আমাদের নানী বাড়িতে একটি নতুন রাস্তা হয়। এই রাস্তার দিয়ে বাজারে পাথালে যাওয়া যেতো। এবং এই রাস্তা কলেজ রোডরে সাথে লিংক হয়।
এই রাস্তা তৈরি হয় ২০১৯ সালে অক্টোবর মাসে। তখন আমার স্নাতক পরীক্ষা শেষ হয়। এবং নতুন চাকরি খুজবো খুজবো এমন ভাব। তখনও নানীর বাড়িতে আরামে থাকতাম। মনে করেন নানী থাকতো না। অসুস্থতার ও বাধ্যকজনিত কারনে আমার নানী কাজ করতে পারতেন না। ডার কারনে আমার নানী খালার বাসায় থাকতেন। আমিও আমার খালায় বাসায় গিয়ে খেয়ে আসতাম। এই রাস্তা হবার কারনে আমার নানী বাসা থেকে আমার খালার বাসার দূরত্ব কিছুটা কমে।
শরৎ কাল।প্রতিদিনের মত কোন এক পূর্নীমার রাতে খালার বাসা থেকে নানী বাসায় ফিরছিরাম। ঠিক এইখানে এই ভিউ তে আমি বসে ছিলাম। চাদের আলো, সাদা মেঘ এর বাহার, ঝি ঝি পোকার ডাক, আর জোনাকি পোকা সব মিলিয়ে এক প্রকার নৈসর্গিক সৌন্দয্য উপভোগ করছিলাম। এই দৃশ্যপটের রাতের ছবি তুলি নাই। কারন আমার কাছে ডিএসএলআর নাই। আর মোবাইলে ছবি স্পষ্ট আসে নাই। তাই দিনের বেলার ছবি দিয়েছি। পরের দিনও একই কাহিনী। এখানে বসে ছিলাম। সাথে দুই লিটার সেভেন আপ। এবার আমার সাখে মহিউদ্দিন ভাই। ও ক্লাসমেট। তখনও বিয়ে করি নাই। পিউর ভার্জিন ও ব্যাচলর ছিলাম। এই সুন্দর দৃশ্যপট যেন সৃষ্টিকর্তা আমার জন্যই বানিয়ে রেখেছিলো। সেদিন আমার মহিউদ্দিন ভাই সেভেন আপ খেলাম ও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছিলাম। তখন মনে যে শান্তি ছিলো এখন সেই শান্তি নাই।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৫