বউ বাসায় নাই। আমার সাথে অভিমান করে বাপের বাড়িতে গেছে। তাই আমার মন খারাপ। কোন কাজে মন বসে না। নিজেকে বড় একা একা লাগছে। আমার যে তার জন্য মন খারাপ, বুকটা ফাইট্টা যাচ্ছে, এটা বউ বুঝতােছে না।
যাই হউক সেটা কথা না। আমি আমার এক অভিজ্ঞতার কথা বলবো।
সেটা সম্ভবত ২০১৭ বা ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস। আমার বড় চাচা (আঞ্চলিক ভাষাতে “জেডা” বলে উচ্চারত হয়) মারা যায়।
আমি ছিলাম ঢাকাতে মামার বাসায়। এবং আমি এই শোক সংবাদ টি শুনতে পাই ১০টা বাজে। আমার আব্বু তখন চুয়াডাঙ্গা তে পোস্টিং। ট্রেন ধরে ঢাকা আসতে আসতে রাত ৮টা বোজেছিলো। আর কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে আমাদের বাড়ি গজারিয়া, মুন্সিগজ্ঞ এ পৌছাতে পৌছাতে রাত ১০টা বাজে।
আরেকটা কথা বলে রাখি, আমাদের উপজেলা ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ের পাশে। আমরা ঢাকা আসতে আর যেতে কোন দিন মুন্সিগজ্ঞ সদর হয়ে যাই না। আমরা ঢাকা যেতে ঢাকা চট্টগ্রম রাস্তা ব্যবহার করি। আমাদের উপজেলার দক্ষিণ দিকে দাউদকান্দি, কুমিল্লা আর উত্তরে মেঘনা ব্রজি এবং নারায়ণগজ্ঞের সোনারগাঁ উপজেলা। কুমিল্লা থেকে আমাদের গজারিয়া উপজেলা আসতে ২ ঘন্টা সময় লাগে। আর আমাদের উপজেলা থেকে ঢাকা আসতে ১ ঘন্টা সময় লাগে।
যাই হউক। সে সময় আবার মেঘনা ব্রীজের কাজ চলতে ছিলো। তাই মেঘনা ব্রীজের কাজ চলতেছিলো বিধায় বাড়িতে পৌছতে একটু দেরী হচ্ছিল।
এখন আসি আসল কথায়। উপরের ভূমিকা না পড়লে এই প্যাসেজ এর মর্ম বুঝবেন না।
আব্বুর বাড়িতে আসার দেরী দেখে একদল মুরব্বি গবেষণা শুরু করে দিয়েছেন।
১ম মুরব্বী: নজরুল কেন দেরী করতাছে?
২য় মুরব্বী: হেতে তো ট্রেন দিয়া আইবো। হেতে কি প্রাইবেট কার ভাড়া করে আসবে?
৩য় মুরব্বি: ঠিকই কইছো! রাসেদে কুমিল্লা ক্যানটন্টমেন্ট থেকে আইয়্যা পড়ছে। নজরুলে চুয়াডাঙ্গা থেকে আইতে পারলো না। চুয়াডাঙ্গা তো ঢাকার ভিতরেই।
একজন ব্যাক্তি কত মূর্খ হলে বলতে পারে চুয়াডাঙ্গা ঢাকার ভেতরে!
মুরব্বিদের এই কথা গুলো শুনছিলো আমার ছোট ভাই সিয়াম। আমি অবশ্য পুর থেকে আব্বু কে আনার জন্য কমলাপুর গেছিলাম।
যাই হউক গ্রামের মুরব্বিরা কত মূর্খ দেখেন।
চুয়াডাঙ্গা যে থুলনা বিভাগে এই চার্ট দেখে দিন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৯