
আমি মাত্র মাষ্টার্স এ ভর্তি হই। মাত্র দুই মাস ক্লাস হয়। একদিন ঘোষনা আসে, ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পযর্ন্ত সাধারন ছটি। আমার ভাই মেডিকেল এ পড়ে। সিরাজগজ্ঞে। তখন আমার আম্মু আমার ভাই এর পড়ার সুবিধার্থে একটি বাসা ভাড়া করে। আমার আম্মু আমারে বলে চলো, সিরাজগজ্ঞে যাই। ওর মেডিকেলে পড়া পড়তে সুবিধা হবে।
সম্ভবত ২৩ তারিখ সিরাজগজ্ঞ যাই। ট্রেন দিয়ে। সিরাজগজ্ঞ যে গেলাম, আটকা পড়লাম। পরে ১৫ রমজানের দিন আমরা চুয়াডাঙ্গা যাই। প্রাইবেট কার ভাড়া করে। আমার ভাই এর ও অনলাইনে ক্লাস চলতে ছিলো।
আমার এই লকডাউনের ২ মাস খুব সুখে যায়। সকালে ঘুম থেকে ওঠতাম। দাত ব্লাস করতাম। ছাদে যেতাম। একটু হাটাহাসি, ব্যায়াম, ছবি তুলতাম।
পাচ ওয়াক্ত নামায পড়তাম। আর আল্লাহর কাছে দোয়া করতাম যাতে সব ঠিক হয়ে যায়।
সকালে নাস্তা খেয়ে একটু লেপটপ টিপটাম। গোছল করে জোহরের নামায পড়ে, আল্লাহ কে ডেকে, দুপুরের খাবার খেতাম। একটু রেস্ট নিতাম। পরে আছরের নামায পড়ে ছাদে ঘুরতাম। বাসায় এসে আবার লেপটপ টিপতাম। আর মুভি দেখতাম। লুডু খেলতাম।





ছাদের এই পজিশন টা আমার খুব ভালো লাগতো। সামনে ঐ বিল্ডিং গুলা দেখেন। আমি নিয়মিত সেই বিল্ডিং এর দিকে তাকিয়ে থাকতাম। কেমন যেন ভালোলাগা কাজ করতো।



বাড়ি ওয়ালা আন্টি বাসার ছাদে গাছ লাগায়। আমি সেই গছে পানি দিতাম। আমার পানি দিতে খুব ভালো লাগতো।



আমি প্রায়ই নিচের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। আর ভাবতাম কবে এই করোনা ভাইরাসের প্রোকোপ কমবে??
পরে ১৫ রোজার সময় আমরা চুয়াডাঙ্গা যাই। সেখানে আমার আব্বুর পোস্টিং ছিলো। পরে ১৩ আসষ্ট আমি বাড়িতে চলে যাই। সে সময় মনে হয় একটি আসন ফাকা রেখে যাওয়ার বিধান রাখা হয়।
যাই হউক। আমি এখন লুডু খেলা কে মিস করছি।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



