক হচ্ছে জাম্প-কিক সেন্সরের। অলিম্পিক গেইমস থেকে বাদ পড়ার ঝুঁকিতে থাকা তায়কোয়ান্দোর জন্য শাপে বর হতে পারে এই প্রযুক্তি। তায়কোয়ান্দো প্রতিযোগিতায় অ্যাথলেটদের শক্তি এবং লাথির যথার্থতা নিশ্চিত করবে এই প্রযুক্তি। রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়ার্ল্ড তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট চৌ চাং-ওন এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমার মনে হয়, এই প্রযুক্তিটির কারণে তায়কোয়ান্দো সত্যিই উপকৃত হবে। পদকগুলো যোগ্য ব্যক্তির হাতে যাওয়া নিশ্চিত করবে এ প্রযুক্তিটি।